রাগ দূর করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক
, ২১শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ৩০শে মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন জলীলুল ক্বদর ছাহাবী। তিনি নিরিবিলি একাকী থাকতে পছন্দ করতেন। তাই ‘সবজা’ নামক একটা জায়গায় তিনি অবস্থান করতেন। তিনি একদিন উনার ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন। উনার পরনে ছিল সদ্যধোয়া পরিষ্কার কাপড়; আর পানি দেয়ার কারণে সেই জমিটি ছিল কর্দমাক্ত।
এমন সময় একজন লোক এসে উনাকে কিছু কথা বললো; তাতে উনার খুব গোসসা হলো। গোসসা হওয়ার সাথে সাথে তিনি সেই মাটিতে বসে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সেই কর্দমাক্ত জমিতে শুয়ে পড়লেন। আর এদিকে সে ব্যক্তি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে উনার দিয়ে চেয়ে রইল।
জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি যখন উঠলেন তখন সেই ব্যক্তি বলল, “হুযূর! আপনি এটা কি করলেন! আপনার নতুন কাপড় নিয়ে আপনি এই কাঁদামাটিতে শুয়ে পড়লেন?” তিনি বললেন, দেখ, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি আদেশ মুবারক পালনার্থে আমি এমনটি করেছি।
লোকটি বললো- হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা করবেন। কি সেই আদেশ মুবারক?
তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বলেছেন, “হে হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ! আপনি স্বরণ রাখবেন, যদি কোন সময় আপনার গোসসা পয়দা হয় তাহলে আপনি দাঁড়ানো থাকলে বসে যাবেন। এতে করে আপনার গাসসা মিটে যাবে। এতেও যদি রাগ না মিটে তাহলে বসা থেকে শুয়ে পড়বেন। তাহলে আপনার গোসসা মিটে যাবে।” সুবহানাল্লাহ!
আর আমি শুধুমাত্র উনার এই মহাসম্মানিত আদেশ মুবারক পালন করেছি। তোমার কথা শুনে আমার খুব গোসসা পয়দা হয়েছিল। আমি সেজন্য দাঁড়ানো থেকে বসে গিয়েছি। বসার পরও যখন আমার গোসসা মিটেনি তখন আমি মাটিতে শুয়ে পড়েছি। আর এতে করে আমার গোসসা মিটে গিয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এভাবেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটি আদেশ মুবারক, নির্দেশ মুবারক অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। কাজেই আমাদের সকলের উচিত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে প্রতিটি সুন্নত মুবারক পালন করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
- মুহম্মদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাদ্য ‘মাশরুম’
১৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
১৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন-সুন্নতী চামড়ার মোজা
১৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহিলা/বালিকাদের সুন্নতী পোশাকসমূহ:
১৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খেজুর চিপা রস ও কিশমিশের রস মিশ্রিত শরবত পান করা খাছ সুন্নত মুবারক
১৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার কালোজিরা (হাব্বাতুস সাওদা) - ২
১৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী চামড়ার মশক
১৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৩)
১৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার কালোজিরা (হাব্বাতুস সাওদা)- ১
১৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করার ‘সুন্নতী মিসওয়াক’
১৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুন্নতি খাবারের সাথে পরিচিত হই (৬)
১৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী খাদ্য ও পানীয় ‘দুধ’
১৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)