রক্ত নিয়ে বাণিজ্য

সর্বশেষ খবর

দখলদারদের অবিস্ফোরিত মিসাইল দিয়েই তাদের সামরিক যান ধ্বংস দাম্পত্য কলহ ও মানসিক সংকটে সন্ত্রাসী সেনারা রাজধানীতে ৭৩ রাউন্ড গুলিসহ তিনটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগে গাড়ি চলাচল শুরু দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগে গাড়ি চলাচল শুরু পেঁয়াজ আমদানিতেও চক্রের দ্বিগুণ মুনাফা ভরা মৌসুমেও চড়া সবজি বাজার লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ৩৪৫ বাংলাদেশি হিমাগারের আলু এখন ‘গলার কাঁটা’

, ২৬শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দেশের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রক্ত নিয়ে চলছে জমজমাট বাণিজ্য। এ বাণিজ্যে জড়িত একাধিক চক্র। যারা রোগীর অসহায় স্বজনদের জিম্মি করে ভেজাল রক্ত গছিয়ে দেয়। বিনিময়ে হাতিয়ে নেয় অতিরিক্ত টাকা। দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার, সন্তান প্রসব, থ্যালাসেমিয়া বা অন্য কোনো জটিল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এক ব্যাগ রক্ত জোগাড় করতে স্বজনদের পোহাতে হয় নানা ঝক্কি-ঝামেলা। কেউ কেউ স্বজনদের কাছে রক্ত পেলেও অনেককেই আশ্রয় নিতে হয় হাসপাতাল কিংবা ব্লাড ব্যাংকের উপর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা ব্লাডব্যাংক নেয় অনিয়মের আশ্রয়। তারা কখনো এক ব্যাগ রক্তের সঙ্গে স্যালাইন মিশিয়ে তিন ব্যাগ করে বিক্রি করে। আবার তাদের নিয়মিত রক্তদাতারা বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। আবার বহুদিনের পুরনো রক্তও অহরহ বিক্রি করছে তাজা বলে। এ অবস্থায় রক্ত এখন যেন এক বিষের নাম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. তানজিন আরা করিম বলেন, আমরা ব্লাডের জন্য কারও কাছ থেকে টাকা নেই না, শুধু ক্রস ম্যাচিংয়ের জন্য সরকার থেকে নির্ধারিত ফি নেয়া হয়। অনেক সময় দালালরা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কয়েকদিন আগেও আমরা এমন দালালকে ধরেছি। অনেক সময় কোনো রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে রোগীদের স্বজন ওয়ার্ডে থাকা অবস্থাতেই দালালরা রক্তের জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। রক্তের চাহিদা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিদিন ২০০-২৫০ ব্যাগ ও বছরে পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার ব্যাগ রক্ত লাগে। আমরা সন্ধানী ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ করি। তাছাড়া অধিকাংশ সময় রোগীরা তাদের আত্মীয়-স্বজন থেকে ব্লাড সংগ্রহ করেন।

ট্যাগসমূহঃ