মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের রব তিনি ঘোষণা করছেন যে, যদি তোমরা শোকরগুজারী করো তবে আমি তোমাদের নিয়ামতকে বৃদ্ধি করে দিব। আর যদি অস্বীকার করো তাহলে নিশ্চয়ই আমার আযাব কঠিন।
মহান আল্লাহ পাক উনার শোকরগুজারী করলে নিয়ামত বৃদ্ধি পাবে- তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নাফরমানী ত্যাগ করে বেশি বেশি নেক আমলে মশগুল থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার অফুরন্ত নিয়ামতের শোকরগুজারী করা।
, ০৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৪ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৪ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে অনেকভাবে পরীক্ষা করেন। তিনি বান্দাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে নাফরমানী করা সত্ত্বেও যখন তার জন্য প্রত্যেক বস্তুর দ্বার উন্মুক্ত করে দেন অর্থাৎ দুনিয়াতে যে কোন বিষয় ভোগ করা অতি সহজসাধ্য করে দেন তখন বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনার নছীহত মুবারক ভুলে গিয়ে এই প্রাপ্তির কারণে আনন্দিত হয়, এমতাবস্থায় যখন তারা হঠাৎ পাকড়াও হয়ে যায় তখন তারা বুঝতে পারে যে, তাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তখন এই বুঝ তাদের কোনো ফায়দা দিতে পারে না বা উপকারে আসে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পাকড়াও হওয়া প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি কুরআন শরীফ দ্বারা নছীহত করুন, প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও হবে। তার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোনো ওলী থাকবে না এবং সুপারিশকারীও থাকবে না। যদি সব রকমের বিনিময় প্রদান করে, তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। যাদেরকে কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করা হবে তাদের জন্য রয়েছে গরম পানীয় এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি, কেননা তারা কুফরী করেছিল।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সঙ্গতকারণে বলতে হয়, বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যা কিছু লাভ করে সবই মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত। প্রত্যেকের উচিত মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের শোকরগুজারী করা। শোকরগুজারী করলে নিয়ামত বৃদ্ধি পাবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের রব তিনি ঘোষণা করছেন যে, যদি তোমরা শোকরগুজারী করো তবে আমি তোমাদের নিয়ামতকে বৃদ্ধি করে দিব। আর যদি অস্বীকার করো তাহলে নিশ্চয়ই আমার আযাব কঠিন।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমাদের জন্য জানা জরুরী যে, বান্দা শোকরগুজারী কিভাবে করবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে অসংখ্য নিয়ামতরাজী দ্বারা সমৃদ্ধ করে রেখেছেন। যদিও সেটা খুব অল্প সংখ্যক মানুষই খেয়াল করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বলেন, “তোমরা তোমাদের রব উনার কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতকে অস্বীকার করা কুফরী; অতএব বান্দার উচিত হবে নিয়ামত লাভের কারণে শোকরগুজারী করা। আর প্রকৃত শোকরগুজারী তখন হবে যখন প্রাপ্ত নিয়ামতের হক্ব আদায় করা হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পরিবার মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের অন্তর্ভূক্ত। পরিবারকে যদি যথাযথ ভরণ-পোষণ দেয়া হয় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম অনুযায়ী পরিচালিত করা হয় তবেই এই নিয়ামতের শোকরগুজারী হবে। আর যদি খেয়াল-খুশিমত চলা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম-আহকামের দিকে লক্ষ্য করা না হয় তখন তা শোকরগুজারীর অন্তর্ভূক্ত হবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অর্থ-সম্পদ মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত পন্থায় আয় করে উনার পথেই ব্যয় করাটা শোকরগুজারী হবে কিন্তু অর্থ-সম্পদ যদি বিলাসিতা ও দুনিয়া হাছিলের ক্ষেত্রেই ব্যয় হয় তখন তা নাশোকরী হবে। আর শোকরগুজারী না করাই হবে নিয়ামত অস্বীকারের নামান্তর। আর যারা নিয়ামত অস্বীকার করবে তাদের জন্যই মহান আল্লাহ পাক শাস্তির বিধান করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে কি করবেন যদি তোমরা শোকরগুজারী করো এবং ঈমান আনো? আর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামতের প্রতিদান প্রদানকারী ও সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।” মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে বিনা কারণে শাস্তি দেন না। বান্দা অবাধ্য হলে তখনই সে শাস্তির উপযুক্ত হয়। এজন্য দুনিয়াতে থাকতেই নেক আমল করে নিতে হবে। মৃত্যু হলে আর এ সুযোগ পাওয়া যাবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- শোকরগুজারী করলে নিয়ামত বৃদ্ধি পাবে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নাফরমানী ত্যাগ করে বেশি বেশি নেক আমলে মশগুল থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার অফুরন্ত নিয়ামতের শোকরগুজারী করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি। তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হালাল ও নেক কাজে দায়েমীভাবে মশগুল হওয়া এবং সর্বপ্রকার হারাম ও বদ কাজ হতে সর্বদা বিরত থাকা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি যার অন্তরকে প্রসারিত করেন তাকেই হিদায়েত দান করেন। কিভাবে হিদায়েত লাভ করা যাবে আর কি কারণে হিদায়েত থেকে মাহরূম হয়ে যাবে সে বিষয়ে হাক্বীক্বী ইলম হাছিল করতে হলে কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার ব্যতীত কারো জন্য কোন বিকল্প নেই।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার জমীনে তাশরীফ মুবারক আনার কারণে যে খুশি মুবারক প্রকাশ করা হয় উনাকেই সংক্ষেপে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বা ফালইয়াফরহূ শরীফ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে আনন্দিত হওয়া এবং অন্তরের অন্তঃস্থল হতে মুহব্বতের সাথে শুকুর গুজারীর সাথে খুশি প্রকাশ করা।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জ্বীন-ইনসান সকলের জন্যই ইখলাছ অর্জন করা এবং ইখলাছের সাথে প্রতিটি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কেননা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রাণহীন নামায মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মূল্যহীন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণে হাক্বীক্বীভাবে তথা ইখলাছের সাথে নামায আদায় করা এবং উক্ত নামায দ্বারা সমস্ত গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকা।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইলমে তাছাওউফ উনার যাবতীয় কার্যাবলী তারতীব অনুযায়ী নিয়মিত ও পরিমিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে এবং প্রতিটি আমলের জবাবদিহী এবং আত্মসমালোচনার জন্য ‘মুহাসাবা’ বা ‘নিজস্ব আমলের হিসাব গ্রহণ’ অতীব জরুরী।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক। কাজেই, প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, প্রতিদিন অন্তত একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক অত্যন্ত মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে পাঠ করা।
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ! যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ ও পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












