নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার প্রতি অধিক দরূদ শরীফ পাঠকারী কিয়ামতের দিন আমার সর্বাধিক কুরবত মুবারক লাভ করবেন।
মালিকুল মিনআম, ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য অপরিসীম সুসংবাদ
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি প্রতিদিন বাদ ইশা একশতবার এবং প্রতিদিন বাদ ফজর একশতবার ত্বরীক্বা অনুযায়ী পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করা।
, ১৮ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ৪ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার ৬২নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “যদি তারা মু’মিন হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা। উনারাই সন্তুষ্টির অধিক হকদার।” অর্থাৎ মু’মিন হতে হলে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। এখন মহান আল্লাহ পাক উনাকে সন্তুষ্ট করার একমাত্র উছীলা মুবারক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে মহান আল্লাহ পাক উনাকে সন্তুষ্ট করা সহজ ও সম্ভব। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সন্তুষ্ট করার বা উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার সবচেয়ে সহজ এবং বিশেষ উছীলা মুবারক হচ্ছেন পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করা।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার ৬২ নং আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়। যখন পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হলো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে সন্তুষ্ট করতে হবে, তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম, হযরত মিকাইল আলাইহিস সালাম, হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম এই চারজন ফেরেশতা উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে এসে আরজী করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা জানতে পেরেছি, আমরা বুঝতে পেরেছি যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক পেতে হলে প্রথমে আপনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করতে হবে। সেজন্য আমরা চারজন এসেছি চারটি আরজু নিয়ে। আপনি দয়া করে আমাদের সেই চারটি আরজু যদি কবুল করতেন, তাহলে আমরা ইতমিনান লাভ করতে পারতাম। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা কি আরজু নিয়ে এসেছেন?
প্রথমে আরজু পেশ করলেন মালাকুল মউত হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার সন্তুষ্টি মুবারকের লক্ষ্যে আমি নিয়ত করেছি, আপনার যে উম্মত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যে বান্দা প্রতিদিন আপনার প্রতি মাত্র দশবার পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করবে, আমি এমন ভাবে রূহ তার কবজ করব যেমন আমি অতীতে হযরত নবী এবং রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রূহ মুবারক কবজ করেছি। সুবহানাল্লাহ। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই আরজু মুবারক কবুল করলেন। সুবহানাল্লাহ।
দ্বিতীয়ত আসলেন হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি নিয়ত করেছি আপনার যে উম্মত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যে বান্দা প্রতিদিন আপনার প্রতি মাত্র দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, সেই কঠিন হাশরে মানুষ যখন গুণাহর ফিকিরে পেরেশান থাকবে তখন আমি সেজদায় পড়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সুপারিশ করে তার জিন্দেগীর সমস্ত গুণাহ-খতাগুলি আমি ক্ষমা করিয়ে দিবো। সুবহানাল্লাহ। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই আরজুও কবুল করলেন। সুবহানাল্লাহ।
তৃতীয়ত আসলেন হযরত মিকাইল আলাইহিস সালাম। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি নিয়ত করেছি আপনার যে উম্মত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যে বান্দা প্রতিদিন আপনার প্রতি মাত্র দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, কঠিন হাশরের দিন মানুষ যখন পানির পিপাসায় হন্যে হয়ে ঘুড়তে থাকবে, হাউজে কাউসারের পানি ব্যতীত কোন পানি থাকবেনা, আমি স্বয়ং নিজ হাতে হাউজে কাউসারের পানি নিয়ে তাকে পান করাবো। সুবহানাল্লাহ। যে পানি পান করার পর জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবেনা। সুবহানাল্লাহ। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই আরজুও কবুল করলেন সুবহানাল্লাহ।
চতুর্থত আসলেন হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি নিয়ত করেছি আপনার যে উম্মত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যে বান্দা প্রতিদিন আপনার প্রতি মাত্র দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, আমি তাকে হাতে ধরে চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে জান্নাতে পৌছে দিবো। সুবহানাল্লাহ। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই আরজুও কবুল করলেন। সুবহানাল্লাহ।