লাওসে মুসলমানদের জীবনধারা
, ২৬ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ সাদিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী

দেশটিতে মাত্র কয়েক হাজার মুসলমান আছে বলে জানা যায়।
ধারণা করা হয়, বিংশ শতাব্দীর শুরুর ভাগে দেশটিতে মুসলমানের আগমন ঘটে। তাদের বেশির ভাগই ছিল তামিলভাষী লাব্বাই ও রাথার। তখন লাওস ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। ফ্রান্স ভারতের প-িচেরি থেকে তাদের নিয়ে আসে।
তামিল মুসলিমরা লাওসে শ্রমিক ও নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করত। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পাকিস্তানের সীমান্ত প্রদেশের মুসলিমরা। সীমান্ত প্রদেশের মুসলিমরা ছিল ব্রিটিশ বাহিনীতে কর্মরত এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তাদের বার্মায় নিয়োগ দেওয়া হয়। কম্বোডিয়া থেকে বহু মুসলিম লাওসে আগমন করে। ব্যবসার সূত্রে চীন থেকে আসে কিছু মুসলিম পরিবার।
এর বাইরে সংখ্যাগরিষ্ঠ লাও, চিন হাও, চ্যামসসহ স্থানীয় জাতি-গোষ্ঠীর কেউ কেউ মুসলিম হয়েছে।
গত শতকের ষাটের দশকে লাওসে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল সাত হাজারের মতো। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের কারণে তাদের অনেকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে শতাধিক মুসলিম পরিবার লাওসে বসবাস করে। তাদের মধ্যে বড় একটি অংশই কম্বোডীয় বংশোদ্ভূত। তাদের পরিবারের সংখ্যা ৬১ বলে ধারণা করা হয়।
প্রায় চার দশক আগে কম্বোডিয়া থেকে লাওসে মুসলমানের আগমনের সূচনা হয়েছিল শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ এসেছিল ১৯৮০-র দশকের মধ্যভাগে, যখন তাদের প্রিয় মাতৃভূমি খেমাররুজরা দখল করেছিল।
কম্বোডীয় বংশোদ্ভূত মুসলিমদের বেশির ভাগই ঐতিহ্যবাহী ভেষজ ওষুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা কম্বোডিয়া থেকে আমদানি করে। ভিয়েনতিয়েনে কম্বোডীয় বংশোদ্ভূত মুসলিমরা চায়না কলোনির কাছাকাছি এলাকায় বসবাস করে এবং তারা সেখানে ১৯৮৬ সালে একটি মসজিদ নির্মাণ করে। তাদের প্রতিষ্ঠিত আল আজহার মসজিদটি লাওসের তিনটি মসজিদের একটি। মসজিদে একটি মক্তবও আছে। মুসলিম শিশুরা সেখানে কুরআন শরীফ পাঠ ও প্রয়োজনীয় দ্বীনি শিক্ষা লাভ করে।
মুসলমানদের মধ্যে সংখ্যার বিচারে পাকিস্তানের সীমান্ত প্রদেশের মুসলিমদের অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে তাদের প্রায় ৩০টি পরিবার লাওসে বসবাস করে। এখন তাদের অনেকেই পাকিস্তান ও পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বেশির ভাগ মুসলিম লাও নাগরিক।
তৃতীয় স্তরে রয়েছে তামিলভাষী মুসলিমরা। এদের আদি নিবাস দক্ষিণ ভারত। ২০টির মতো তামিল মুসলিম পরিবার সেখানে বাস করে। তাদের বেশির ভাগ প্রসাধনী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা চীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করে।
পাকিস্তানি ও তামিল মুসলিমদের উদ্যোগেও একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। নাম ভিয়েনতিয়েন জামে মসজিদ। এখানেও একটি মক্তব চালু আছে। সেখানে শিশুদের কুরআন শরীফ, আরবি ভাষা ও দ্বীনি হুকুম-আহকাম, মাসয়ালা-মাসায়িল শেখানো হয়। উল্লিখিত দুটি মসজিদের বাইরে আরো একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে তা নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া লুয়াং প্রাবাং প্রদেশে মুসলিম ব্যবসায়ীরা একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছে।
লাওসের মুসলিমরা উচ্চতর ইসলামী শিক্ষার জন্য সাধারণত মালয়েশিয়ায় যায়। মুসলিমদের সংঘবদ্ধ করতে এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সব শ্রেণির মুসলিমরা মিলে দ্য মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব লাওস গঠন করেছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
লালমাইয়ে বসতঘরের মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো প্রাচীন স্থাপনা
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বজুড়ে ১০৯টি সামুদ্রিক অভিবাসী প্রজাতির গতিপথ উন্মোচন!
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মসজিদের নগরী ঢাকার ঐতিহাসিক ৫টি মসজিদ
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘হিট স্ট্রোক’ এর ঝুঁকি কমাবে কাঁচা করলা ভর্তা
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জমি কিনতে গিয়ে মামলা কিনছেন না তো?
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
১৪৫ ধারার মামলা কি? এতে কি জমির মালিকানা নির্ধারণ হয়?
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যে দেশে মানুষের চেয়ে ভেড়া বেশি!
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বৈচিত্র্যময় নদী ‘বাঙালি’
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিশ্বে শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা কত?
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বজ্রপাত এড়াতে মানতে হবে যে ১০ পরামর্শ
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মোঘল ঐতিহ্যের স্মারক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
লটকনের উপকারিতা জানেন?
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)