ফেলনা জিনিসের পণ্য রপ্তানি করে সাফল্য
, ১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) দেশের খবর
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:
কয়েক বছর আগেও পেঁপে গাছের ডালপালা বা নল ছিল ফেলনা। কাঁচা বা পাকা পেঁপে সংগ্রহের পর ছেঁটে দেওয়া ডালপালা পড়ে থাকত বাগানে। ফেলে দেওয়া এই ডাল এখন মূল্যবান রপ্তানি পণ্য। শুধু পেঁপের নলই নয়, আমগাছ ও নিমগাছের ফেলে দেওয়া চিকন ডাল, পাটচুন ঘাস, নীলকণ্ঠ ফুলের মতো ফেলনা জিনিস দিয়ে তৈরি হচ্ছে পোষা প্রাণীর খাবার ও খেলনা। এসব বিশেষায়িত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রাও।
ফেলনা জিনিসকে রপ্তানি পণ্য বানানোর পথ দেখিয়েছেন দেশেরই একজন উদ্যোক্তা। এই উদ্যোক্তা হলেন রহমতুল ইসলাম। পোষা প্রাণীর খাবার ও খেলনা তৈরির জন্য মাগুরার প্রত্যন্ত গ্রাম জাগলায় কারখানা গড়ে তুলেছেন তিনি বোল্ড পার্টনারস লিমিটেড নামের এই কারখানায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০০ জনের।
রহমতুল ইসলাম গ্রামে এই কারখানা এমনভাবে গড়ে তুলেছেন, যাতে এই কারখানার জন্য কোনো কাঁচামালই বিদেশ থেকে আমদানি করতে না হয়। পেঁপে গাছের ডাল, নিমগাছ কিংবা আমগাছের ডাল, ঘাস- সবই দেশে রয়েছে। আবার কারখানায় কোনো বর্জ্যও নেই। কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তা জানতে চাইলে এই উদ্যোক্তা বলেন, কারখানা এলাকায় উৎপাদিত ঘাস, গাছের চিকন ডাল ব্যবহারের পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয় ফেলনা জিনিস। এসব ফেলনা প্রক্রিয়াজাত করে খেলনা ও খাবার তৈরি হয়। খেলনা ও খাবার তৈরির পর ঘাস ও গাছের নরম ডাল গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়।
কারখানার কর্মকর্তারা জানান, কারখানায় চারটি অংশ রয়েছে। একটিতে পোষা প্রাণীর পোশাক, একটিতে কুকুর-বিড়ালের খেলনা তৈরি হয়। তৃতীয় অংশে তৈরি হয় পোষা প্রাণীর খাবার ও স্ন্যাকস। এ ছাড়া ঘাসের কারখানায় খরগোশ, গিনিপিগ ও ইঁদুরের খেলনা ও খাবার তৈরি হয়। কর্মকর্তারা আরও জানান, পেঁপের নল প্রক্রিয়াজাত করে খরগোশ, গিনিপিগ ও হ্যামস্টারের খাবার তৈরি হয়। পোষা কুকুরের দাঁত পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয় নিমের ডাল। কুকুর এই ডাল চিবিয়ে ফেলে দেয়। তাতে দাঁত পরিষ্কার হয়ে যায়। ঘাস দিয়ে তৈরি করা ইঁদুরের ঘর যাচ্ছে কানাডায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে কোম্পানিটি সাড়ে ৪ লাখ ডলারের (প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা) পণ্য রপ্তানি করেছে। ২০১৮ সাল থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত কোম্পানিটি সব মিলিয়ে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এখন পর্যন্ত জাপানেই সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে কোম্পানির পণ্য। এরপর দ্বিতীয় বড় ক্রেতাদেশ কানাডা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও রপ্তানি হচ্ছে এসব পণ্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৩০ ডিআইজিসহ পুলিশের ৩৯ কর্মকর্তাকে বদলি
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে প্রথমবারের মতো উদ্ধার ভয়ঙ্কর মাদক ‘এমডিএমবি’, গ্রেফতার ৪
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রমণী মোহন কারাগারে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাসিনা সরকারের আমলে কারিগরি পরিকল্পনায় ছিলো বড় ফাঁক!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভোটগ্রহণে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না পাওয়া গেলে বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়োগ
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিসেম্বর পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের অনুরোধ
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘বিএনপি কখনো ধর্মের নামে রাজনীতিতে বিভক্তি আনতে চায় না’
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে আমরা অংশগ্রহণ করব না’
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ -প্রেস সচিব
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতারিত ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাননি
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
রোজার আগে কমল খেজুরের শুল্ক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












