মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালা জাহান্নামী।” নাউযুবিল্লাহ!
দেশী ও বিদেশী সিনেমা, টিভি চ্যানেলে ও বিলবোর্ডে প্রদর্শিত অশ্লীল ছবি, অশ্লীল প্রিন্ট ছবিই নারী নির্যাতনসহ সকল প্রকার অপকর্মের আসল কারণ। অর্থাৎ প্রাণীর ছবিই সকল ফিৎনার মূল। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্দেশ মুবারক মেনে ছবি তোলা, অঁাকা, রাখা বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নারী নির্যাতন কেন; মূলত কোনো অপকর্মই বন্ধ হবে না। তাই ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের সরকারের উচিত— মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দ্বারা নিষিদ্ধ বা হারাম প্রমাণিত ছব
, ২০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু
সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল
জাব্বারিউল আউওয়াল,
আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু
বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত
সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
‘যমীনে এবং পানিতে যত ফিতনা—ফাসাদ (কথিত নারীটিজিং, নারী
অধিকার হরণ, নারীর সম্ভ্রম লুন্ঠন,
দুর্ভিক্ষ, খাদ্যাভাব, সহিংসতা, সামাজিক অস্থিরতা) অর্থাৎ আযাব—গযব সব মানুষের হাতের
কামাই।’
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে নারীটিজিং বা অশ্লীলতা
সমাজের একটা মারাত্মক সমস্যা। আমাদের দেশ এমন পর্যায়ে ছিল না। আমাদের সমাজে নারীর
প্রতি যে সদ্ব্যবহার ছিল তা কমে যাচ্ছে। বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে এমন হচ্ছে।
হিন্দি সিনেমা, ইংরেজি ছবির অশ্লীল দৃশ্য ছোট—বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। হিন্দি, ইংরেজি
এমনকি বাংলা সিনেমাতেও নারীটিজিংয়ের দৃশ্য এমনভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে, যেন এটা
খুবই ভালো কাজ! নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পর্যালোচনায় জানা গেছে, আধুনিক
কবিতা গল্প সাহিত্য নাটক সিনেমার ৯০ ভাগ জুড়ে এখন তরুণ—তরুণীর অশ্লীলতার
ছড়াছড়ি। এছাড়া নারীটিজিংকে তথাকথিত বড় এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে
বিভ্রান্ত তরুণ নির্মাতারা। পর্দায় এসব দেখেই কোমলমতি ছেলেরা নারীটিজিং শিখে।
নাউযুবিল্লাহ! আর এসবের মূলে রয়েছে হারাম ছবি। তাই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত হারাম
ছবি থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশ মুবারক দিয়েছে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো— সমাজে শুধু নারীটিজিং
নয়— পরকীয়া, খুন, নারীর অধিকার হরণ,
নারীর সম্ভ্রম লুন্ঠন, সামাজিক অস্থিরতাসহ সকল অপকর্ম
কখনই দূর হবে না;
যতক্ষণ পর্যন্ত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ
শরীফ উনাদের মধ্যে ঘোষিত ‘ছবি তোলা হারাম’— এ মূল্যবোধের জাগরণ না ঘটবে। কাজেই
এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের সরকারের দায়িত্ব—কর্তব্য হলো, দেশে এমন
সমাজ তৈরি করা; যেখানে ছবি তোলা ও দেখার মতো কবীরা গুনাহর কোনো সুযোগ থাকবে না এবং চর্চাও
থাকবে না। সরকারকে মনে রাখতে হবে, মুসলমানরা পরকালে বিশ্বাসী; তাই মুসলমানদের পারলৌকিক কল্যাণ
সাধনের দায়িত্বও সরকারের। এক্ষেত্রে সরকারের অনিবার্য কর্তব্য, মহাপবিত্র
কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দ্বারা হারাম প্রমাণিত ছবির ব্যবহার
নিষিদ্ধ করা এবং ছবি সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিষয় থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফাসিক, ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংখ্য অগণিত পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ বিদ্যমান রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কালিমা শরীফ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে- পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামসহ অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে কাফিরদের প্রণীত গণতন্ত্র ও ভোট-নির্বাচন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ! অতএব, মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- কাফিরদের প্রণীত গণতন্ত্র ও ভোট-নির্বাচনসহ সর্বপ্রকার মতবাদ বাদ দিয়ে হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সম্পর্কে ইলম অর্জন করে সে অনুযায়ী আমল করা।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












