মন্তব্য কলাম
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
, ০৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
End User Agreement) নামক একটি চুক্তিতে স্পষ্ট করে বলা থাকে, যুদ্ধবিমান কিভাবে, কোথায় এবং কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে, তা নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর আসে আইটি এআর নামক আরেকটি বিধিনিষেধ, যা শুধু অস্ত্র বিক্রির নিয়ন্ত্রণই করে না, বরং প্রতিটি যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার কোড এবং আপগ্রেড প্রক্রিয়াতেও যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী দখলদারি নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের বোঝা আমেরিকার এফ-১৬, আমেরিকান শর্ত অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেনি ভারতের বিরুদ্ধে
আমেরিকান যুদ্ধ বিমান কিনে ব্যবহার করতে পারেনি ইরান, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশও
ইচ্ছামতো যখন তখন যে কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না আমেরিকান যুদ্ধবিমান। যার কারণে হ্যাঙ্গারেই শোপিস হিসেবে পড়ে আছে অনেক যুদ্ধবিমান
তাই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তথাকথিত অত্যাধুনিক এফ-৩৫ কিনেনি ভারত
অথচ ইসরায়েল কঠিন শর্ত মেনেই মার্কিন এফ-৩৫ কেনার চুক্তি করেছে সৌদি আরব
শর্ত হচ্ছে সৌদি আরবের কেনা আমেরিকান যুদ্ধবিমান কখনই ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না
মূলতঃ ইরান ও হুতি তথা অন্য মুসলমান দেশ ও মুসলমানদের উপর আক্রমণ করার জন্যই
সৌদি আরবের হাজার হাজার কোটি ডলার দিয়ে আমেরিকান যুদ্ধবিমান কিনা। (নাউযুবিল্লাহ)
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে ভারতীয় বিমান হামলার প্রেক্ষিতে অভিযোগ উঠেছিল, পাকিস্তান এফ-১৬ ব্যবহার করে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছিল। যদিও সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র নীরব থেকে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছিল।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক এক কর্মকর্তা দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের করার খুব বেশি কিছু নেই। কারণ এন্ড-ইউজার চুক্তির শর্ত আইনিভাবে মানা বাধ্যতামূলক নয়।
সম্প্রতি পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। যা ইতিমধ্যেই আলোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকের মতেই এটি পাকিস্তানের একটি বড় পদক্ষেপ। তবে এই পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে, কেন ইসলামাবাদের হাতে থাকা অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারছে না পাকিস্তান?
দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যানের ভাষায়, পাকিস্তানে ভারতের হামলার পরিধি ২০১৯ সালের চেয়ে অনেক বেশি। পাল্টা জবাবে একাধিক ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের খবর সেই আগের সংকটকেও ছাড়িয়ে গেছে। উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে রয়েছে ৪১০টির বেশি যুদ্ধবিমান। তবে এখানেই বাঁধছে বিপত্তি।
পাকিস্তানের বিমান বহরে থাকা প্রায় ৭৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। জানা গেছে, এই যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার ওপর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন।
শুধু পরিস্তানই নয়, বিশ্বসেরা খ্যাত মার্কিন যুদ্ধবিমান কিনেও ব্যবহার করতে পারছে না ইরান, ভেনেজুয়েলা ও ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশ। ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে মিলিয়ন ডলার দিয়ে কেনা যুদ্ধবিমানও যেন হ্যাঙ্গারে পড়ে আছে শোপিসের মতো।
মার্কিন যুদ্ধবিমান বিশ্বখ্যাত বিবেচিত হওয়ায় এসব যুদ্ধবিমান পেতে মুখিয়ে থাকে ক্রেতারা। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্রয়মূল্য শোধ করেও ব্যবহার করতে পারেনি অনেক রাষ্ট্র। লকহিড মার্টিন এফ-২২, ম্যাকডনেল ডগলাস এফ-১৫ ঈগল, জেনারেল ডাইনামিকস এফ-১৬, কনভেয়ার এফ-১০৬ ডেল্টা ডার্ট, লকহিড ওয়াইএফ-১২ ইত্যাদি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য কিছু মার্কিন যুদ্ধবিমান।
বিক্রি করলেও শর্তজুড়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে। ‘অ্যান্ড ইউজার এগ্রিমেন্ট’ ও ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস’ নামক চুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ থেকে যায় যুক্তরাষ্ট্রের। উল্লেখিত শর্ত ভঙ্গ করলে নিষেধাজ্ঞা।
অর্থাৎ ইচ্ছামতো যখন তখন যে কারো বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না এ যুদ্ধবিমান। যার কারণে হ্যাঙ্গারেই শোপিস হিসেবে পড়ে আছে অনেক যুদ্ধবিমান। যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ব্যবহার করতে পারেনি অনেক রাষ্ট্র। এ যেন বাড়ির মালিক হয়েও ভাড়াটিয়ার মতো থাকার সম্পর্ক।
