রেলের ৫১ স্টেশন বন্ধ, ভোগান্তিতে কয়েক লাখ যাত্রী
এডমিন, ১১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) তাজা খবর

পাবনা সংবাদদাতা:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুয়াখড়া স্টেশনটি চালু হয় ব্রিটিশ আমলে। চলনবিলসহ আশপাশের উপজেলার কৃষিপণ্য ও মাছ এই রেলস্টেশন দিয়ে পাঠানো হতো সারা দেশে। তবে লোকবল সংকটে প্রায় দুই দশক ধরে বন্ধ স্টেশনটি। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত পড়ে থাকায় বেদখল হয়ে গেছে রেল কর্মচারীদের বাসভবন, প্লাটফর্মসহ রেলের বিপুল সম্পত্তি। ফাটল দেখা দিয়েছে স্টেশন ভবনেও।
স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এই স্টেশন আগে বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। কিন্তু এখন এটি রক্ষণাবেক্ষণে কেউ নেই। স্টেশনটিতে নেই স্টেশন মাস্টারও। যখন চালু ছিল, তখন স্টেশনটি দিয়ে একটি লোকাল ট্রেন চলাচল করত। এখন এখানে কোনো ট্রেনই আর থামে না।
চাটমোহরের আরেকটি স্টেশন গফুরাবাদও বন্ধ আছে দীর্ঘদিন ধরে। কৃষিপণ্য বিপণনসহ নানা কারণে এলাকার মানুষকে যেতে হচ্ছে দূরের স্টেশনে। এতে খরচ ও ভোগান্তি দুই-ই বেড়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বিল ও বাওড় থাকায় এখানে মাছের চাষ হয়। স্টেশনটি বন্ধ থাকায় সেই মাছ বিপণন করতে পারছেন না তারা।
শুধু গুয়াখড়া বা গুফুরাবাদই নয়, জনবল সংকটে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পশ্চিমাঞ্চল রেলের ৫১টি স্টেশন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের কয়েক লাখ যাত্রী। তাদের অভিযোগ, স্টেশন বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষি পণ্য বিপণন ও ব্যবসা বাণিজ্য। এ ছাড়া, দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় বেদখল হচ্ছে স্টেশনের শত কোটি টাকার সম্পদ।
রেলের তথ্য বলছে, জনবল সংকটে খুলনা-ঈশ্বরদী রুটের ১২টি, ঢালারচর-রাজশাহী রুটের ৬টি, ঈশ্বরদী-শান্তাহার রুটের ৫টি, যশোর-বেনাপোল রুটের ২টি স্টেশন অনেক দিন ধরেই বন্ধ। কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারসহ ৬০২টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ২৯০ জন। তবে বেশ কয়েকজন নতুন স্টেশন মাস্টার প্রশিক্ষণে আছেন।
পাকশীর পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বলেন, স্টেশন বন্ধের মূল কারণ হলো, জনবল নাই। সম্প্রতি আমরা কিছু স্টেশন মাস্টার পেয়েছি, তারা নবনিযুক্ত। এই স্টেশন মাস্টারের কাজটা খুবই টেকনিক্যাল কাজ এবং তাদের ভুলের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। সে জন্য তাদের টেনিং দেওয়া ছাড়া তো জব দেওয়া যায় না।
শাহ সুফি আরও বলেন, এর মধ্যে কয়েকজন টেনিং করে আসছে, তারা অলরেডি কাজ করছে। আরেকটি টিম টেনিং একাডেমিতে আছে। তারাও টেনিং শেষ করে মাঠে কাজ ধরবেন। মূলত তারা যখন মাঠে চলে আসবে তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে এ মূহুর্তে চালু স্টেশনের সংখ্যা ১২৪টি।