রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গু চিকিৎসায় বিশৃঙ্খলা
এডমিন, ০৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) তাজা খবর

বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের কিট ও শিরায় দেওয়া স্যালাইনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের অনেক চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে রোগী ব্যবস্থাপনার ঘাটতি। জটিল রোগীর জন্য প্লাটিলেট আলাদাকরণে ব্যবহৃত অ্যাফেরেটিক যন্ত্র নেই অধিকাংশ হাসপাতালে। এ ছাড়া যন্ত্রপাতি নষ্টের কারণে কিছু কিছু হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও স্বজনরা। বেসরকারি হাসপাতালে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে কয়েক গুণ টাকা গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেলা-উপজেলা থেকে ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় না পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, এখন থেকে জটিল রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে নিশ্চিত করতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার যৌক্তিকতা রয়েছে, তবে জেলা-উপজেলার হাসপাতালে রোগী ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকট নিরসনের পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীর উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সরকার এ ক্ষেত্রে নীরব।
ডেঙ্গু রোগীর জন্য শিরায় দেওয়া স্যালাইন নিয়ে বন্দরনগরীতে চলছে অরাজকতা। স্যালাইনের চাহিদা বাড়ায় বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিজেদের ইচ্ছামতো বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওষুধ ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন রোগী-স্বজনরা। ৮৭ টাকার একটি স্যালাইন ৩০০ টাকার কমে মিলছে না। চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জনের ওপর নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আট হাজার ছুঁইছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিট সংকটে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করতে গিয়ে স্বজনদের ভোগান্তি ও বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, হাসপাতালেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হয়। তবে কিট সংকট রয়েছে। নতুন কিট এলেই আবার পরীক্ষা শুরু হবে। এই সপ্তাহের মধ্যে হয়তো কিট চলে আসবে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালেও ডেঙ্গু কিট সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে চাহিদা চাওয়া হয়েছে। নতুন কিট না আসা পর্যন্ত পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে যন্ত্র বিকলের কারণে পরীক্ষা বন্ধ আছে ১৫ দিন। এ কারণে রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে অতিরিক্ত টাকা খরচের পাশাপাশি বিপাকে পড়ছেন রোগী ও স্বজনরা।