মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমত ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।”
বিধর্মীরা তাদের পণ্যদ্রব্যগুলো মুসলমান দেশে বিক্রি করে তার লভ্যাংশ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করে। নাউযুবিল্লাহ! যার সাক্ষাত প্রমাণ হচ্ছে- পরগাছা ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলের কর্মকান্ড
তাই প্রত্যেক মুসলমান ও মুসলিম দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে, বিধর্মীদের বিশেষ করে পরগাছা ইসরাইলের সর্বপ্রকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা। তাদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করা, তাদেরকে বয়কট করা। কেননা এদের পণ্যদ্রব্যগুলো ক্রয়-বিক্রয় করার অর্থ হলো, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম, মুসলমান এবং ফিলিস্তিনের ক্ষতিসাধনে সাহায্য করা। নাউযুবিল্লাহ!
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যেই ইহুদী, মুশরিক, নাছারা, বৌদ্ধ, মজুসী তথা সমস্ত কাফির-মুশরিকদেরকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমত ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে। ” এক কথায় সমস্ত কাফিররাই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু। এটা মুসলমানদেরকে ভালো করে মনে রাখতে হবে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শত্রু হওয়ার কারণেই তারা চব্বিশ ঘণ্টা অর্থাৎ দায়িমীভাবে কোশেশ করে থাকে যে, কি করে মুসলমান ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাদের ক্ষতি করা যায়। আর একারণেই তারা নতুন নতুন ও ভয়ানক ভয়ানক অস্ত্র তৈরি করে সেগুলো মুসলমানদের উপর প্রয়োগ করছে মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে। নাউযুবিল্লাহ! পাশাপাশি মুসলমানদেরকে কাফির বানিয়ে জাহান্নামী করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রসার ঘটাচ্ছে ডিশ এন্টেনা, টিভি চ্যানেল, ভিসিআর, ভিডিও, গান-বাজনা, সিনেমা, নাটক, নোবেল, পর্নোগ্রাফীসহ হাজারো হারাম ও কুফরী কাজের। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আহলে কিতাব বা কাফিররা চায়- তোমরা (মুসলমানরা) ঈমান আনার পর কি করে তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দেয়া যায়। ” নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আর এজন্য তাদের যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা তারা সংগ্রহ করে মুসলমান দেশে তাদের পণ্যদ্রব্যগুলো বিক্রি করে। অর্থাৎ মুসলমান দেশে পণ্য বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে সেই টাকা মুসলমান ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে ব্যয় করে। যার সাক্ষাত প্রমাণ হচ্ছে- পরগাছা ইহুদী ইসরাইলের কর্মকা-। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, কাফির-মুশরিকদের পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার অর্থ হলো মুসলমান ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাদের ক্ষতিসাধনে সাহায্য করা। নাঊযুবিল্লাহ! যা সম্পূর্ণরূপেই হারাম ও কুফরী। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা নেককাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদকাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না। ”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, বিধর্মীদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করা কাট্টা হারাম ও কুফরী। তাই প্রত্যেক মুসলমান ও মুসলিম দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে, সমস্ত বিধর্মীদের বিশেষ করে ইসরাইলের সর্বপ্রকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা। তাদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করা, তাদেরকে সর্বোত বয়কট করা। কেননা এদের পণ্যদ্রব্যগুলো ক্রয়-বিক্রয় করার অর্থ হলো, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম, মুসলমান এবং ফিলিস্তিনের ক্ষতিসাধনে সাহায্য করা। নাউযুবিল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফ। যা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশ্ব বাল্যবিবাহ দিবস হিসেবে মশহূর। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ৬ বৎসর বয়স মুবারকে আক্বদ মুবারক ও ৯ বৎসর বয়স মুবারকে পবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক সম্পন্ন হয়।
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল মাসাকীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ মহান দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যেই বিশেষ দিনটি হলো আখাছ্ছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক উনার বরকতময় দিন। যা সকলের জন্যই ঈদ বা খুশির দিনও বটে। সুবহানাল্লাহ!
২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইবনু খইরি বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! উনার পবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাল্যবিবাহ সম্মানিত ওহী মুবারক দ্বারা পবিত্র সুন্নত হিসেবে সাব্যস্ত। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বা মুসলিম পারিবারিক আইনে বিবাহের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। আইন করে বিবাহের বয়স নির্ধারণ করার অর্থ হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর হস্তক্ষেপ করা। যা কারো জন্যই জায়িয নেই বরং কুফরী। উল্লেখ্য, সরকার ওয়াদা করেছে যে, ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কোনো কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিকদের প্রশংসা করা, সম্মান দেখানো, তাদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করাও হারাম এবং কুফরী।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শাওওয়াল শরীফ হচ্ছেন- ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র বাল্যবিবাহ দিবস’। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৫ দিন বাকী। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- বাল্যবিবাহ জায়িয তো অবশ্যই বরং খাছ সুন্নত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আর রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এবং নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বা উনার ইমাম, আফদ্বালুল আউলিয়া হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের পরিপূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শাওওয়াল শরীফ। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ঈমানদারদের বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেননি। সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ছেলে-মেয়ের বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া বা বাল্য বিবাহে বাধা সৃষ্টি করা কাট্টা কুফরী।
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাক্বওয়া হাছিল বা মুত্তাক্বী হওয়াই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মূল শিক্ষা। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মাধ্যমে অর্জিত তাক্বওয়া পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার পরবর্তী মাসগুলোতেও বজায় রাখতে হবে। অর্থাৎ পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার পরবর্তী মাসগুলিতেও ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার অশ্লীল-অশালীন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে তবেই হাক্বীক্বী কামিয়াবি অর্জন করা ও নাজাত লাভ করা সম্ভব হবে।।
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)