সম্পাদকীয়-২
বর্তমান বিশ্বে ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়। এক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানীর পরিবর্তে দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থাসহ যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ওষুধ শিল্পেই একশ বিলিয়নের উপরে আয় করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
, ০৯ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৩ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০২ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
রফতানি বাজারে দেশীয় ওষুধ শিল্প একটি ভালো অবস্থান দখল করে আছে। এর মূলে আছে ওষুধের মান, আধুনিক যন্ত্রপাতি, সুদক্ষ জনবল এবং তাদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞানসমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। এটি গর্বের বিষয় যে বাংলাদেশ প্রস্তুতকৃত ওষুধগুলো মানের দিক থেকে অনেক উন্নত। আর সে কারণেই আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হয়। এটি বাংলাদেশের বিরাট সফলতা।
বাংলাদেশ এখন কেবল ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ সাসপেনশনে সীমাবদ্ধ নয়। উন্নত প্রযুক্তি, আধুনিক কলাকৌশল এবং যন্ত্রপাতির কল্যাণে ড্রাই-পাউডার সিরাপ, ড্রাই-পাউডার ইনহেলার, প্রি-ফিল্ড ইনজেকশন, লায়োফিলাইজড ইনজেকশন তৈরি হচ্ছে এবং একই সঙ্গে পরিমিত পরিসরে তৈরি হচ্ছে ভ্যাকসিনস, অ্যান্টি ক্যান্সার ড্রাগ, বায়ো সিমিলার প্রডাক্ট, হরমোনাল ওষুধপণ্য, ওষুধের সক্রিয় উপাদানসহ (এপিআই) প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম জৈব পণ্য। এ-জাতীয় ওষুধ ও ঔষধীয় পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ অবশ্যই জাতীয় অর্থনীতিকে শক্ত করছে। কেননা তা না হলে হয়তো এ-জাতীয় ওষুধ ও ঔষধীয় পণ্যের আমদানি খাতে পূর্ববর্তী সময়ের মতো ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো।
এত সাফল্য-অর্জন সত্ত্বেও আমাদের বড় সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা হলো ওষুধের কাঁচামাল বেশিরভাগই আমদানি করে আনতে হয়। বর্তমানে কমবেশি পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিমাণে ওষুধের কাঁচামাল বা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু ডলার সংকটসহ নানা কারণে এপিআই আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধের উৎপাদন বিঘিœত হয়ে থাকে।
ওষুধের কাঁচামাল তৈরি করে চীন ও ভারত। এসব দেশে থেকেই আমরা কাঁচামাল তৈরির উপকরণ আমদানি করছি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে এসব উপকরণ বিক্রি করছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমাদের উৎপাদকরা পারছে না। ওষুধের কাঁচামাল তৈরির জন্য ৪৯ সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এসব সংস্থার অনুমোদন নিতে ছয় মাসের বেশি সময় চলে যায়। এরপর কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য ৫০০ টন উপকরণ প্রয়োজন হলেও আমদানির অনুমোদন মেলে ১০০ টনের মতো। এ ছাড়া ওষুধের কাঁচামাল তৈরিতে আলাদা আলাদা মেশিন প্রয়োজন হয়। এই যন্ত্রের দাম অনেক। এসব সমস্যা যতদিন আমরা সমাধান না করতে পারবো ততক্ষণ ওষুধের কাঁচামাল শিল্প হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
এর পাশাপাশি রপ্তানিসংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলি আরো সহজতর করতে হবে। এই সংক্রান্ত পণ্যের ক্লিনিক্যাল গবেষণার জন্য আমাদের কোনো সংস্থা নাই। এই ক্ষেত্রে আমরা এখনো প্রতিবেশী ভারতের উপর নির্ভরশীল। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তখন পেটেন্টকৃত ঔষধ উৎপাদনে ছাড়া সুবিধা পাওয়া যাবে না। এই সকল সীমাবদ্ধতার কথাও চিন্তা করতে হবে। সরকার এই শিল্পের উন্নয়নে একটি এপিআই পার্ক তৈরি করেছে। এই পার্কে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে কারখানা স্থাপন করেছে; কিন্তু গ্যাসের অভাবে কারখানাগুলি চালু করা যাচ্ছে না। আবার বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি মান যাচাইকারী ল্যাবরেটরিও নেই বলে জানা যায়।
