ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ৮০ টাকার তরমুজ ৫০, লেবুর হালি ৩০

, ০৬ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর

রাজবাড়ী সংবাদদাতা:

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারের ফল, কাঁচামাল ও নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত জুমুয়াবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের সময় দেখা গেলো, এই বাজারে গত কয়েকদিন ধরে তরমুজসহ নিত্যপণ্য চড়া দামে বিক্রি করলেও ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে জুমুয়াবার সকাল থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা তরমুজ দুপুরে ৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা। এমনকি ৮০ টাকা কেজির সবজি ৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ৫০ টাকা হালির লেবু ৩০ টাকায় বিক্রি করেছেন। অনেক ব্যবসায়ী আবার ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে দোকানের সামনে কাপড় ঢেকে সরে গেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তরমুজ বিক্রেতাদের কেনার রসিদ যাচাই-বাছাই করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি বিভিন্ন মুদি দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানানোসহ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন। একজন ফল বিক্রেতা ক্রয়ের রসিদ দেখাতে না পারায় এবং বেশি দামে বিক্রি করায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তরমুজ ও নিত্যপণ্য বেশি দামে বিক্রি করায় এ অভিযান চালানো হয়।

গোয়ালন্দ বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মনির হোসেন বলেন, বুধবার যে তরমুজ ৪৫০ টাকায় কিনেছি, সেই তরমুজ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি বাজারের সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন অভিযান চালানোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

গোয়ালন্দ পৌরসভার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, জুমুয়াবার সকালে যে তরমুজ আমার কাছে ৩৫০ টাকা চেয়েছিল, সেটি ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে ২২০ টাকায় কিনেছি।

ট্যাগসমূহঃ