ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমলেও কৃষি ঋণে অনীহা ব্যাংকগুলোর।
জাতীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখা কৃষকরা ঋণ পেতে পোহাচ্ছে দুর্ভোগ সরকারের উচিত এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
, ০৫ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ সামিন, ১৩৯০ শামসী সন, ২৮শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) কৃষি ও পল্লিঋণ খাতে ১২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক।
আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। শস্য উৎপাদনের সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অবদান অনেক বেশি। কৃষি বাংলাদেশের মেরুদ- হিসেবে কাজ করছে। অন্য শিল্পও চলছে, তবে কৃষির সহায়তা থাকলে তারাও কিছু করতে পারত না। যতটুকু প্রণোদনা বা কৃষি ঋণ দেয়া উচিত সে তুলনায় আসলে দেয়া হয় না। প্রণোদনার মধ্যে যেমন সার, সেচ নিয়েও নানা রকম সমালোচনা আছে। কৃষি ঋণ অপ্রতুল। বাংলাদেশ ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা দেয়, সেটা অন্য ব্যাংকগুলো পালন করে না। কৃষির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কিন্তু খুব সিরিয়াসলি ঋণগুলো দেয় না। প্রান্তিক কৃষকদের হয়রানি হতে হয়। কাগজপত্রকেন্দ্রিক জটিলতার সৃষ্টি হয়। কৃষির ক্ষেত্রে আরো একটি সমস্যা হচ্ছে যথাসময়ে যদি ঋণ না পাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু চাষ করতে পারেন না। আবার ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কৃষকরা ফসল বিক্রি করা ছাড়া দিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আবার তাদের তাড়া দেয়া হয় ঋণ ফেরত দিতে। এমনিতেও কৃষকরা কম ঋণ নেন। টাকার অংকও বেশি না। আবার তাদের ঋণ ফেরত দেয়ার হারও অনেক ভালো। এটা ইতিবাচক লক্ষণ। ভবিষ্যতে সার ও ডিজেলের যে বৈশ্বিক সংকট রয়েছে তা মোকাবেলায় ঋণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। না হলে সংকট তৈরি হবে। জিডিপিতে অবদান যাই থাকুক, অন্য খাতে উৎপাদন না হলে কিন্তু মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না। কিন্তু কৃষিতে উৎপাদন কমে গেলে সমস্যা হবে।
দেশে কাঙ্খিত হারে কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ছে না। এর পেছনে বড় একটি কারণ হিসেবে খাতটির অপ্রতুল ঋণপ্রবাহের সমস্যাকে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও প্রতিবেশী দেশসহ বিভিন্ন দেশের কৃষি খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির ইতিবাচক অভিজ্ঞতা পাওয়া গিয়েছে। এক গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশে কৃষি ঋণের প্রবাহ প্রতি ১ শতাংশ বাড়ার সঙ্গে কৃষি খাতের মোট জিডিপি বেড়েছে প্রায় দশমিক ৩ শতাংশ।
ওই গবেষণায় আরো উঠে আসে, ক্ষুদ্র কৃষকদের সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ বরাবরই তাদের আয় ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কৃষি খাতের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি। তাদের জন্য উৎপাদন পদ্ধতির আধুনিকায়ন ও বাজারকে লাভজনক করতে উৎপাদন-সংশ্লিষ্ট প্রতিটি স্তরেই সহায়তার প্রয়োজন পড়ে। এমনই এক কার্যকর সহযোগিতা হলো কৃষকদের সহজ অর্থায়ন। ভ্যালু চেইনের প্রতিটি পর্যায়ে স্বল্প সুদে প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়নের সুযোগ থাকলে ক্ষুদ্র কৃষকের পক্ষে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির পথে অনেক বাধাই দ্রুত মোকাবেলা করা সম্ভব হয়। একই সঙ্গে প্রান্তিক চাষীকে বাণিজ্যিক কৃষকে রূপান্তরের পথও অনেকটাই মসৃণ হয়ে ওঠে। এতে তাদের পক্ষে কৃষির অন্য যেসব উপখাতে ভূমির চেয়ে মূলধনের প্রয়োজনীয়তা বেশি (যেমন ডেইরি, পোলট্রি, মৎস্য, মৌচাষ ইত্যাদি), সেসব উপখাতেও উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়।
বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন পার্শ্ববর্তী দেশের নীতিনির্ধারকরাও। গত কয়েক দশকে দেশটির কৃষি খাতে জিডিপির বিপরীতে ঋণের অনুপাত ক্রমেই বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। আশির দশকের শেষ দিকেও দেশটিতে এ অনুপাতের গড় ছিল ১৭ শতাংশ। ২০১৭ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশে। এ সময় দেশটিতে কৃষি খাতের উৎপাদন বেড়েছে ২৬ গুণ। এ বড় উল্লম্ফনে কৃষি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের কৃষি ঋণের হার অনেক কম। ভর্তুকির হারও কম। আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্যনিরাপত্তা। কারণ বাংলাদেশে উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও আমদানিনির্ভরতা রয়েই গেছে। আবার খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও আমাদের দেশের পুষ্টিহীনতা রয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিমাণ কমলেও সে হারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমেনি। এর সঙ্গে আমাদের উৎপাদনশীলতা কমেছে এবং উৎপাদন খরচ বেড়েছে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হলে স্থায়িত্বশীল কৃষির রূপান্তর করতে হবে। কৃষি গবেষণায় সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করবে উৎপাদনশীলতা, স্থায়িত্বশীলতা ও দাম কমিয়ে নিয়ে আসা। কৃষি ঋণ বিতরণের চেয়ে আদায় বেশি হওয়া মানে এর উদ্বৃত্ত অংশ অন্য খাতে দেয়া হচ্ছে। কৃষিতে তো খেলাপি হচ্ছে না। এজন্য ব্যাংকের অর্থায়ন সুবিধাগুলোও বাড়াতে হবে।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর ১০ লাখ কৃষককে পাকিস্তান আমলে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় এবং তাদের সমুদয় ঋণ সুদসহ মওকুফ করে দেয়। অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের উচ্চসুদ হার থেকে কৃষকদের মুক্তি এবং কৃষি উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য তার সময়ে ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আদেশের মাধ্যমে একটি বিশেষায়িত সরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বর্তমান সরকার সবসময় বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়গুলো নিয়ে বক্তৃতা বিবৃতি প্রদান করে। তার প্রেক্ষিতে সরকারের উচিত দেশের কৃষকরা যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কৃষিঋণ পায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারকে সমূহ সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ঋণব্যবস্থাকে কৃষকবান্ধব করতে হবে। কৃষিঋণকে সুদবিহীন করতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী হাসপাতালে নানা সংকট বেসরকারী হাসপাতাল অত্যন্ত ব্যয় বহুল জনগণের জন্য উভয় সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












