সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে অনন্তকালব্যাপী আয়োজিত বিশেষ মাহফিলে আজিমুশ্বান নছীহত মুবারক:
যারা শাতিম তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া উচিত
, ১৮ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৫ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৪ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ৩০ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) তাজা খবর
আল ইহসান ডেস্ক:
প্রতিদিনের ন্যায় পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ উনার সম্মানে অনন্তকালব্যাপী মাহফিল মুবারক ও ৯০ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭ই মুহররমুল হারাম শরীফ ১৪৪৭ হিজরী সাইয়্যিদুনা মামদুহ হযরত মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বাদ ইশা কুল কায়িনাতের সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ নছীহত মুবারক করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজকে ৬ষ্ঠ দিনতো হয়ে গেলো। সামনে থেকে প্রতিযোগিতার তালিমে মজলিশে তাশাহুদ শরীফ, দুয়া মাছুরা, দরুদ শরীফ, জানাজা নামাজের দুয়া দরুদ শরীফ এগুলো রাখতে হবে। অনেকের এই বিষয়গুলো বিশুদ্ধ না। এ বিষয়গুলোতো ফরজ এগুলো শিখে নিতে হবে। নামাজের মধ্যে যা যা লাগে সবই, এমনকি তসবিহগুলোও ঠিক করে নিতে হবে। সব পারলো কিন্তু নামাজ শুদ্ধ করতে পারলো না, তাহলে সেটাতো হলো না। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে, মানুষকে তালিমটা দেয়া, যাতে করে সবকিছু বিশুদ্ধ করে নিতে পারে। মানুষ দ্বীনদারী করে কিন্তু দ্বীনদারীর মূল বিষয়গুলো জানে না। একটা লোক তাসাউফ শিখবে ঠিকই আছে, তবে শরীয়ত ফিকাহর মাসয়ালা শিখা ছাড়াতো তাসাউফ শিখতে পারবে না। শরীয়তের সব বিষয়গুলো নামাজ রোজা হজ্জ যাকাতসহ সবকিছু শিখবে পালন করবে, এর সাথে সাথেই ইলমে তাসাউফ শিখবে চর্চা করবে। যারা ‘ফকির’ রয়েছে তারাতো নামাজ কালাম পড়ে না, তারা বাতিল ফিরকা। এজন্য শিখার বিষয়গুলো বেশী বেশী মশ্ক করা উচিত। ভুল থাকতেই পারে, দ্বীনি বিষয়গুলো শিখার বিষয়ে লজ্জা থাকলে হবে না। সবার জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামা জানা ফরজ। যারা ইলমে তাসাউফ চর্চা করে তাদের জন্য নিজ নিজ সিলসিলার শাজরা শরীফ জানা ফরজ। পবিত্র মিলাদ শরীফ মুখস্ত পড়া শর্ত না। কিতাব দেখে দেখেই পবিত্র মিলাদ শরীফ পড়া যাবে। পবিত্র মিলাদ শরীফ উনার তরতীব শিখে সবার বাড়ীতে কমপক্ষে একবার হলেও পবিত্র মিলাদ শরীফ পড়া উচিত, একাধিকবার হলেতো আরো ভালো হয়। পবিত্র মিলাদ শরীফ পরিবার পরিজন নিয়ে পড়তে পারে, একা একাও পড়া যায়। খারেজীদের কারণে মানুষ এই খাস আমল থেকে মাহরুম হয়ে গেছে। খারেজীরা হলো গন্ডমুর্খ। এরা মানুষকে পবিত্র মিলাদ শরীফ বিষয়ে এলোমেলো বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। নাউজুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শাতিমের বিরোধিতা যেই করে তাকে সবাই সমর্থন দেয়া উচিত। সবদিক হতে তাকে সহযোগিতা করা দায়িত্ব। যারা শাতিম তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া উচিত। যেখানেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক উনার বিরুদ্ধে কেউ বলবে, ইহানত করবে তাকে শাস্তি দেয়া উচিত। কারণ সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে শাতিমের বিষয়ে এমন শাস্তিই বর্ণিত হয়েছে।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খারেজীরা হলো জাত কাফের। এরা এত নিকৃষ্ট তারা মহাসম্মানিত ১২ শরীফ পালন করে না, বরং পালন করা বিদাত বলে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান মুবারক শানে তারা অনেক কুফরী বলে। যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে বলে তাদের একমাত্র শাস্তি যে মৃত্যুদন্ড, সেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া উচিত। যুগে যুগে শাতিমের পরিণতির ঘটনাগুলো এবং এই বিষয়ে চার মাজহাবের ফতোয়াগুলো সবাইকে জানানো উচিত। সম্মানিত শরীয়ত উনার মাসয়ালা হলো, একটা লোক মুরতাদ হলে তাকে তিনদিনের মধ্যে তওবা করার জন্য সময় দেয়া হবে, তিন দিনের মধ্যে তওবা না করলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। এছাড়া নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারকে বিরোধীতা করলে সেও মুরতাদ হয়, তাকে শাতিম বলা হয় তবে তাকে তওবা করার জন্য কোন সময় দেয়া যাবে না, তাকে সরাসরি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে-এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়সালা।