বিদ্যুৎ উৎপাদন কোন পথে
, ২৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৫ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) তাজা খবর
গত ১ আগস্ট উত্তরবঙ্গের ইন্ট্রাকোর ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৬০২ কিলোওয়াট/ঘণ্টা (ইউনিট)। একই দিন কক্সবাজার ৩০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন করেছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৪০ ইউনিট বিদ্যুৎ।
গত ৩ আগস্ট কক্সবাজার বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ ইউনিট। সেখানে একই দিন ইন্ট্রাকোর সোলারবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন করেছে ২ লাখ ৪ হাজার ১৯২ ইউনিট বিদ্যুৎ। এমন প্রেক্ষাপটে কোন প্রকৃতির বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করা হবে, তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বায়ু না সৌর কোন প্রকৃতির ওপর জোর দেওয়া উচিত, তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছেন। অর্থাৎ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় অংশই নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করতে হবে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে, এজন্য জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ জ্বালানি খরচ শূন্য। একবার কেন্দ্রটি স্থাপনের পর তেমন ব্যয় করতেই হয় না। বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশ দূষণ হয় না। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ও হয় প্রচুর।
তবে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা ভূমি প্রাপ্যতা। সৌর প্যানেলের ক্ষমতা বৃদ্ধির পরও এ ধরনের এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে আড়াই একর জমির প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রতি ১০০ মেগাওয়াটের জন্য জমির প্রয়োজন ২৫০ একর। অন্যদিকে, বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য উইন্ডমিল স্থাপন করতে সৌরবিদ্যুতের মতো খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। আর একটি উইন্ডমিল তিন থেকে পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।
বিদ্যুৎ বেশি মিলছে উইন্ডমিলে:
সাধারণত দেশে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে চার ঘণ্টা সৌরবিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বর্ষা এবং শীতে এর উৎপাদন কমে আসে। গ্রীষ্মে উৎপাদন বেশি হয়। কিন্তু বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টাই কমবেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। অর্থাৎ বাতাস থাকলেই উইন্ডমিলের পাখা ঘোরে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, কক্সবাজারের ৩০ মেগাওয়াটের বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১ আগস্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২২ ঘণ্টাই গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
একই দিন ইন্ট্রাকোর ৩০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। অর্থাৎ দিনের শুরুতে সূর্য ওঠার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে, উৎপাদন অব্যাহত থাকে সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার সময়। চাইলেই সৌরবিদ্যুৎ থেকে দিনের বেলা ছাড়া অন্য সময় বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব নয়Ñ বায়ুবিদ্যুৎ থেকে যা সম্ভব।
বেশি গুরুত্ব সৌরবিদ্যুতে:
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, এখন সবচাইতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে। তুলনামূলক সহজ প্রযুক্তি হওয়াতে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রতি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বেশি। বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের কয়েকশ প্রকল্প বিদ্যুৎ বিভাগে জমা পড়েছে। সেখান থেকে প্রকল্প বাছাই করা হচ্ছে। তবে উপযোগিতার চেয়ে বিশেষ ব্যক্তিদের ইচ্ছাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু বায়ুবিদ্যুতে তেমন গুরুত্ব নেই। সরকার বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কক্সবাজার, বাগেরহাটের মোংলা এবং চাঁদপুরে দরপত্র আহ্বান করে। এরপর কক্সবাজার এবং মোংলায় কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী হলেও চাঁদপুরে কেউ আগ্রহই দেখায়নি। সরকার বিনা দরপত্রে যেসব নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি করছে তার সবগুলোই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সরকার এখন ২ হাজার মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। সরকার চেষ্টা করছে সৌরবিদ্যুতের এই উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট করতে। এতে করে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর চাপ কমবে।
অন্যদিকে খুলনা মোংলার পাশাপাশি বাংলাদেশ চায়না রিনিউয়েবল পাওয়ার কোম্পানি (বিসিআরইসিএল) পায়রাতে একটি ২০ মেগাওয়াটের বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এজন্য বিসিআরইসিএল দরপত্র আহ্বান করেছে।
উপকূলে ২০ হাজার মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ:
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ২০ হাজার মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের বায়ু প্রবাহের গতি পর্যবেক্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিনিউয়েবেল এনার্জি ল্যাবরেটরি (এনআরইএল) ২০১৮ সালের শেষ দিকে একটি প্রতিবেদন দেয়। এক বছরের বায়ুপ্রবাহের মান পর্যবেক্ষণ করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি এই প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু এখন সারা বিশ্বেই সমুদ্রের কয়েক কিলোমিটার এলাকার মধ্যেও উইন্ডমিলগুলো বসানো হচ্ছে। সম্প্রতি সামিট পাওয়ার ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনারস (সিআইপি)-এর সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গোপসাগরে ৫০০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করেছে। এজন্য ১৩০ কোটি ডলার অর্থাৎ এক.তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব করেছে সিআইপি। তবে এখনও এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা জরিপও হয়নি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দখলদারদের অবিস্ফোরিত মিসাইল দিয়েই তাদের সামরিক যান ধ্বংস
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
রাজধানীতে ৭৩ রাউন্ড গুলিসহ তিনটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগে গাড়ি চলাচল শুরু
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগে গাড়ি চলাচল শুরু
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পেঁয়াজ আমদানিতেও চক্রের দ্বিগুণ মুনাফা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ৩৪৫ বাংলাদেশি
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হিমাগারের আলু এখন ‘গলার কাঁটা’
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে -ফখরুল
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘কয়েকজন বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন’
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৩৮ লাখ টাকার মেশিন তিন বছরেও চালু হয়নি, আইসিইউতে ঝুলছে তালা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
চিকিৎসা পর্যটন বাড়াতে বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ পাকিস্তানের
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে কারণে ট্রাভেল পাসেই ফিরতে হবে তারেক রহমানকে
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












