মানুষ পুড়ে মরে, তবুও বীরদর্পে চলে ওরা
, ২১ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) তাজা খবর
ভয়াবহ আগুন ও মর্মান্তিক মৃত্যুর পুনরাবৃত্তি আবারও ঘটল রাজধানীতে। ৪৬ মৃত্যুর ঘটনার মধ্য দিয়ে বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনজুড়ে এখন দগদগে ক্ষতের চিহ্ন। এ অগ্নিকা- আরেকবার জানিয়ে দিলো, ঢাকা শহর কতটা অনিরাপদ, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। আবারও সামনে এলো সামগ্রিক গাফিলতির আরেকটি উদাহরণ।
এর আগে পুরান ঢাকার নিমতলী, চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ার, সাভারের তাজরিন ফ্যাশন, সীতাকু-ের বিএম ডিপোর অগ্নিকা-ে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার পর নড়েচড়ে বসে সরকার। গঠন হয় তদন্ত কমিটি।
প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু কমিটির প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। আশ্বাস দেয়া হয় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। কিন্তু দৃশ্যপটে পরিবর্তন দেখা যায় না। ক’দিন বাদে সবাই ভুলে যায়। পুরানো ফাইলগুলো চাপা পড়ে যায় নতুনত্বের ভিড়ে। ফলে এবারও দৃশ্যপটে নতুন কিছু আসবে, থামবে মৃত্যুর মিছিল–এমনটা আশা করা বোকামিই বটে।
প্রতিবারই আগুন বা বিস্ফোরণের পর ব্যাপক আলোচনা হয়। সরকার একের পর এক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বেইলি রোডের ঘটনায়ও সরকার রীতির ব্যত্যয় ঘটায়নি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পুলিশ, র্যাবসহ সিটি করপোরেশন বলেছে, তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
কিন্তু বাংলাদেশে অগ্নিদুর্ঘটনার ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমেই শেষ হয়। যদি কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা বা বিচার করত, সরকার বা ফায়ার সার্ভিসের কথা আমলে নিত, তাহলে বেইলি রোডের যে ভবন আগুনে পুড়ল, সেই ভবন কর্তৃপক্ষকে এর আগেও তিনবার চিঠি দেয়ার পরও কীভাবে সেটি চলছিল?
সেই ২০১২ সালের তাজরিনের ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের বিচার যদি সময়মতো শেষ হতো, তাহলে সম্ভবত নিমতলী, চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ার, সীতাকু-ের বিমএ ডিপো, মগবাজারের রাখি নীড় কিংবা বেইলি রোডে প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু দেখত না দেশবাসী। সব ভবন মালিক থেকে শুরু করে যারা ভাড়া নিচ্ছেন সবাই অন্তত সাজা হওয়ার ভয়ে হলেও সতর্ক থাকতেন।
নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান মনে করেন, দুর্ঘটনা যে কোনো জায়গায় ঘটতে পারে, আগুন লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এভাবে মানুষ বিশ্বের অন্য কোথাও মারা যায় না। কারণ এখানে দুর্ঘটনা ঘটে না, এখানে জেনেশুনে মৃত্যুকূপ তৈরি করে রাখা হয়। কিছুদিন পরপর তা বিস্ফোরণ ঘটায়।
তিনি বলেন, গাফিলতি যতদিন পর্যন্ত না শোধরাবে, অপরাধীরা শাস্তি পাবে; ততদিন এ শহর নিরাপদ হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যোদ্ধাদের হামলায় পুড়ে অঙ্গার দখলদারদের সামরিক যান
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলাদেশের ভিসা স্থগিতে বিপাকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকা
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অপরাধ দমনে কঠোর হচ্ছে বিটিআরসি, একই নামে নিবন্ধিত সিম নামছে পাঁচে
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
গণভোট আয়োজনকে অসাংবিধানিক অ্যাখ্যা দিয়ে ইসিতে চিঠি
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বায়ুদূষণের শীর্ষে রাজধানী ঢাকা
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধন প্রস্তাব পাশ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ’
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা পূর্বপরিকল্পিত, তীব্র নিন্দা ঢাকার
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গাজা যুদ্ধের কারণে বাজেট ঘাটতি তীব্র
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রশংসা করল হামাস
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