এখন উপরিউক্ত প্রতিবন্ধকতাগুলি মোকাবিলার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের ঔষধের বাজার আরো বাড়বে নিঃসন্দেহে। এই শিল্পকে উন্নতি সাধনে গবেষণার পরিধি আরো বাড়াতে হবে। কেননা যেই সকল দেশের গবেষণা যত উন্নত, সেই সকল দেশে শিল্পের প্রসার তত অধিক। বিশ্বের উন্নত দেশগুলি প্রতি বছর গড়ে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার গবেষণা খাতে ব্যয় করে থাকে। তাছাড়া বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু আইনি ও নীতিগত বাধা রয়েছে। রয়েছে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব। এই সকল বাধাও দূর করতে এখন সচেষ্ট হতে হবে।
বর্তমানে বিশ্বে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঔষধের বাজার রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে আসিয়া বিশ্বে এ শিল্প ব্যাপক প্রসার ও অগ্রগতি লাভ করছে। তাই ভারত ও চীনের পাশাপাশি বাংলাদেশও এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য উন্নীত হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন ঔষধশিল্প খাতকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেয়া বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলি দূর করা।
কাঁচামাল আমদানি, বন্ধ করে কাঁচামালের উৎপাদন দেশেই করে অবকাশসহ দরকারি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে, ওষুধের সুনাম ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে কম সময়ের মধ্যেই এ বাজার ধরা সম্ভব ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের অব্যবস্থাপনায় হু হু করে বাড়ছে দারিদ্রদের সংখ্যা। দারিদ্রপীড়িত মানুষের দুর্ভোগ দূরীকরণে সত্তর তৎপর হোন।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে বিপুল কৃষি উৎপাদনের বিপরীতে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও গড়ে উঠেনি কৃষিভিত্তিক শিল্প। বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক। কৃষি শিল্পের বিকাশে কৃষক ও দেশ উভয়ই বিশেষ সমৃদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ কৃষি শিল্পের দিকে নজর দিন
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অসংগতি, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, অন্যায় আর মিথ্যায় পর্যবসিত ও প্রমাণিত স্টারলিংক কার্যক্রম। জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে চরম হুমকী স্বরূপ স্টারলিংক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংগতি, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, অন্যায় আর মিথ্যায় পর্যবসিত ও প্রমাণিত স্টারলিংক কার্যক্রম। জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে চরম হুমকী স্বরূপ স্টারলিংক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সোনার চেয়েও অনেক দামী সোনাদিয়া দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরে সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সন্দীপসহ আরো দ্বীপগুলোতে সোনা নয়, হীরার চেয়েও দামী খনিজ আছে। আরো আছে গারনেট, ইলমেনাইট ও রুটাইল সহ আরো দামী এবং দুর্লভ খনিজ।
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ আজ।
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আহাব্বুন নাসি ইলান নাবিয়্যি, সাইয়্যিদাহ, ত্বহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, যাকিয়্যাহ, রদ্বিয়্যাহ, মারদ্বিয়্যাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওয়ার্ল্ড স্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন, ইউনিসেফ ইত্যাদি ইহুদী, খ্রিস্টান সংস্থার প্রচারণা থেকে কেনো মুসলমান মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে উৎসাহিত হবে? ওহীক ইলিমকে কদর করার ক্ষেত্রে মুসলমানদের হীনম্মন্যতা কেনো?
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চাহিদা ৩৬ লাখ টন আর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ৫০ লাখ টনেরও বেশী উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় হলেও পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার সুফল দিতে ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই সরকারের।
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












