স্বাস্থ্য সন্দেশ:
যে ১২ কারণে প্রতিদিন করলা খাবেন
এডমিন, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৩সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) দেশের খবর
আল ইহসান ডেস্ক:
করলার তিতা স্বাদ অপছন্দ অনেকেরই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজির তালিকা করা হলে করলা থাকবে একেবারে উপরের দিকেই। করলায় রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপারসহ আরও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল। পাশাপাশি ডায়াটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিনও পাওয়া যায় এটি থেকে। প্রতিদিন করলা খেলে কী কী উপকার পাবেন জানুন।
১। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে: ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা এবং প্রাকৃতিকভাবে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে করলার জুড়ি নেই। নিয়মিত করলা খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে: প্রতিদিন করলার জুস পান করলে বা সেদ্ধ করলা খেলে বিপাকীয় হার বাড়বে। ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় করলায়। ফলে নিয়মিত সবজিটি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
৩। পুষ্টিগুণে ভরপুর: করলা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ফোলেট এবং আয়রনসহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলো মেলে উৎকৃষ্ট পরিমাণে। ফলে প্রতিদিন সবজিটি খেলে বহু রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
৪। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস: করলায় ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল মেলে। শক্তিশালী এই দুই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়া উন্নত বিপাকীয় স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
৫। হজমের গ-গোল দূর করে: করলায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজমে সহায়তা করে।
৬। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির মাধ্যমে করলা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৭। হার্ট ভালো রাখে: কিছু গবেষণা বলছে, করলা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৮। ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে: করলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলো নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
৯। ডিটক্সিফিকেশন: করলাকে ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
১০। ত্বক ভালো রাখে: করলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো বার্ধক্যের লক্ষণ হ্রাস করে। এছাড়া শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
১১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: করলার ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষ করে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
১২। চোখ ভালো রাখে: করলা ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।