এর শিকার পাকিস্তান, ইরান, ভেনেজুয়েলা ও ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক রাষ্ট্র।
যখন কোনো দেশ আমেরিকার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনে, তখন শুধু একটা প্লেনই কেনে না-সাথে কিনে নেয় একগুচ্ছ শর্ত, রাজনৈতিক সংযম ও নজরদারির বেড়াজাল। প্রথম ধাক্কা আসে ‘এন্ড-ইউজার এগ্রিমেন্ট’ (EUA) এর মাধ্যমে, যেখানে স্পষ্ট বলা থাকে-এই বিমান যেখানে-সেখানে, যার বিরুদ্ধেই খুশি হয়ে ব্যবহার করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে এদের ব্যবহার প্রায় অসম্ভব।
১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারেনি ঊটঅ-এর শর্তে। বিমানের গতি ছিল, গোলা ছিল, কিন্তু ওড়ার অনুমতি ছিল না।
১৯৭০-এর দশকে ইরান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮০টির মতো এফ-১৪ টমক্যাট ফাইটার জেট কিনেছিল। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্র সব প্রযুক্তিগত সহায়তা ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ফলাফল: একে একে অচল হয়ে পড়ে সেই সময়ের সেরা যুদ্ধবিমানগুলো।
ভেনেজুয়েলা ১৯৮০-এর দশকে কিনেছিল এফ-১৬। কিন্তু হুগো শ্যাভেজের আমেরিকাবিরোধী নীতির কারণে সেখানেও একই ঘটনা। বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে, হ্যাঙ্গারে ঘুমিয়ে পড়ে যুদ্ধবিমান।
ইন্দোনেশিয়াও এই নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়। ১৯৯৯ সালে পূর্ব তিমুরে গণহত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে তাদের এফ-৫ টাইগার-টু রক্ষণাবেক্ষণ অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আরও একটি বড় বাধা হল ওঞঅজ (International Traffic in Arms Regulations)। এর আওতায় প্রতিটি বিমানের সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এমনকি যন্ত্রাংশের উপরও যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি থাকে। ফলে বিমান মেরামত, উন্নয়ন বা অন্য দেশে হস্তান্তর- সবকিছুতেই ওয়াশিংটনের অনুমতি আবশ্যক।
২০১০ সালে ব্রিটিশ অস্ত্র নির্মাতা BAE Systems এমন একটি লঙ্ঘনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা খেয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল: ক্রেতা দেশ মালিক হলেও আসল নিয়ন্ত্রণ থাকে নির্মাতার হাতে। চাইলেই বিমানের আপগ্রেড বা রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় না। রাজনৈতিক সম্পর্কে টান পড়লেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্পেয়ার পার্টস বা টেকনিক্যাল সাপোর্ট।
এই বাস্তবতা কূটনৈতিকভাবে অনেক দেশের জন্য কষ্টদায়ক-কিন্তু নতুন নয়।
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ও রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও তেল কেনার জন্য জরিমানা আরোপের ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। এবার ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ‘এফ-৩৫’ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে ভারত। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবগত করেছে ভারতীয় কতৃপক্ষ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এফ-৩৫ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলো ট্রাম্প। এরপর থেকেই দুদেশের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে সম্প্রতি নয়াদিল্লি মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে, তারা এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহী নয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বুধবার ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণায় নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা ‘হতবাক এবং হতাশ’। এতে মোদি সরকার নিকট ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি করার সম্ভাবনা কম বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস, যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং সোনা আমদানি সম্প্রসারণের কথাও বিবেচনা করছে দেশটি।
এদিকে শুক্রবার (৩১ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ যাবতকালে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। সরকার ভারতে যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ডিজাইন এবং উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে।
দৃশ্যত, মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি এই ‘এফ-৩৫বি’ প্রকৃতপক্ষে একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। অর্থাৎ, লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত হামলা চালানোর পাশাপাশি নজরদারি বা গুপ্তচরবৃত্তির কাজেও একে ব্যবহার করা যেতে পারে। যুদ্ধবিমানটি ‘স্টেল্থ’ শ্রেণির হওয়ায় সহজে একে চিহ্নিত করতে পারে না কোনো রাডার।
