রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ক্বছাছ শরীফ উনার ৭৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘দুনিয়াতে তুমি তোমার অধিকারকে ভুলে যেও না। ’ অর্থাৎ দুনিয়ার যমীনে তোমাদের যাবতীয় অধিকারের ব্যাপারে তোমরা গাফিল থেকো না। নিজের অধিকার আদায়ে সদা সচেষ্ট থাকবে। মুসলমান আপন অধিকার ও স্বকীয়তা সংরক্ষণে কখনোই গাফিল হতে পারে না।

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগই মুসলমান। তাই সর্বক্ষেত্রেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের একক আধিপত্য ও প্রাধান্য থাকবে। সরকারি চাকরি হতে শুরু করে দেশের সর্ব স্তরে মুসলমানদেরকে প্রাধান্য দিতে হবে। বিধর্মীদের সংখ্যা যেহেতু খুবই নগণ্য, সেহেতু তারা দেশের কোনো স্তরেই মুসলমানদের চেয়ে অগ্রগামী হতে পারবে না। কোনো বিধর্মীকে উচ্চ পদে দায়িত্বও দেয়া যাবে না।

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তথাকথিত গণতন্ত্রেই তো মেজরিটি বা সংখ্যাধিক্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়। তাহলে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেয়ার মাধ্যমে সরকার গণতন্ত্র থেকেও সরে গেছে। সরকার নিজেই তার সংবিধান বিরোধী কাজ করেছে। যা বলার অপেক্ষাই রাখে না। বিধর্মী ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেয়া ভালো লক্ষণ নয়। বিশ্বের কোনো দেশে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে কোনো ক্ষেত্রেই প্রাধান্য দেয়া হয় না। কেননা তা স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু আমাদের দেশে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। যা দেশের জন্য কোনো সুখকর বিষয় নয়। বরং তা দিনদিন স্বাধীনতাকেই বিপন্ন করছে ও করবে। নাঊযুবিল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- যেহেতু এদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগই মুসলমান আর রাষ্ট্রদ্বীন হচ্ছেন- সম্মানিত ইসলাম। তাই মুসলমানদেরকে সর্বক্ষেত্রেই প্রাধান্য দিতে হবে। এককভাবে সার্বিক বিষয়ে মুসলমানদের অধিকার সংরক্ষণ করার ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই অত্যধিক তৎপর হতে হবে। যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমানদের হক্ব।

-০-