বাংলাদেশ হয়ে পণ্য যাবে ভারতের উত্তর-পূর্ব ৭ রাজ্যে, চুক্তি সই
এডমিন, ১০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) তাজা খবর

ভারতের মূল ভূখ- থেকে ত্রিপুরা, আসামসহ সেভেন সিস্টারস হিসেবে পরিচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত সাশ্রয়ী খরচে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে সমুদ্রপথে বাণিজ্যের ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড (এসপিএল) ও কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর কর্তৃপক্ষ (এসএমপিকে)। বাংলাদেশের মোংলা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোতে কিভাবে পণ্য পরিবহন করা যায় সেই লক্ষ্যেই দুই সংস্থার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) কলকাতার ১৫ স্ট্রান্ড রোডে অবস্থিত শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট ট্রাস্টের কার্যালয়ে এই এমওইউ সই হয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড হয়ে এতে সই করে বাংলাদেশের শিল্পপতি ও ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য রুহুল আমিন তরফদার। অন্যদিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে এই চুক্তিতে সই করে ডেপুটি চেয়ারম্যান রাঠেন্দ্র রমণ।
উল্লেখ্য শিলিগুড়ি করিডোর হয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় নৌপথে দূরত্ব এক হাজার ৬১৯ কিলোমিটার, কিন্তু মোংলা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে ি ত্রপুরার দূরত্ব কমে দাঁড়াচ্ছে ৫৭৫ কিলোমিটার। অন্যদিকে শিলিগুড়ি করিডোর হয়ে একটি পণ্যবাহী ট্রাক যেতে যেখানে ৬ থেকে ৭ দিন সময় লাগে সেখানে মোংলা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে একই গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ চার দিন। স্বাভাবিকভাবেই সময়, দূরত্ব সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে নৌপথে বাণিজ্যিক লেনদেনের বিষয়টি ভাবা হয়েছে বলে জানান রুহুল আমিন তরফদার।
তিনি বলেন এমওইউ সইয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশ ও ভারত অর্থাৎ দুই দেশের নৌপথে যে ব্যবসা হচ্ছে তা বাড়ানো। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মোংলা, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে কত তাড়াতাড়ি পণ্যবাহী কার্গোগুলো উত্তর-পূর্ব ভারতে যাতায়াত করতে পারে তার উপর জোর দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, ট্রানজিট কার্গোগুলো কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর কিংবা হলদিয়া বন্দর থেকে চট্টগ্রাম, মংলা, আশুগঞ্জ, পানগাও এবং পায়রা পোর্টেও ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয়রা ব্যবসা করতে পারবে।