মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার মাধ্যমেই সর্বপ্রকার নেয়ামত মুবারক হাছিল করা সম্ভব
, ০৬ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো বা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। ” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ أَحْيَا سُنَّتِيْ فَقَدْ أَحَبَّنِيْ وَمَنْ أَحَبَّنِيْ كَانَ مَعِيَ فِي الْجَنَّةِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলো, সে মূলত আমাকেই মুহব্বত করলো আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলো, সে আমার সাথে সম্মানিত জান্নাতে থাকবে। ” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আদেশ-নিষেধ মুবারকগুলি সূক্ষ¥াতিসূক্ষ¥ পালন করতে হবে। আর উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক যে আঁকড়িয়ে ধরবে তার জন্য বিশেষ মর্যাদা রয়েগেছে। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حَضْرَتِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِيْ عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِيْ فَلَهٗ أَجْرُ مِائَةِ شَهِيْدٍ .
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের যামানায় একটিমাত্র সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরবে, সে একশত শহীদ উনাদের ছাওয়াব লাভ করবে। ” সুবহানাল্লাহ!
এখন আমরা জানি, একজন শহীদ উনার ছওয়াব অনেক। তাহলে একশত শহীদ উনাদের ছওয়াব তো আরো অধিক। এখন আমরা যদি একশত শহীদ উনাদের ছওয়াব পেতে চাই, তাহলে আমাদেরকে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ দৃঢ়ভাবে করতে হবে। আর মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে অনুসরণের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত জান্নাতে অবস্থানের সৌভাগ্য লাভ করা যায়। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, সমস্ত ক্বায়িনাতের আমল যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর একখানা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক যদি অপর পাল্লায় রাখা হয়, তাহলে একখানা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পাল্লা ওজনে বেশি ভারী হবে। সুবহানাল্লাহ!
শুধু তাই নয়, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনেক ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক বর্ণিত রয়েছে। মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণের ফলে অসংখ্য নেয়ামত মুবারক হাছিল করা যায়। যেমন-
(১) রহমত মুবারক লাভ করা যায়।
(২) হিদায়েত লাভ করা যায়।
(৩) সকল কাজে পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করা যায়।
(৪) একশত শহীদ উনাদের ছওয়াব লাভ করা যায়।
(৫) সম্মানিত জান্নাত নছীব হয়।
(৬) মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা যায়। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফত ও উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দি- সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে হলে অবশ্যই অবশ্যই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক অন্তর থেকে মুহব্বতের সাথে পালন করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে মুহব্বতের সাথে সকল মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদী করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘হাইস’
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিবাহ-শাদী করার খাছ সুন্নতী তারতীব ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সেলাইবিহীন সুন্নতী ইযার বা লুঙ্গি
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদী করার খাছ সুন্নতী তারতীব ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩) পূর্ব প্রকাশিতের পর
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী দস্তরখানা ও সুন্নতী কাঠের প্লেট, বাটি, পেয়ালা ও লবণদানি
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদী করার খাছ সুন্নতী তারতীব ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাবারের সময় দস্তরখানা ব্যবহার করা সুন্নত
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিবাহ-শাদী করার খাছ সুন্নতী তারতীব ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল “আনার বা ডালিম
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যয়তুন খাওয়া ও ব্যবহার করা উভয়টাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন ঘুম বা বিশ্রামের জন্য সুন্নতী চকি
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)