যুদ্ধবিরতি হলে গাজা পুনর্নিমাণের চেষ্টা করবে তুরস্ক
ফিলিস্তিনিদের উৎখাত রোধে সবকিছুই করব: জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা
এডমিন, ০৫ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) বিদেশের খবর

গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে তুরস্ক ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো, হাসপাতাল ও স্কুল পুনর্নিমাণের প্রচেষ্টা চালাবে, শনিবার তুরস্কের গণমাধ্যমকে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন।
‘যদি একটি যুদ্ধবিরতি হয়, আমরা দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইল দ্বারা সৃষ্ট ধ্বংসের ক্ষতিপূরণের জন্য যা যা করা দরকার তা করব,’ এরদোগান বার্লিন সফর থেকে ফেরার সময় তার বিমানে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গাজার ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামো পুনর্নিমাণ এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল, হাসপাতাল, পানি ও জ্বালানি সুবিধাগুলি পুনর্নিমাণের জন্য প্রচেষ্টা করব।
জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত ঠেকাতে ‘যা প্রয়োজন তাই করবে’ জর্দান। তিনি বলেছেন, আমরা কখনো এটি হতে দেব না। এটি যুদ্ধাপরাধ সঙ্গে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়েও দাঁড়াবে। ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত ঠেকাতে যা প্রয়োজন আমরা তার সবই করব। সংঘাত থেকে বাঁচতে আগে থেকেই জর্দানে অসংখ্য ফিলিস্তিনি শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন। দেশটির ভয়, যদি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয় তাহলে তারা জর্দানে আসতে পারেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা অত্যাচার নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে।
হাসপাতালে হামলা এবং এটির ভেতর হামাসের সামরিক অবকাঠামো না পাওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি ইসরাইলিরা কোনো কিছু না পায় তাহলে তারা জেনেভা কনভেনশনের চুক্তি ভঙ্গ করেছে। জেনেভা কনভেনশন চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, হাসপাতাল যদি বড় কোনো সামরিক হুমকি না হয় তাহলে এটিতে হামলা চালানো যাবে না। উল্টো হাসপাতাল রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।
হাসপাতালে হামলার কারণে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার তদন্ত হবে।