নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার উম্মতের প্রতি সবকিছুর পূর্বে নামাযকে ফরয করেছেন এবং ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযেরই হিসাব গ্রহণ করবেন। ’ নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
তাই, মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে, প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত নামায অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে ইখলাছের সাথে সময়মত আদায় করা।
, ০৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৩, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
![মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার উম্মতের প্রতি সবকিছুর পূর্বে নামাযকে ফরয করেছেন এবং ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযেরই হিসাব গ্রহণ করবেন। ’ নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!](https://www.al-ihsan.net/uploads/1715455323_ معراج المؤ منين.gif)
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা নামাযের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। মানুষ ও শিরকের মধ্যে নামাযই একমাত্র অন্তরায়। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নিদর্শন হচ্ছেন নামায। কাজেই যে নামায তরক করলো বা ছেড়ে দিলো, সে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নিদর্শনকে মুছে ফেললো। ” নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ‘মুসনাদে আহমদ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি সম্মানিত নামায উনার হিফাযত করলো না অর্থাৎ আদায় করলো না, ক্বিয়ামতের দিন সে নাজাত পাবে না ও নাজাতের সনদও সে পাবে না এবং সে কোনো প্রকার নূর বা আলোও পাবে না, আর সে ফিরআউন, হামান ও উবাই ইবনে খলফ্ প্রভৃতি কাফির ও মুনাফিকদের সাথে জাহান্নামে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ১০টি ওছীয়ত মুবারক করেন তন্মধ্যে প্রথমটি হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কাউকে শরীক করবেন না; যদিও আপনার দেহকে খ--বিখ- করা এবং আগুনে পোড়ানো হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো, কোনো অবস্থাতেই ফরয নামায ত্যাগ করবেন না। কারণ যে ইচ্ছাকৃত ফরয নামায ত্যাগ করে বা ছেড়ে দেয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার কোনোই দায়িত্ব গ্রহণ করেন না। নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নামায না পড়ার শাস্তি অত্যন্ত ভয়ানক। যেমন “বুখারী শরীফ” উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, “একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ফজর নামাযের পর ইরশাদ মুবারক করেন, আজ রাতে দু’জন ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা এসে আমাকে উনাদের সাথে নিয়ে চললেন। পথিমধ্যে দেখতে পেলাম এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছে এবং আর এক ব্যক্তি তার শিয়রে দাঁড়িয়ে খুব জোরে তার মাথায় পাথর মারতেছে। পাথরের আঘাতে তার মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে এবং নিক্ষিপ্ত পাথর খ-ও ছিটকে দূরে গিয়ে পড়তেছে। আর আঘাতকারী পাথর তুলে আনার ফাঁকে ঐ চূর্ণ মাথা পুনরায় ঠিক হয়ে যাচ্ছে এবং ঐ ব্যক্তি পুনরায় পাথর দিয়ে শায়িত ব্যক্তির মাথায় আঘাত করতেছে এবং সাথে সাথে মাথা ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে যাচ্ছে এবং দূরে ছিটকে পড়া পাথর আনার ফাঁকে আবার তার মাথা জোড়া লেগে যাচ্ছে। এরূপ সে বারবার পাথর দিয়ে আঘাত করতেছে এবং মাথাও বারবার জোড়া লাগতেছে। আমি তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম, এই ব্যক্তি কে এবং তার অপরাধই বা কি? হযরত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উভয়ে বললেন, এই ব্যক্তি ফরয নামায তরক করে শুয়ে পড়তো অর্থাৎ সে ফরয নামায আদায় করতো না। ” নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত নামায তরককারী ব্যক্তি সবখানে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। অত্যন্ত যিল্লতের সাথে তার মৃত্যু হবে। তার কবর এত সংকীর্ণ হবে যে, একদিকের পাঁজরের হাড় অন্যদিকে চলে যাবে, কবরে আগুন জ্বলতে থাকবে এবং তার কবরে সুজা-আকরা নামক একটি ভয়ানক অজগর নিয়োগ করা হবে। উক্ত সাপটির দু’চোখে আগুনের ফুলকী এবং নখগুলি সারশ পাখির মতো প্রায় ১২ ক্রোশ লম্বা। তার আওয়াজ বজ্রের ন্যায় হবে এবং তার আঘাত এত কঠিন হবে যে, প্রতি আঘাতে ৭০ গজ মাটির নিচে চলে যাবে। এভাবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত শাস্তি চলতে থাকবে। নাউযুবিল্লাহ! অতঃপর ক্বিয়ামতের দিন অত্যন্ত কঠিনভাবে বে-নামাযীর হিসাব গ্রহণ করা হবে এবং তাকে বহু অপমানজনিতভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে, প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত নামায অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে ইখলাছের সাথে সময়মত আদায় করা। নামায তরকের ভয়ানক পরিণতির কথা চিন্তা ও উপলব্ধি করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলের জন্যই ফরয।
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে মুহব্বত করবেন।
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার ৩৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সম্মানিত কিতাব উনার মধ্যে আসমান-যমীন সৃষ্টির শুরু থেকে গনণা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হচ্ছে হারাম বা সম্মানিত মাস। এটাই সঠিক দ্বীন। তোমরা এই মাসগুলোতে নিজের প্রতি জুলুম করো না। ” হারাম বা সম্মানিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ অন্যতম।
১৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয। ”সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবে আসন পেতে বসে থাকে। যখন সে যিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয়, তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়। ” মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির সমস্ত কামিয়াবীর সোপান।
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে।
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)