নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সর্বপ্রকার খেলাধুলাই হারাম।’
মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া অনুযায়ী- সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হারাম। খেলাধুলা করা, দেখা, সমর্থন করা, এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা সবই সুস্পষ্ট হারাম ও নাজায়িজ। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে- বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, দেখা, দেখে খুশি প্রকাশ করা ও উৎসাহিত করা থেকে সর্বোতভাবে বিরত থাকা এবং খালিছ তাওবা-ইস্তিগফার করা।
আর সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সব সময়ের জন্যই ৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে হারাম খেলাধুলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
, ২৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১২ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৭ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার লক্ষ্যে ইহুদী-খ্রিস্টানরা বিশ্বকাপ ফুটবল, ক্রিকেট, অলিম্পিক ইত্যাদি নানা প্রকার খেলতামাশা দ্বারা মুসলমান উনাদেরকে হারাম আনন্দে মশগুল করে দিচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১০৯ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আহলে কিতাবদের অর্থাৎ ইহুদী-নাছারা অর্থাৎ বিধর্মীদের মধ্যে অনেকেই তাদের অন্তরে নিহিত হিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেকে কাফিরে পরিণত করতে।” নাউযুবিল্লাহ! তাই তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে, মুসলমান উনাদেরকে ঈমানহারা করার জন্য। যেমন একদিকে খেলার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করছে, অপরদিকে টেলিভিশনে খেলা ও হাজারো অশ্লীলতা দেখিয়ে মুসলমান উনাদের ধর্মীয় অনুভূতি নষ্ট করে চরম পাপাচারে লিপ্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করছে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। তবে টিভিতে খেলা দেখা বা অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখা আরো কঠিন ও অধিক গুনাহর কারণ। কেননা, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে টিভি তথা ছবি দেখা, রাখা ইত্যাদি সবই হারাম। খেলা সম্পর্কিত কোনো দেশকে, দলকে বা ব্যক্তিকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা, খেলা দেখার ব্যাপারে সাহায্য করা, পতাকা উড়ানো, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয় কামনা করে দোয়া করা, রোযা রাখা, দেশের, দলের, ব্যক্তির জয়ে খুশি প্রকাশ করা, হাতে তালি দেয়া, রং ছিটানো ও শুকরিয়া আদায় করা সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী। কারণ পবিত্র আক্বাইদ শরীফ উনার কিতাবে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, ‘হারামকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী।’ আর যে কুফরী করে সে মুরতাদ হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া অনুযায়ী- সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হারাম। খেলাধুলা করা, দেখা, সমর্থন করা, এ উপলক্ষে খুশি করা সবই সুস্পষ্ট হারাম ও নাজায়িজ। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে- বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, দেখা, দেখে খুশি প্রকাশ করা ও উৎসাহিত করা থেকে সর্বোতভাবে বিরত থাকা এবং খালিছ তাওবা-ইস্তিগফার করা। আর সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সব সময়ের জন্যই ৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে হারাম খেলাধুলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষ্যে সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ‘পাঁচ রাতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়। এক. পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ১লা রাত, দুই. পবিত্র বরাত উনার রাত, তিন. পবিত্র ক্বদর উনার রাত, চার ও পাঁচ. দুই ঈদের দুই রাত।’ সুবহানাল্লাহ!
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা।
০২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সরকার পবিত্র ঈদে অস্বচ্ছল মুসলমানদেরকে সহযোগিতা করে না অথচ মাত্র ১.৫% বিধর্মীদের পূজায় ঠিকই সাহায্য করে। যা কখনোই সম্মানিত দ্বীন ইসলামসম্মত নয়। বাংলাদেশের ৯৮% অধিবাসী মুসলমানরা এটা কখনোই মেনে নিতে পারে না।
০২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া তাহকীক বা যাচাই-বাছাই করে হক্ব ও ছহীহ জায়গায় দিতে হবে। যেখানে সেখানে বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে দেয়া যাবে না। পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া বা তার মূল্য দেয়ার উপযুক্ত ও সর্বোত্তম স্থান হলো- ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’। সুবহানাল্লাহ!
০১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফায়ছালা হলো- পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ১০ তারিখ ছুবহে ছাদিক হতে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কোনো পুরুষ ও মহিলা মালিকে নিছাব হয়, তখন তার জন্য পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
৩১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র নিসবতে আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
৩০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ২, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৮, ১৯, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ এবং ২৯ তারিখ মহাসম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই, এই মহাসম্মানিত দিবসসমূহ যথাযথ তা’যীম, তাকরীম, জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপন করা সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য।
২৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যদি চাঁদ দেখা যায়, তবে আজ বাদ মাগরিব থেকেই পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস শুরু হয়ে যাবে। আর যদি আজ চাঁদ দেখা না যায়, তবে আগামীকাল বাদ মাগরিব থেকে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস শুরু হবে। সুবহানাল্লাহ!
২৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- ছবিভিত্তিক ডিজিটাল কুরবানীর হাটের ব্যবস্থা অর্থাৎ ভিডিও বা ছবির মাধ্যমে পবিত্র কুরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরা গুনাহ। এতে করে উপার্জিত অর্থ যেরূপ হারাম হবে তদ্রুপ কুরবানীদাতার পবিত্র কুরবানীও বাতিল হবে।
২৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মক্কা শরীফ ও মহাসম্মানিত মদীনা শরীফ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন বরকতময় স্থান। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র মক্কা শরীফ ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা হাজী ছাহেবসহ সকলের জন্যই ফরয। অতএব, সকলকেই সর্বদা, সর্বক্ষেত্রে পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের ইজ্জত, সম্মান, হুরমত মুবারক বজায় রাখতে হবে। নচেৎ ঈমানহারা হওয়া ব্যতীত কোনো গতি থাকবে না।
২৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)