যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আগেও আমলে নেয়নি অনেক দেশ
এডমিন, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর

আল ইহসান ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছে, এর আগে যেসব দেশকে এই ভিসানীতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, তাদের ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস ভ্যালু’ বাংলাদেশের চেয়ে কম। তারাই এই ভিসানীতি আমলে নেয়নি, ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমেরিকা তার দেশে কাকে ভিসা দেবে, না দেবে সেই এখতিয়ার তাদের আছে। সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। সেসব দেশ হচ্ছে- নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং সোমালিয়া। এসব দেশে কোনোটিতে নির্বাচনের আগে, কোনোটিতে নির্বাচনের পরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণার ঠিক ৯ দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওেয়া হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকা-ের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের এক মাস আগেও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল- নাইজেরিয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডাতেও নির্বাচনকে ঘিরে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি সে দেশে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় সাধারণ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এদিকে সোমালিয়ার নির্বাচনে নাগরিকদের সবার ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। ভিসানীতির পর কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়েছে তাদের। কারণ, সোমালিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট প্রভাব আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সেখানকার রাজনীতিবিদদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল। কারণ, সোমালিয়াকে পশ্চিমা সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়।