আল ইহসান ডেস্ক:

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে যে, গত শনিবার লোহিত সাগরে আমেরিকান বাহিনী প্রথমবারের মতো হুথি যোদ্ধাদের দ্বারা মোতায়েন করা একটি আন্ডারওয়াটার ড্রোন শনাক্ত এবং ধ্বংস করেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টকম বলেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শনিবার ইয়েমেন এবং লোহিত সাগরের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ‘তিনটি মোবাইল অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল, একটি মনুষ্যবিহীন আন্ডারওয়াটার ভেসেল (ইউইউভি) এবং একটি মনুষ্যবিহীন সারফেস ভেসেলের (ইউএসভি) বিরুদ্ধে ‘আত্মরক্ষামূলক’ হামলা শুরু করেছে।’

সেন্টকম বলেছে যে, ড্রোনগুলো ওই অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলির জন্য একটি ‘আসন্ন হুমকি’ উপস্থাপন করেছে এবং প্রথমবারের মতো মার্কিন বাহিনী হুথিদের দ্বারা নিয়োজিত একটি মানববিহীন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেখেছে।

হুথিরা, একটি রাজনৈতিক ও সামরিক গোষ্ঠী যারা ইয়েমেনের রাজধানী সানা সহ বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশে অক্টোবরে লোহিত সাগরে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে আক্রমণ শুরু করে। গোষ্ঠীটি বারবার বলেছে যে, দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে।

আংশিকভাবে ইরান সমর্থিত হুথিরা সুসজ্জিত এবং অত্যন্ত সংগঠিত। গোষ্ঠীটি ইয়েমেনের উপর তার ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়ার জন্য গত এক দশকে মার্কিন-সমর্থিত সউদী আরবের প্রচেষ্টাকে সফলভাবে পরাজিত করেছে।

হুথিরা প্রথমে স্থল থেকে ছোড়া জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা শুরু করে। কিন্তু গাজায় দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরাইলের অভিযান যত নৃশংস হয়েছে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে তার নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে, গ্রুপটি তার অস্ত্রাগার প্রসারিত করেছে।

দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতে, লোহিত সাগরে ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারের বোর্ডে সাংবাদিকরা রয়েছে। এখন, হুথিদের কাছেও পানির নিচে ড্রোন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

রিয়ার অ্যাড. মার্ক মিগুয়েজ এপিকে বলেছে যে, পানির নীচে চলাচলকারী সমুদ্র ড্রোনগুলো মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুতর হুমকি। ‘একটি বোমা বোঝাই, মনুষ্যবিহীন সারফেস ভেসেল যা খুব দ্রুত গতিতে যেতে পারে এবং, আপনি যদি অবিলম্বে মোকাবেলা করতে না পারেন, এতে খুব দ্রুত খারাপ কিছু হতে পারে’।

সে আরো বলেছে, পানির নিচের ড্রোনগুলো মার্কিন সেনার জন্য ‘একটি অজানা হুমকি যার বিষয়ে আমাদের কাছে খুব বেশি তথ্য নেই, এটি অত্যন্ত প্রাণঘাতী’।