‘এফ-৩৫বি’-এর আরও কয়েকটি বৈশিষ্ট রয়েছে। অত্যন্ত ছোট রানওয়েতে একে ওড়ানো সম্ভব। আবার উল্লম্ব ভাবেও অবতরণ করতে পারে। যুদ্ধবিমানটির মূল ভার্সানটির নাম ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’। এর মোট তিন ধরনের মডেল রয়েছে। ‘এফ-৩৫বি’ মূলত বিমানবাহী রণতরীর জন্য তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানের আনুমানিক দাম ১১ কোটি ডলার।
সদ্যসমাপ্ত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’- এর বহুল ব্যবহার করেছে ইহুদি বিমান বাহিনী। এছাড়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটো- দেশগুলোকে এটি প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। যুক্তরাজ্য ছাড়াও নেদারল্যান্ডস এবং ইতালির কাছে রয়েছে এই মার্কিন যুদ্ধবিমান।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধবিমান বিশ্বজুড়ে তথাকথিত অত্যাধুনিক ডিজাইন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং পরীক্ষিত অস্ত্রসজ্জার নামে প্রচারিত। অনেক দেশ এই শক্তির একটি অংশ নিজেদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করতে চায়, যার ফলে মার্কিন যুদ্ধবিমান কেনার প্রতি তাদের আগ্রহ সর্বদা তুঙ্গে থাকে।
অনেকেই মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কিনলে কেবল একটি বিমান নয় বরং সেই শক্তির অংশীদারিত্বও পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্ন।
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস। যা মূলত মনে করিয়ে দেয়, আপনি হয়তো সেই যুদ্ধবিমানের মালিক, কিন্তু আসল নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নেই। অতীতে পাকিস্তান, ইরান, ভেনেজুয়েলা এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো এ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। তারা যুদ্ধ চলাকালীন নিজেদের কেনা বিমান ব্যবহার করতে পারেনি। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বিমানগুলো তখন হ্যাঙ্গারে পড়ে ছিল, যেন ধাতব শো পিচে পরিণত হয়েছে।
এই পরিস্থিতির সূচনা হয় ‘এন্ড ইউজার এগ্রিমেন্ট’ (End User Agreement) নামক একটি চুক্তির মাধ্যমে। এতে স্পষ্ট করে বলা থাকে, যুদ্ধবিমান কিভাবে, কোথায় এবং কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে, তা নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিটি বিমানেই ওয়াশিংটনের থাকবে সরাসরি নজরদারি। ফলে বিমানের ব্যবহার নিয়ে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ থাকে না।
যেমনটি দেখা গেছে ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে। পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারত, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি না থাকায় সেই বিমানগুলো কেবল সীমান্তে চক্কর দিয়েই ফিরে এসেছে। কোনো যুদ্ধমিশনে ব্যবহৃত হয়নি।
এরপর আসে আইটি এআর (International Traffic in Arms Regulation ev ITAR) নামক আরেকটি বিধিনিষেধ, যা শুধু অস্ত্র বিক্রির নিয়ন্ত্রণই করে না, বরং প্রতিটি যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার কোড এবং আপগ্রেড প্রক্রিয়াতেও যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী দখলদারি নিশ্চিত করে। অর্থাৎ, কোনো দেশ চাইলেও তাদের বহরে থাকা মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো রিপেয়ার বা আপগ্রেড করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া। এমনকি ন্যাটো মিত্র দেশগুলোও পুরোপুরি মুক্ত নয়। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের বিএই সিস্টেমকে ওঞঅজ লঙ্ঘনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছিল।
এই নিয়ন্ত্রণ শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তবের মাটিতে আরও গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো এতটাই জটিল প্রযুক্তিনির্ভর যে তাদের রক্ষণাবেক্ষণ, যন্ত্রাংশ পরিবর্তন কিংবা সফটওয়্যার আপডেটের জন্যও আমেরিকান ম্যানুফ্যাকচারারদের ওপর নির্ভর করতে হয়।
যদি যুক্তরাষ্ট্র কোনো কারণে অসন্তুষ্ট হয় বা কোনো দেশকে শাস্তি দিতে চায়, তখনই স্পেয়ার পার্টস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যেমনটি ঘটেছে ইরানের ক্ষেত্রে। ১৯৭০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয় মিত্র ইরান প্রায় ৮০টি অত্যাধুনিক এফ-১৪ টমক্যাট যুদ্ধবিমান কিনেছিল। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সাপোর্ট, যন্ত্রাংশ সরবরাহ এবং সফটওয়্যার আপডেট বন্ধ করে দেয়। ফলে এই সেরা যুদ্ধবিমানগুলো একে একে অচল হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ভেনেজুয়েলাও। তারা ১৯৮০-এর দশকে এফ-১৬ কিনেছিল। কিন্তু হুগো চাভেজের আমেরিকা-বিরোধী অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং সমস্ত স্পেয়ার পার্টস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখা যুদ্ধবিমানগুলো তখন আর আকাশে উড়তে পারেনি।
