সম্পাদকীয়-১
বিগত সরকারগুলোর মত কথিত অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের পতিত জমির দিকে নজর দিচ্ছে না অথচ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে দেশকে মহা সমৃদ্ধ করা যায় যতদিন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা না হবে ততদিন এসব নিয়ামত অধরাই থেকে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)
, ০৭ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০১ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
দেশে মোট ব্যবহূত জমির পরিমাণ ২২৬ কোটি ৫১ লাখ ৭৪ হাজার শতক। পরিবারপ্রতি জমির পরিমাণ প্রায় ৮২ শতক। এসব জমির মধ্যে বসতবাড়ি, পুকুর, স্থায়ী ফসলি জমি, অস্থায়ী ফসলি জমির পাশাপাশি পতিত জমিও রয়েছে। এর মধ্যে পতিত জমি রয়েছে দুই ধরনের-অস্থায়ী পতিত এবং স্থায়ী পতিত জমি, যার পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার শতক।
অস্থায়ী পতিত জমি বলতে বোঝায় যেসব জমিতে চলতি বছরে আবাদ বা কোনো ধরনের শস্য উৎপাদন হয়নি কিন্তু তার আগের বছরে জমিটিতে আবাদ হয়েছে। এমন জমির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক। পরিবারপ্রতি এ ধরনের জমি রয়েছে গড়ে প্রায় এক শতক। অন্যদিকে কখনই কোনো ধরনের আবাদ ও শস্য উৎপাদন হয়নি এমন জমিকে বলা হয় স্থায়ী পতিত জমি, দেশে যার পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি ৩১ লাখ ৫৯ হাজার শতক। পরিবারপ্রতি এ ধরনের পতিত জমি রয়েছে গড়ে প্রায় তিন শতক।
বিবিএসের তথ্যমতে, দেশে বসতবাড়ি রয়েছে ২১ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার শতক। পরিবারপ্রতি বসতবাড়ি জমির পরিমাণ প্রায় আট শতক। অন্যদিকে মোট পুকুর রয়েছে ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮১ হাজার শতক। পরিবারপ্রতি পুকুরের জমির পরিমাণ প্রায় ২ শতক। স্থায়ী ফসল (যেমন ফল, বাগান) বা জীবত্কাল এক বছরের বেশি এমন ফসলের আবাদি জমির পরিমাণ ১২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার শতক। অন্যদিকে অস্থায়ী ফসলি (জীবত্কাল এক বছরের নিচে এমন) জমির পরিমাণ ১৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার শতক। মূলত নিয়মিত যেসব কৃষিশস্য বা ফসল আবাদ করা হয় এমন জমিগুলোকেই অস্থায়ী ফসলি জমি বলা হয়। পরিবারপ্রতি এমন জমির পরিমাণ প্রায় ৬৪ শতক।
দেশে চাষযোগ্য ফসলি জমি এখন প্রায় ১৭৮ কোটি ১ লাখ ৩৩ হাজার শতক। ফলে পরিবারপ্রতি ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ৬৫ শতক। এর মধ্যে এক ফসলি জমি এখনো ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার শতক। অন্যদিকে দোফসলি জমির পরিমাণ ১০৫ কোটি ৫৬ লাখ ১১ হাজার শতক। এছাড়া তিন ফসলি জমি রয়েছে ২০ কোটি ৬২ লাখ শতক এবং চার ফসলি জমি রয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার শতক। এক ফসলি জমিগুলোকে দোফসলি জমিতে রূপান্তর করা এবং দোফসলি জমিগুলোকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে পারলে শস্যের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পতিত জমির বেশিরভাগ মালিক এসব জমির কাছাকাছি বসবাস করেন না। তারা চাকরির কারণে হোক, আর ব্যবসার কারণেই হোক, তারা নিজের বসতবাড়ি বা নিজের মালিকানাধীন জমি থেকে দূরে বসবাস করেন। ফলে এসব জমির বেশিরভাগই সারা বছর অনাবাদি রয়ে যায়।
দেশকে খাদ্যে মহা সমৃদ্ধ রাখতে প্রতি ইঞ্চি জমিকে কাজে লাগানোর দরকার। বসতবাড়িতে সবজি আবাদে প্রণোদনা দেয়া দরকার। প্রতিটি গ্রামের কয়েকটি পরিবার বা খানাকে সবজি উৎপাদনের মডেল বসতি তৈরি করে দেয়া দরকার। আগ্রহীদের বীজ সহায়তা থেকে শুরু করে সার এমনকি বেড়াও তৈরি করে দেয়া দরকার। পতিত জমিকে আবাদি জমিতে রূপান্তরের ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা দরকার।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী হাসপাতালে নানা সংকট বেসরকারী হাসপাতাল অত্যন্ত ব্যয় বহুল জনগণের জন্য উভয় সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












