বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র কেন জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করছে?
, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আযাব-গযব
জিবুতির উত্তর-পূর্বে মাত্র ২০ মাইল দূরত্বে ইয়েমেন অবস্থিত। ইয়েমেনও সোমালিয়ার মত খ--বিখ- হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, এবং সেখানেও নানাবিধ মিলিট্যান্ট গ্রুপ সক্রিয়। জিবুতির দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ইথিওপিয়া, যেটি বর্তমানে নীলনদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মিশর ও সুদানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত, এবং যেখানে সম্প্রতি একটি গৃহযুদ্ধ আরম্ভ হয়েছে। অর্থাৎ, জিবুতির নিকটবর্তী রাষ্ট্রগুলো রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল, এবং এই অস্থিতিশীলতা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অযুহাতে এই অঞ্চলের ওপর নজর রাখার জন্য কাফির বিশ্ব দেশটিতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখতে আগ্রহী। মূলত তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে- এই স্থানটি ভৌগলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্থানটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তারা ব্যবহার করতে পারবে এবং মুসলিম দেশগুলোকে তাদের মুখাপেক্ষি করে রাখতে বাধ্য করবে।
কেননা পূর্বেই বলা হয়েছে, ভূকৌশলগতভাবে জিবুতির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিবুতি লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত, এবং বিখ্যাত ‘বাব এল-মান্দেব’ প্রণালী জিবুতির সন্নিকটে অবস্থিত। এই প্রণালীটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় ৩০% এই প্রণালীর মধ্য দিয়ে হয়ে থাকে। বৈশ্বিক তেল ও পণ্যদ্রব্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রণালীটিকে একটি ঈযড়শবঢ়ড়রহঃ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এই প্রণালীটির নিরাপত্তা বিঘিœত করার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে (অর্থাৎ বিশ্ব অর্থনীতিতে) বড় ধরনের আঘাত হানা সক্ষম। যা কাফির বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। যদি একবার জিবুতি এই অঞ্চলে বর্হি নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যে পণ্য আমদানী-রফতানী কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। বলা চলে জিবুতির এই অঞ্চলটি লোহিত সাগরে ও মিশর হয়ে ইউরোপে এবং আমেরিকার প্রবেশদ্বার। এই পথ রুদ্ধ হয়ে গেলে পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে যেতে হবে। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলবে।
চতুর্থত, জিবুতি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত, এবং এজন্য আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে রসদপত্র সরবরাহের জন্য জিবুতি একটি ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের বিস্তৃত সামরিক উপস্থিতি রয়েছে, এবং এই সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রসদপত্র সরবরাহ বজায় রাখার জন্য তারা জিবুতিতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। অনুরূপভাবে, লোহিত সাগরে নৌদস্যু মোকাবিলা এবং সোমালিয়া ও ইয়েমেনে মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোকে দমনের ক্ষেত্রেও জিবুতি পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরব সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে এবং ইয়েমেনে যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থেই তারা জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে ইচ্ছুক।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শক্তিশালী টাইফুনে বিপর্যস্ত অবস্থায় তাইওয়ান।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শক্তিশালী টাইফুনে বিপর্যস্ত অবস্থায় তাইওয়ান।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
২) পর্তুগালের দাবানল আরও ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১ ) নেপালে বন্যায় শত শত লোক নিখোঁজ। ভেসে গেছে বহু ঘর-বাড়ি।
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্যাপক দাবানলে পুড়ছে পর্তুগাল।
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপক দাবানলে পুড়ছে পর্তুগাল।
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যুক্তরাষ্ট্রে ঘুর্ণিঝড় হেলেনার আঘাতের পর বিপর্যস্ত অবস্থা।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যুক্তরাষ্ট্রে ঘুর্ণিঝড় হেলেনার আঘাতের পর বিপর্যস্ত অবস্থা।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বহু ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বহু ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ব্যাপক বন্যার কবলে মেক্সিকো।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ব্যাপক বন্যার কবলে মেক্সিকো।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)