যদি আমি সমুদ্রের গভীরতায় যেতে পারি, তাহলে যা দেখবো...
, ২৪ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২২ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পাঁচ মিশালী
সমুদ্রের গভীরতা বুঝার জন্য উদাহণ দিয়ে বুঝাতে গেলে অনেকটা এরকম- স্বাভাবিক মানুষের উচ্চতা সাধারণত ১.৫ মিটার হয়ে থাকে, ঠিক একই ভাবে একতালা বিল্ডিং ৩ মিটারের হয়ে থাকে, যদি আমরা কোন ১০ তালা বিল্ডিংকে দেখি তবে তার উচ্চতা মিটারে হিসাব করলে ৩০ মিটারের হয়ে থাকে।
যখন আমরা সমুদ্রের ভেতর ৪০ মিটার পর্যন্ত চলে আসবো, অর্থাৎ ১০ তালা বিল্ডিং থেকেও ১০ মিটার বেশি চলে যাবো তখন মেক্সিমাম গভীরতায় চলে আসবো।
যখন আমরা সমুদ্রের ৭৩ মিটার গভীরে চলে যাবো তখন এখানে কুতুব মিনার বা তাজমহলকে উল্টো করে দাড় করিয়ে দিলে পানির নিচে চলে যাবে। কারণ এদের উচ্চতা ৭৩ মিটারের সমপরিমাণ।
যদি আমাদের রেক লুইসিয়ানা পর্যন্ত যেতে হয় তবে আমাদের সমুদ্রের ৯৩ মিটার গভীরে যেতে হবে।
যখন আমরা ১০০ মিটার পর্যন্ত চলে আসবো তখন আমরা আর সাতার কাটতে পারবো না এখানে সাতার কাটাটাও চ্যালেঞ্জের মতো হয়ে যাবে। কারণ এখানে ডিকমপ্রেশন সিকনেস হয়ে থাকে।
যখন আমরা ৪৪৩ মিটার গভীর পর্যন্ত যাবো তখন যদি আমেরিকার স্টেট ইম্পায়ার বিল্ডিংকে উল্টো করে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় তবুও এটি ডুবে যাবে।
আর যখন আমরা সমুদ্রের ৫০০ মিটার গভীরে যাবে তখন আমরা পৃথিবীর সবথেকে বড় প্রাণী অর্থাৎ নীল তিমিকে দেখতে পাবো।
আমরা কিন্তু অনেক গভীরে চলে এসেছি কিন্তু ভয় পাবেন না এগুলো মাত্র শুরু। এখনো আমাদের অনেক গভীরে যেতে হবে।
যখন আমরা ৫৩৫ মিটার গভীরে চলে যাবো তখন আমরা ইম্পিরার পেঙ্গুইনদের এলাকায় চলে যাবো।
আরো নিচে যেতে যেতে যখন আমরা ৮৩০ মিটার গভীরতায় চলে আসবো যে যদি আমরা পৃথিবীর সব থেকে উচু ইমারত বুর্জ খলিফাকে উল্টো করে দেওয়া হয় তবুও এটি পানির নিচে ডুবে যাবে।
যখন আমরা ১০০০ মিটার গভীরে যাবো তখন আসবে ভীতির এলাকা।
এই স্তরের স্তরের পরের জোনে সূর্যের কোনো আলো পরে না এই স্তরের পরের স্তরে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। এখানে খনিক সময় থাকাটাই অস্বস্তিকর। যেখানে দাড়ানো মানেই মৃত্যু অনিবার্য। এই স্তরে জায়েন্ট স্কুইডো পাওয়া যায়।
কষ্ট করে আরো যেতে যেতে যখন আমরা ১২৮০ মিটার নিচে যাবো তখন আমরা লেদাড় বেক নামে এক প্রজাতির কচ্ছপ দেখতে পাবো।
যখন আমরা ২০০০ মিটার গভীরে চলে আসবো, তখন এক ভয়ঙ্কর প্রাণীর দেখা মিলবে যার নাম ব্লাক ড্রাগন ফিস, যেটা খুবই মারাতœক হয়ে থাকে সাবধান।
আর যখন ৪০০০ মিটার গভীরে চলে আসবো তখন আমরা চলে আসবো এবাইজাল জোনে। যেখানে পানির চাপ হচ্ছে ১১০০০ পিএসআই। এখানে আমরা এলিয়েন টাইপ জীবের দেখা পাবো যার নাম ফিং টুথ ফিস, এনজলার ফিস, ভাইপার ফিস।
এরপর যখন ৪২৬৭ মিটার গভীরে চলে যাবো তখন সমুদ্রের এভারেজ গভীরতায় চলে আসবো কিন্তু সমুদ্র এর থেকেও বেশি গভীর।
যখন আমরা ৬০০০ মিটার গভীরে চলে যাবো তখনই শুরু হবে হেডাল জোন। যেখানে পানির চাপ পৃথিবীর উপরের চাপের চেয়ে ১১০০ গুণ বেশী হয়ে থাকে। এখানে আপনার এমন মনে হবে যে আপনার উপর ৫০ টি বিমান দাড় করানো হয়েছে।এখানে আপনার মৃত্যু হতে ১ সেকেন্ড ও লাগবে না।
যখন আমরা আরো গভীরে যেতে যেতে ৬৫০০ মিটার গভীরে যাবো তখন আমরা ডি এস ভি সাবমেরিনের দেখা পাবো যাকে পাঠানো হয়েছিলো টাইটানিক জাহাজটিকে খোজার জন্য।
যখন আমরা যেতে যেতে ৮৮৪৮ মিটার গভীরে চলে যাবো তখন আমরা এতোটাই গভীরে চলে যাবো যে এখানে মাউন্ট এভারেষ্টকেও উল্টো করে যদি ডুবিয়ে দেওয়া হয় নিশ্চিতই ডুবে যাবে।
যখন গভীরে যেতে যেতে ১০৯৭২ মিটার গভীরে চলে আসবো তখন আমরা একে এভারেজ ফ্লাইট আলটিটিউট বলতে পারবো। তার মানে আমরা মাটিতে দাড়িয়ে আকাশে যে প্লেন গুলো উড়তে দেখি আমাদের ও প্লেনের এই দূরত্বই হলো এটি।
এবার ভেবে দেখুন তো কতটা গভীরে আছি? এখন আমরা আরো গভীরে যাবো আমরা যাবো এখন সমুদ্রের সব থেকে নিচু স্তরে। একেই সমুদ্রের সব থেকে নিচু স্তর বলা হয় মানে ১০৯৯৪ মিটার।
যাকে বলা হয়ে থাকে চেলেনজার ডিপ অথবা মারিয়ানা ট্রেন্স।
তবে এটিকেই সমুদ্রর গভীরতা বলা যায় না সমুদ্রের গভীরতা এর থেকে আরও অনেক অনেক বেশী। কারণ আজ পর্যন্ত আমরা সমুদ্রে থাকা ৫% প্রাণীই আবিস্কার করতে পেরেছি এখনো ৯৫% আমাদের অজানা। এই ৯৫% এর মধ্যে অনেক কিছুই থাকতে পারে যা আমরা আদৌ জানি না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
১ টন, ১.৫ টন, ২ টন...! এসিতে ‘টন’ আসলে কি? ৯০% লোকই ভাবেন ওজন
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হিট স্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কোন গতিতে ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে?
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বুলেট ট্রেনের দেরির কারণ ছোট্ট এক সাপ!
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ তিনি
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে এলাকায় ভেসে চলে গ্রাম!
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঘাসের বিচিত্র ফুল ‘চোরকাঁটা’
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে বনের সব গাছ পাথরের!
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দুই নদী এক হওয়ার পর যা ঘটলো?
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেড় টন এসি রোজ ৮ ঘণ্টা চললে কত বিল আসবে?
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ডাইনোসর যুগের কচ্ছপ
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উটের পেটে ৫শ’ রিয়াল!
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)