একইভাবে ইন্দোনেশিয়া ১৯৮০ সালে এফ-৫ টাইগার টু কিনেছিল। কিন্তু ১৯৯৯ সালে পূর্ব তিমুরে গণহত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার ওপর সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে যুদ্ধবিমানের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এর পাশাপাশি মার্কিন যুদ্ধবিমান কেনার সময় চুক্তিতে ছোট হরফে উল্লেখ থাকে, এই বিমানগুলো অন্য কোনো দেশকে বিক্রি করা যাবে না, বিক্রির ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি লাগবে। এসব শর্ত কেবল চুক্তির কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে না, এগুলো হয়ে দাঁড়ায় এক ধরনের রাজনৈতিক বন্ধক।
যুদ্ধবিমান কেনার মাধ্যমে একটি দেশ শুধু প্রযুক্তিই নয়, একটি কূটনৈতিক আনুগত্যও কিনে নেয়, যার দাম দিতে হয় শুধু অর্থ দিয়ে নয়, স্বাধীনতা দিয়েও। সুদের হার অনেক সময় এত বেশি হয়ে যায় যে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয় না।
কিন্তু এতসব নেতিবাচক দিক থাকার পরও সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনা-বেচা নিয়ে চুক্তি করেছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় গত ১৯ শে নভেম্বর হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানাল।
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন অস্ত্রের বড় ক্রেতা। কিন্তু এ পর্যন্ত তারা এফ-৩৫ কেনার সুযোগ পায়নি।
এফ-৩৫ পেলে সৌদি আরব তার বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন করতে পারবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিজের কৌশলগত অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবে বলে আমেরিকা প্রচারণা চালাচ্ছে।
কিন্তু ইসরাইল বলে, সৌদি আরব থেকে ইসরাইলে এফ-৩৫ পৌঁছাতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগে। জেরুজালেম চাইছে সৌদি এফ-৩৫ বিমানের পশ্চিমাঞ্চলে ঘাঁটি স্থাপন নিষিদ্ধ থাকুক। আর সৌদি আরবকে এফ-৩৫ বিমান দিলেও তা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কখনই ব্যবহার করা যাবে না সে শর্তে শক্তভাবে আরোপিত হোক।
যদিও বর্তমানে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক মোটামুটি ভালো, তবে এর আগে তারা সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল এবং একে অপরকে হুমকি হিসেবে দেখেছিল।
সৌদি আরব ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গেও যুদ্ধে জড়িয়েছে। সেই সংঘাত এখনও পুরোপুরি সমাধান হয়নি। বর্তমানে যদিও পরিস্থিতি শান্ত, আগামী কয়েক বছরে তা আবার উত্তপ্ত হতে পারে।
অর্থাৎ আমেরিকা থেকে কেনা অস্ত্র তথা এফ-৩৫ বিমান শুধু ইরান বা হুতি তথা মুসলমানদের জন্য ব্যবহৃত হবে। কিন্তু মুসলমানদের বড় শত্রু ইহুদী তথা ইসরাইলের জন্য মোটেও নয়। (নাউযুবিল্লাহ)
মূলত এসব কারণে এফ-৩৫ কিনতে আগ্রহী রিয়াদ।
প্রতিটি জেটের দাম কমপক্ষে ১০ কোটি ১৫ লাখ ডলার। মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে কেবল ইসরাইলের কাছেই এফ-৩৫ আছে। তাদের বহরে আছে ৪৫টি এবং আরও ৩০টি অর্ডার দেয়া আছে।
ট্রাম্প জানায় সৌদি আরব অনেক ফাইটার জেট চায়। ধারণা করা হচ্ছে সৌদি ৪৮টি এফ-৩৫ কিনবে। এর মূল্য বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২০০ কোটি ডলারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করে। হোয়াইট হাউস জানায়, এই চুক্তির মাধ্যমে এক ডজনের বেশি মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি সৌদিকে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ও সেবা দেবে।
কিন্তু পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন তা মূলতঃ মুসলমান দেশ ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্যই। (নাউযুবিল্লাহ)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ভারতের ভূ-রাজনীতি দেখতে চায় না দেশ প্রেমিক জনসাধারণ পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনাও এদেশীয় অর্থায়নেই সম্ভব ইনশাআল্লাহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা যথাযথ করতে পারলে এবং বাস্তবায়ন করলে দেশের উত্তারঞ্চল সোনালী সমৃদ্ধিতে আরো সমুজ্জল হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও সেনাপ্রধানকে ‘সেনাবাহিনী পদক’ প্রদান- সেনাবাহিনীর সম্মান- দেশ জনতার সম্মান কিন্তু পিনাকী-ইলিয়াস-এনসিপি গংরা ভারত বিরোধিতার নামে মিথ্যাচারিতা ও অপবাদ যুক্ত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবমাননা করতে চায়
২২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












