মূল্যস্ফীতিতে নাভিশ্বাস
, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর
দীর্ঘদিন থেকে মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলে মানুষের প্রকৃত আয় কমছেই। অনেকে ধারদেনা করে চলছে, খাচ্ছে কম। সাধারণত মজুরি বাড়ার হার মূল্যস্ফীতির কিছুটা বেশি থাকে। তবে প্রায় তিন বছর ধরে সেই চিরায়ত প্রবণতায় টান পড়েছে; উল্টো পথে হাঁটছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সূচক। এতে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ।
বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নভেম্বর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩.৮০ শতাংশ। বস্তুত গত এক বছর ধরেই ১০ শতাংশের ওপরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। মানুষ পরিমাণমতো পণ্য কিনতে ব্যর্থ হচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে আপস করতে হচ্ছে। আপস করতে গিয়ে অতি প্রয়োজনীয়টা গ্রহণ করে অন্যটিকে ছাড় দিচ্ছে। ফলস্বরূপ পরিবারকে পুষ্টিহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা আগামীতে স্বাস্থ্যখাতে মানুষের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। মানুষের ভবিষ্যৎকে কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব বেশি পড়বে।
নবগঠিত অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল মূল্যস্ফীতি কমবে, দেশের অর্থনীতি আবার স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। অন্তর্র্বতী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদও দায়িত্ব নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে এখনো তার প্রতিফলন নেই।
বাজারের খরচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মজুরি বাড়ছে না। দীর্ঘ সময় ধরে মজুরি বৃদ্ধির হারের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি। গরিব মানুষ এক বছর আগে ১০০ টাকা দিয়ে যে পণ্য কিনতে পারত, এখন তার ৬০ শতাংশ পণ্যও কিনতে পারে না। মানুষের প্রকৃত আয় ভয়ানকভাবে কমে যাচ্ছে। খরচ করার সামর্থ্য কমছে। অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। অনেকের তো সঞ্চয়ও নেই। বিবিএস একটি গড় জাতীয় মূল্যস্ফীতির হিসাব দেয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে গরিব মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ আরো বেশি।
মিলছে না মজুরি বৃদ্ধির সুফল
দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার কম থাকা বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, আয় কমে যাওয়ায় গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ খাবার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে খরচ কাটছাঁট করছে। ফলে নারী, শিশু, তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থীদের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তারা শিক্ষায় পিছিয়ে যেতে পারে। এতে সার্বিক অর্থনীতির উৎপাদনশীলতা কমার শঙ্কা আছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশি বলে খুন: জুয়েলের জানাজায় শোক আর ক্ষোভের ছায়া
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এখনই টাকা পাচ্ছেন না একীভূত ব্যাংকের আমানতকারীরা
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
লন্ডনে কর্মহীন ৪০ শতাংশ বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ঢাকা-৩ আসনে ১০ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছেলের অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাক চাপায় মায়ের মৃত্যু
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের একটি প্রস্তাবও বাস্তবায়ন হয়নি’
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে ই-সিগারেটসহ সব নতুন তামাক পণ্য নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘গত ১৫ বছরে দেশে প্রকৃত অর্থে কোনো নির্বাচন হয়নি’
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘রোববার কমিশনে উঠছে তারেক রহমান ও জাইমার ভোটার হওয়ার নথি’
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ নির্বাচনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করতে পারে’
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বছরের শুরুতে বন্ধ হচ্ছে অতিরিক্ত সিম ব্যবহার
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












