বেড়েছে সবজির দাম, মাছেও নেই স্বস্তি
-কাঁচামরিচেরও দাম বৃদ্ধি
এডমিন, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৩সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) তাজা খবর

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানী বাজারে নিত্যপণ্যের দামে কোনো সুখবর নেই। বরং এক সপ্তাহ পার হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না আলু-পেঁয়াজ। ডিমের দাম কিছুটা কমলেও তা নাগালে আসেনি। সুফল মিলছে না ভোক্তা অধিকারের অভিযানেও। বাজার করতে এখনও নাভিশ্বাস ভোক্তাদের।
এদিকে বৃষ্টির অজুহাতে বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। মাছের দামও চড়া।
গতকাল ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানী। ভারী বর্ষণে পানি ঢুকে পড়ে বাসা ও দোকানপাঠে। রাত ১২টার পর বৃষ্টি কমলেও সকাল পর্যন্ত পানির নিচেই দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট।
রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ জুমুয়াবারও আলু কিনতে হচ্ছে ৪৪ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। যদিও আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। পেঁয়াজের দামও কেজিতে ৭৬ থেকে ৮৫ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। মানা হচ্ছে না সরকারি দাম।
১৪৪ টাকায় মুরগির ডিমের ডজন বিক্রির কথা থাকলেও বাজারে কিনতে হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ডজনে ৫ টাকা।
বাজারগুলোতে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়, ঢেড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি।
মাছের বাজারেও একই চিত্র। কেজি প্রতি বিভিন্ন মাছের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। এক কেজি সাইজের ইলিশ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা।
ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশীয় কাঁচামরিচের সরবরাহ ভালো থাকায় বেশ কয়েকদিনের কাঁচামরিচের দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র রাতের ব্যবধানে দেশীয় কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ টাকা করে। হঠাৎ করে আবারো দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা।