সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে অনন্তকালব্যাপী আয়োজিত বিশেষ মাহফিলে আজিমুশ্বান নছীহত মুবারক:
যারা পিছনে পিছনে সমালোচনা করে, অপপ্রচার করে তারা উবাই বিন সুলুলের শাগরিদ
, ১৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১২ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ১১ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) তাজা খবর
আল ইহসান ডেস্ক:
প্রতিদিনের ন্যায় পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ উনার সম্মানে অনন্তকালব্যাপী মাহফিল মুবারক ও ৯০ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। বিগত ১৪ই মুহররমুল হারাম শরীফ ১৪৪৭ হিজরী সাইয়্যিদুনা মামদুহ হযরত মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বাদ ইশা কুল কায়িনাতের সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ নছীহত মুবারক করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ওজুর সময় মাথা মাসেহ করা ফরজ কতটুকু সেটা সহজে বুঝাতে হলে, বলতে হবে পুরো মাথাটা মাসেহ করলেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে। এক চতুর্থাংশ করতে হবে বললে কেউ বুঝতে পারবে না। পুরোটাই মাসেহ করা ফরজ এটাই বলতে হবে। যদিও শরীয়ত উনার পরিভাষা অনুযায়ী এক চতুর্থাংশ ঠিক আছে তবে সেটাতো সবাই মেপে মেপে করতে পারবে না, একেকজনের মাথাওতো একেক রকম হয়ে থাকে। তাই পুরো মাথার অংশটাই মাসেহ করার জন্য বলে দিতে হবে। শরীয়ত উনার মধ্যে মসজিদে নামাজ পড়া শর্ত নয়, তবে জামায়াতে নামাজ পড়া শর্ত। সেজন্য জামায়াতের সাথে নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, কারীবুম মিনাল ওয়াজিব। যে কোন জায়গায় জামায়াতে নামাজ পড়লেই সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ আদায় হয়ে যাবে। পবিত্র জুময়াহ নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যেতে হয়, তবে যেকোন জায়গায় শর্ত মেনে জুময়াহ নামাজ পড়লেও সেটা হয়ে যাবে। মুছাফিরের জন্য পুরা নামাজ পড়া হারাম। শরীয়ত উনার মধ্যে যেটা যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই পড়তে হবে, সেভাবেই করতে হবে। মুছাফির যদি মুকিম ইমামের পিছনে নামাজ পড়ে তখন পুরোটাই পড়তে হয়। কেউ কেউ চক্ষু বন্ধ করে নামাজ পড়ে। এখন নামাজের মধ্যে চক্ষু বন্ধ করে অপ্রয়োজনীয় ভাবে পড়লে সেটা মাকরুহে তানযিহী হবে। আর চক্ষু বন্ধ করে নামাজ পড়লে তার যদি নামাজে অপেক্ষাকৃত বেশী হুজুরী আসে, তাহলে সেভাবে পড়তে পারবে। ওজু করার সময় পানি দিতে বখিলী করলে হবে না। যেখানে ভালো করে পানি দেয়ার দরকার সেখানে ভালো করেই দিতে হবে। নয়তো ওজুই হবে না। এখনতো মানুষ পড়াশোনা করে না, মাসয়ালা মাসায়িলও জানে না। চর্চা না থাকলে অনেক সময় জানা জিনিসও মানুষ ভুলে যায়।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কোন এলাকায় মসজিদ শুরুতে যে হিসেবে বা যে শর্তে ওয়াকফ করা হয়েছিলো সেভাবেই মসজিদ করতে হবে। কমিটি যদি ওয়াকফ এর শর্ত ভঙ্গ করে নিজেদের মর্জিমাফিক মসজিদের জায়গায় অন্য কিছু করে সেটা কখনোই জায়েজ হবে না। যতটুকু জায়গা মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা হয়েছে সেখানে যদি কোনদিন নামাজ পড়া নাও হয় তারপরও সেটাকে ঘেরাও দিয়ে মসজিদ হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে; তাও অন্য কোন কিছু সেখানে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। একটা মসজিদ যতটুকু এলাকার জন্য প্রতিষ্ঠিত ততটুকু এলাকার লোকজন হলো ওই মসজিদের প্রতিবেশী। এখন মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ থাকা উচিত। মুসাফিরের জন্য মসজিদ শর্ত নয়, মুকিমের জন্য শর্ত। আবার মুকিমের জন্য সেই মসজিদে নামাজ পড়ার শর্ত আছে। বৃষ্টি, ঝড়, তুফান কিংবা মালের নিরাপত্তা ও জানের নিরাপত্তা আছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। তাহলেই মুকিমের জন্য মসজিদে যাওয়ার শর্ত প্রজোয্য হবে। আগেকার যুগে শহরে একটা মসজিদ ছিলো। সেই জন্য ইমাম আবু ইউসুফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, এক শহরে দুই মসজিদে নামাজ পড়া জায়েজ নাই। এখন সেগুলো অবস্থা অনুযায়ী মাসয়ালা দেয়া হয়েছে। একাধিক মসজিদে নামাজ হবে কিনা -এই মাসয়ালার সতর্কতা হিসেবে সেজন্য এহতিয়াতুজ যোহর, আখেরী জোহর নামাজ পড়া হতো।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হারাম কাজ করেতো হজ্জ করলে হবে না। ঈমানের নিরাপত্তা আমলের নিরাপত্তা কোনটাই এখন হজ্জ করতে গেলে থাকে না। সার্বিক বিষয় চিন্তা করেই ফতোয়া দিতে হয়। একটা ফতোয়া দিয়ে দিলেই কিন্তু হবে না। একটা মহিলা যদি সারা জাহানের মালিক হয়, তারপরও তার সাথে সচ্চরিত্রবান মাহরাম না পাওয়া যায়, তাহলে তার জন্য হজ্জ ফরজ হবে না। কোন কিতাবেই হজ্বের মাসয়ালায় ঈমানের শর্তটি বলা হয়নি। অথচ ঈমানের শর্ত পূরণ না করলে হজ্জ কিভাবে হবে। হারামটা কখনো হালাল হবে না। কারো জন্য যতটুকু না খেলে তার জানটা বাঁচানো যাবে না ততটুকু পরিমাণ হারাম গোশত খাওয়া তার জন্য মুবাহ হবে।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ওলীআল্লাহ উনারা খানকা শরীফে নামাজ পড়েননি- এটি জাহিলদের কথা। উনারা অনেকেই খানকা শরীফে নামাজ পড়েছেন। যেকোন মাসয়ালা সার্বিকভাবে চিন্তা করেই ফতোয়া দিতে হবে। উবাই বিন সুললকে কত কিছু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- তিনি শিখিয়েছেন তারপরও সে উল্টা করেছে। বাহিরে এক রকম কথা বলতো, ভিতরে ছিলো আরেক রকম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে সে নিজে ভালো থাকার জন্য এসব মুনাফিকী করতো। সেতো মদীনা শরীফের রাজা হতে যাচ্ছিলো। ঠিক এমন সময় মদীনা শরীফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনলেন, এতে উবাই বিন সুলুলের রাজা হবার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গেলো। সেজন্য সে আক্রোশবশত সারাজীবন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করার চেষ্টা করেছে এবং বিরোধিতা করার জন্য ইহুদী আর কুরাঈশদের সে সব সময় ওয়াছওয়াছা দিয়ে যেতো। নাউজুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুনাফিক থাকবে, থাকতে হবে এটাই সুন্নত। এমন কিছু লোক থাকবেই যারা মুনাফিকি করবে চু-চেরা করবে। মহান আল্লাহ পাক তিনিতো কারো খারাপ করেন না। সব সুন্নত আমরা পালন করতে চাই, এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়াও করি। কিন্তু সব সুন্নত নিজে নিজে করা যায় না। কিছু সুন্নত মুনাফিক দ্বারা, কিছু সুন্নত জালেম দ্বারা, কিছু সুন্নত কাফের দ্বারা আদায় করতে হয়। মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কি সবাই মানে? মানে না বরং সারাদিন উনাদের বিরোধিতা করে। সেই সুন্নত মুবারকই আমাদের আদায় হচ্ছে। ১৮৫৮ থেকে পাকিস্তান সৃষ্টির পর পর্যন্ত ইহুদী নাছারা কাফির মুশরিকরা তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে ৬০ হাজার বই লিখেছে। নাউজুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যার ভিতরে নেফাকী আছে সে মুনাফিকি করবেই। উসুল আছে, প্রত্যেক হাদীর পিছনে একটা শয়তান থাকে আর শয়তানকে হিদায়েত করার জন্য একজন হাদী থাকে। এজন্য এদের গুরুত্ব দেয়ার কোন প্রয়োজন নাই। কাব বিন আশরাফ, আবু রাফে তারা অনেক দূরে দূরে গিয়ে বাজারে, মেলাতে এলোমেলো বলতো প্রচার করতো। তাদের সেসব অপপ্রচার শুনে অনেকেই এসে ঈমানদার মুসলমান হয়ে গেছে। অতএব, যতই ওরা বলুক তাদের বলার কারণে যে নেকীটা সেটা আমার কাছে এসে যায়। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আযম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধিতায় একজন লোক সবসময় অগ্রগামী থাকতো মানে তার কাজই ছিলো বিরোধিতা করা। একজন যখন উনাকে জানালেন হুজুর! ওই লোকটা সারাদিন আপনার বিরোধিতা করে। তিনি শুনে বললেন, তাহলে একটা বড় মিষ্টির টুকরি নিয়ে আসো। সেটা ওই ব্যক্তিকে হাদীয়া দিয়ে আসো। সেতো সারাদিন আমার বিরুদ্ধে বলে এটার কারণে তার সব নেকী আমাকে দিয়ে দিচ্ছে সেজন্য এই মিষ্টির টুকরি আমি তাকে হাদীয়া দিলাম।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইবলিশের চক্রান্ত হলো, তুমি মুনাফিকদের এলোমেলো কথা ও অপপ্রচারের দিকে ঝুঁকলে তোমার মূল কাজটা বন্ধ হয়ে যাবে। ইবলিশ চায়ই তোমার মূল কাজটা বন্ধ হয়ে যাক। এজন্য এদের এসব অপপ্রচারের গুরুত্বই দেয়া উচিত না। রাস্তায় কুকুর কেঁও কেঁও করলে সেটাতে গুরুত্ব দিলে হবে না, সে তার কাজ করুক, তুমি তোমার রাস্তায় চলতে থাকো। এখন যারা বিরোধিতা করতেছে, মুনাফিকি করতেছে এরাতো গোনার বাহিরে। এরা নিজের নাম পরিচয় প্রকাশ করে না, সামনেও আসে না। এভাবে যারা পিছনে পিছনে সমালোচনা করে, অপপ্রচার করে তারা উবাই বিন সুলুলের শাগরিদ। এদের চেয়েও বড় চর্মনাই পীর ফজলুল করিম, মিরপুর দারুস সালামের পীর আনছার আলী, বায়তুল মুকাররমের খতীব ওবায়দুল হক, হদস আজিজুল হক, মুফতে কমিনী, মাসিক মদীনার মাহিউদ্দীন গংসহ আরো অনেকে যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফ গিয়েছিলো আমার বিরুদ্ধে নালিশ দেয়ার জন্য। দলীলবিহীন মিথ্যা তোহমত দেয়ার কারণে সেখানেও তারা কোন সুবিধা করতে পারেনি। এভাবে কতশত রকমের কত ষড়যন্ত্র চক্রান্ত তারা করেছে, তারই ধারাবাহিকতায় এখনো তাদের চেলারা সেগুলো করে যাচ্ছে, করবে এটাইতো স্বাভাবিক। আমরা কোথাও গাইরুল্লার উদ্দেশ্যে বা পয়সার উদ্দেশ্যে সফর করিনি, ওয়াজ মাহফিলে যাইনি বা কোন কাজ করিনি। এরপরও মুনাফিকরা যা করে যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অবশ্যই কোন খায়ের বরকত আছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হয়তো এভাবেই আমাদের প্রচার প্রসারকে সারা দুনিয়ায় আরো বৃদ্ধি করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইসরাইলী গুপ্তচর গ্যাং নেতাসহ নিহত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঘোষিত আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম -ফখরুল
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভারতীয় গোয়েন্দা নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা তাপসের অফিসে
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেয়া যাবে না -স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘১৫ বছরের মধ্যে সেনাবাহিনী যেন দাঁড়াতে না পারে’
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তপথে ঢোকে, ছড়ায় ট্রেনে
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা প্রশ্নে হাইকোর্টের ‘দ্বিধাবিভক্ত’ রায়
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ ১২ই শরীফ উনার সম্মানার্থে অনন্য আয়োজন
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘রাজাকার-আল বদরদের জন্য আ.লীগই ঠিক ছিল’
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই বিচার নয় -চিফ প্রসিকিউটর
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