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আসলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মান মুবারক বিরোধী কিছু বললে যে, সেটার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড এটা সাধারণ মানুষ মোটেই জানে না। তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনতেও পারেনি। যদি চিনতে পারতো তাহলে উনার শান মুবারক বিরোধী কথা বলতে পারতো না। কত নিকৃষ্ট হলে তারা রাসূল অর্থ ‘পিয়ন’ বলতে পারে! এরা এদের সব কিতাবেই এভাবেই উল্টা অর্থ লিখে রেখেছে। আর মূর্খ লোকগুলো সেটাই বিশ্বাস করে গুমরাহ হয়। কাফেররা তো পবিত্র কালেমা শরীফও বুঝে না বিশ্বাস করে না। একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া সবার জন্যই এই পবিত্র কালেমা শরীফ উনার উপর বিশ্বাস আনা ফরজে আইন।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাট্টা গুমরাহ ওলামায়ে ছু’দের কারণেই মানুষ গুমরাহ হয়েছে। তাদের কারণেই মানুষ এলোমেলো শান মুবারক বিরোধী কথা বলার সাহস পায়। এগুলোর মূল হলো দেওবন্দীরা, ১৮৫৮ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ বেনিয়া আরদালীগুলো অনেক হেস্তনেস্ত হয়েছে, এরপর তারা ঘুরে দাঁড়াবার জন্য ১৮৬৫ সালে দেওবন্দ মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। যত রকম ফিতনা ফাসাদ এরপর এই দেওবন্দ মাদরাসা থেকেই শুরু হয়েছে। ১৯২০ সালে পাপাতœা গান্ধি মুসলমানদের সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে শর্ত দিলো এই বলে, মুসলমানরা গরু কুরবানী দিতে পারবে না। তখন দেওবন্দ মাদরাসা থেকেই ফতোয়া দেয়া হলো- গরু কুরবানী করা যাবে না। এভাবে যতপ্রকার হারাম কাজ এখন দেখা যায় প্রচলিত রয়েছে, সবই দেওবন্দীদের থেকেই উৎপত্তি হয়েছে। অধিকাংশ গুমরাহী দেওবন্দীদের থেকে প্রকাশ হয়েছে। ব্রিটিশ আরদালীগুলো বিভিন্ন জায়গা হতে দেওবন্দ মাদরাসা পরিচালনার জন্য যাকাতের ব্যবস্থা করে দিতো। এটাতো এমনে এমনে করেনি, শর্ত মেনেই তাদেরকে মাদরাসা চালানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সমষ্টিগতভাবে দেওবন্দিদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়ে আকিদা চরম অশুদ্ধ কুফরী। সাধারণভাবে তারা সুন্নত মুবারক পালনের বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেয় না। দেখা যায়, সুন্নত মুবারকের খিলাপ পোশাকের সব বিদাত তাদের থেকে উৎপত্তি হয়েছে। দেওবন্দিরা ‘কছদুছ ছাবীল’ চটি কিতাব ৭ দিন, ১০ দিন বা ১৫ দিন এভাবে কয়েকদিন মুতায়ালা করেই খিলাফত নেয়ার দাবী করে। রেজাখানীও একই অবস্থা, সে বড় আলেম সেটা দেখে নাকি তাকে খেলাফত দিয়ে দেয়া হয়েছে। কিতাব লিখলেই বড় আলেম হওয়া যায় না। কাদিয়ানীও অনেক কিছু এবং অনেক কিতাব লেখার দাবী করেছিলো। দশ বিশটা কিতাব হতে অনেক কিছুই লেখা যায়। আসলে এরা সবাই ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতারিত, তারা তাদেরকে উল্টা বুঝিয়ে গুমরাহ বানিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এদের দেওবন্দী সিলসিলার হাটহাজারীর আহমক শফী কি করলো! সেওতো পয়সার বিনিময়ে হারামকে হালাল করলো, আবার হালালকে হারাম করলো। আসলে ইবলিশে যখন কাউকে কব্জা করে ফেলে তখন তার মধ্যে কোন হুঁশ থাকে না। এদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। নাউজুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যোদ্ধাদের হামলায় ভাঙারি হওয়া দখলদারদের আরেকটি ট্যাংক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মাদ্রাসায় চালু হচ্ছে ‘ব্যবসায় শিক্ষা’, অনুমোদন পেতে শর্ত প্রযোজ্য
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয়সহ সর্বশেষ তথ্য জানাল আইএসপিআর
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মনোনয়ন বাণিজ্য গোপনে হয়, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা -ইসি সানাউল্লাহ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নির্বাচন প্রশ্নে উভয় সংকটে জিএম কাদের!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীনতা পায়নি -প্রধান বিচারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যোদ্ধাদের হামলায় জঞ্জালে পরিণত দখলদারদের ট্যাংক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সারা দেশের তাপমাত্রা নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভারতের পেঁয়াজেও লাগাম পড়েনি বাজারে, আমদানি বাড়ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি আগ্রাসী মাছ-কচ্ছপ ছেড়ে দেয়ায় চরম সংকট
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি আগ্রাসী মাছ-কচ্ছপ ছেড়ে দেয়ায় চরম সংকট
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