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এ পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মাত্র দশবার পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করবে, তাকে চারটি বিশেষ মর্যাদা দান করা হবে। প্রথমত, মালাকুল মউত হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম তিনি তার রূহ এমন ভাবে কবজ করবেন যেমন অতীতের হযরত নবী এবং রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রূহ মুবারক কবজ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ। দ্বিতীয়ত, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম তিনি হাশরের দিন সেজদায় গিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সুপারিশ করে তার জিন্দেগীর গুনাহখাতা গুলো ক্ষমা করিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ। তৃতীয়ত, কঠিন হাশরের দিন মানুষ যখন পানির পিপাসায় হন্যে ঘুরতে থাকবে স্বয়ং হযরত মিকাইল আলাইহিস সালাম তিনি হাউজে কাওছার থেকে পানি নিয়ে সেই ব্যক্তিকে পান করাবেন। চতুর্থত, হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম তিনি সেই ব্যক্তির হাত ধরে চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে জান্নাতে পৌছে দিবেন। সুবহানাল্লাহ।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির মূল। তাই, উনার পবিত্র দরূদ শরীফ সমস্ত ভালাইয়ের চাবিকাঠি। পবিত্র দরূদ শরীফ ব্যতিত দুআ কবুল হয়না, নামাজ কবুল হয়না। আবার পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে ভুলে যাওয়া বিষয় স্মরণ হয়, গুণাহ-খ¦তা ক্ষমা হয়, বিপদ-আপদ দূর হয়, বালা-মুছীবত থেকে মুক্তি লাভ হয়, রোগ-ব্যধি হতে শিফা লাভ হয়। সামগ্রিকভাবে জীবনের প্রতিটি বিষয়ে পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠের কোন বিকল্প নেই।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক সালিককে প্রতিদিন বাদ ইশা একশতবার এবং প্রতিদিন বাদ ফজর একশতবার ত্বরীক্বা অনুযায়ী পবিত্র দরূদ শরীফ আবশ্যিকভাবে পাঠ করতে হবে। যা পাঠ করা শিশু হতে বৃদ্ধ এবং পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সবার জন্যই অত্যাবশকীয়, ফরযে আইন। বাদ ইশার পবিত্র দরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক, মা’রিফাত মুবারক, তায়াল্লুক মুবারক, নিসবত মুবারক, কুরবত মুবারক এবং সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিল হয়। একইভাবে বাদ ফজরের পবিত্র দরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠের মাধ্যমে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের, বিশেষ করে আপন হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক, মুহব্বত মুবারক, মা’রিফাত মুবারক, তায়াল্লুক মুবারক, নিসবত মুবারক, কুরবত মুবারক এবং সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিল হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মালিকুল মিনআম, ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য অপরিসীম সুসংবাদ। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি প্রতিদিন বাদ ইশা একশতবার এবং প্রতিদিন বাদ ফজর একশতবার ত্বরীক্বা অনুযায়ী পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুসারে- ‘যে পুরুষ ও মহিলা নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ। ’ নাউযুবিল্লাহ!
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীক্বীভাবে পালন করা হলো সন্তুষ্টিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ! যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ ও পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
১৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা।
১২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা, পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা, পবিত্র না’ত শরীফ পাঠ করা এবং উনার আলোচনা মুবারক করা ফযীলত, বরকত ও মর্যাদা হাছিলের কারণ।
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হারাম বা সম্মানিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ অন্যতম। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- খ্বালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিলে পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার হক্ব যথাযথভাবে আদায় করা।
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইলমে তাছাওউফ উনার যাবতীয় কার্যাবলী তারতীব অনুযায়ী নিয়মিত ও পরিমিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে এবং প্রতিটি আমলের জবাবদিহী এবং আত্মসমালোচনার জন্য ‘মুহাসাবা’ বা ‘নিজস্ব আমলের হিসাব গ্রহণ’ অতীব জরুরী।
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোচ্চ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
০৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক ঈমানের ভিত্তি বা মূল। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বাধিক মুহব্বত করা, উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা এবং উনাকে হাক্বীক্বীভাবে অনুসরন-অনুকরন করা।
০৬ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র আশুরা শরীফ সীমাহীন রহমত, বরকত, সাকীনাহ এবং ইতমিনান লাভ করার বিশেষ সুযোগ।
০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি ও আখেরী রসূল মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন, এছাড়া বাকি সব কিছু। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সমুন্নত শান-মান মুবারক নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ করা, উনাদের সমালোচনা করা সুস্পষ্ট হারাম, কুফরী ও কবীরাহ গুণাহ এবং কঠিন লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ। মূলত, উনারাই হচ্ছেন ঈমান এবং জান্নাতের মালিক। উনাদের প্রতি ঈমান না আনলে ঈমানদার হওয়া যায়না। জান্নাতীও হওয়া যায়না।
০৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
০২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণকারীগণই ছালিহীন হিসেবে পরিগণিত হবেন। একইভাবে ছালিহীন হতে হলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে।
০১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)