শিশুদের ভিটামিন ডি’র প্রোয়োজনীয়
, ১০ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য
ভিটামিন হল এমন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যা মানব দেহের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন ডি একটি অনন্য ভিটামিন যা পরিবেশগত উৎস – সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায়। সূর্যের আলো থেকে ভাল ইউভি রশ্মি (ইউভি-বি) যখন আমাদের ত্বকে পড়ে তখন ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি হয় এবং পরে রক্তে শোষিত হয়। ভিটামিন ডির অভাবে শিশুদের বিশেষ ধরনের রোগ রিকেটস হতে দেখা যায়। শরীরের ত্বকে সূর্যালোক লেগে এই ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়, পরে তা যকৃত হয়ে কিডনিতে পৌঁছায় এবং হরমোনের মতো কাজ করে। এর কাজ অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ করে শরীরে ক্যালসিয়াম বাড়াতে সাহায্য করা। এ ছাড়া দেহের নানা বিপাকজনিত বিক্রিয়ায় ভিটামিন ডি ভূমিকা পালন করে থাকে। মাখন, পনির, দুধ, ডিম, কলিজা ভিটামিন ডিতে সমৃদ্ধ। তবে সূর্যের আলোই প্রধান উৎস।
ভিটামিন ডি'র প্রোয়োজনীয়
শরীরের জন্য ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বড়দের মতা শিশুদের হাড় গঠনে এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু শিশেুদের হাড় দ্রুত বাড়ে এ কারণে তাদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ খুবই জরুরি। শুধুমাত্র খাবার থেকে ভিটামিন ড ‘য়ের ঘাটতি পূরণ করা বেশ কঠিন। ভিটামিন ডি'র সবেচয়ে বড় উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। এছাড়া বিভিন্ন খাবার থেকে এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়।
শিশুদের কীভাবে ভিটামিন ডি'র অভাব হয়
● দেহত্বকে আলট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে ভিটামিন ডি উৎপাদনের মোক্ষম সময় হলো সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। একালের শিশুরা হয় ক্লাসে, অথবা ঘরে থাকে, যার কারণে এটি থেকে তারা বঞ্চিত হয়।
● বেশি পোশাকে আবৃত শিশু, বিশেষ করে শীতের দেশের শিশুরা ভিটামিন ডি থেকে বঞ্চিত হয়।
● বেশি মেঘলা দিন, অতিরিক্ত বাষ্প, কলকারখানাজনিত পরিবেশদূষণে সূর্যালোক পৃথিবীর মাটিতে যথাযথ পৌঁছাতে পারে না।
● ত্বকের মেলানিন (প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন) যদিও ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, এটি কিন্তু ভিটামিন ডি উৎপাদনে বাধা দেয়। এ জন্য একই পরিমাণ ডি ভিটামিন পেতে এশিয়ানদের তিন গুণ বেশি সময় সূর্যালোকে থাকতে হয়। যদিও খাবার থেকে সংগৃহীত ভিটামিন ডি (যেমন মাছের তেল, গোশত, ডিমের কুসুম, কডলিভার অয়েল, দুগ্ধজাত খাবার) বেশি পাওয়া যায় না, তবু শিশুদের খাবারের তালিকায় তা জোগানো হলে ঘাটতি কমানো যায়।
● অতিরিক্তি সানস্ক্রিন ব্যবহার ভিটামিন ডির কার্যকারিতা কমায়।
● জেনেটিক ফ্যাক্টও কারও কারও ক্ষেত্রে কাজ করে।
● গর্ভাবস্থায় মায়ের ভিটামিন ডির অভাব থাকলে শিশুরও ঘাটতি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
শিশুর স্বাভাবিক অনাবৃত অংশে, যেমন মুখ, হাত–পা সপ্তাহে ২-৩ দিন প্রতিবার ২০ মিনিটের মতো রোদ লাগলেই শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দাবদাহে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কয়েকটি ঘরোয়া চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে গ্যাস্ট্রিক
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভিটামিন পি সম্পর্কে জানেন?
১৫ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ডাবের ৩ রেসিপি
১২ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফুড পয়জনিং হলে কি করবেন ?
১০ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উচ্চ রক্তচাপজনিত চোখের সমস্যা
০৯ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মস্তিষ্কে সাবঅ্যারাকনয়েড রক্তক্ষরণ
০৮ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ডেঙ্গু হলে কি খাবেন ?
০৭ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পা হঠাৎ মচকে গেলে কী করবেন?
০৬ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অটিজম
০৫ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডেঙ্গু হলে কখন হাসপাতালে ভর্তি হবেন
০২ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
টিনিটাস বা কানে শোঁ শোঁ শব্দ
২৯ জুলাই, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)