শীতলপাটি হতে পারে অন্যতম রপ্তানি পণ্য
, ২৫ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর
শীতলপাটি একধরনের মেঝেতে পাতা আসন বা গালিচা। এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যগত কুটিরশিল্প। শীতলপাটির চাহিদা একসময় দেশব্যাপী সমাদৃত থাকলেও, সময়ের ব্যবধানে এটি এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে এই শিল্পের কাঁচামালের সংকট, পুঁজির অভাব এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশায় পেশা বদল করছেন অনেক কারিগর। তবে পর্যাপ্ত সহায়তা পেলে শীতলপাটিই হতে পারে এ দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে শীতলপাটি তৈরি হয়। তবে সিলেট এলাকায় বিভিন্ন স্থানে যে মানের শীতলপাটি তৈরি হয়, তা সর্বোৎকৃষ্ট। সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পাটিকররা তাদের নিপুণতার জন্য শত শত বছর ধরে প্রসিদ্ধ। প্রান্তিক এই শিল্পের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি এখন ইউনেসকো-ঘোষিত। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেসকো ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের শীতলপাটি বুননের ঐতিহ্যগত হস্তশিল্পকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
জানা যায়, পাবনা জেলার আটঘরিয়া গ্রামের শখানেক কারিগর শীতলপাটি তৈরির কাজ দল বেঁধে করে থাকেন। তবে নারীরাই এই শৈল্পিক বুননের কাজটি বেশি করে থাকেন। শীতলপাটি একই সঙ্গে কারুশিল্প ও লোকশিল্প। শহরে শোপিস এবং গ্রামে এটি মাদুর ও চাদরের পরিবর্তে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সিলেটের পর সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে মুর্তাগাছ জন্মে এবং সেই গাছ থেকে পাটি তৈরি হয়। রাজধানী ঢাকার নিউ মার্কেট, কাওরান বাজারে শীতলপাটি কিনতে পাওয়া যায়। এর দাম আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়। তবে নকশা করা পাটিগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমানে প্লাস্টিক ও অন্যান্য পণ্যের দাপটে এবং ভূমির অভাবে শীতলপাটির কদর কমেছে। তবে এই শীতলপাটি দিয়ে তৈরি কলমদানি, ব্যাগ, টিস্যু বক্স, রানারসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে। এই শীতলপাটিই হতে পারে রপ্তানির অন্যতম পণ্য। ১৫ থেকে ২৯ বছর ব্যবহার করা যায় একেকটা শীতলপাটি। দেশীয় এই শিল্পের উপযুক্ত প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ই-কমার্স সেক্টরেও সম্ভাবনার এই শিল্পের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে পারে। তবে এই পাটিশিল্পের শিল্পী ও শিল্প রক্ষায় প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বরখাস্ত ১৩৯ শ্রমিককে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অনিয়মের জোয়াল টানতে ৩০০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র’
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইইউ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক আসবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বাংলাদেশ যেন আবারও ফ্যাসিবাদের পরিচিতি না পায়’
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘একটি বিশেষ মহল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে’
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘মুক্তিযুদ্ধ-ইসলামের নামে দেশকে বিভাজন করা যাবে না’
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আলোচিত সেই নোটিশ প্রত্যাহার
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নির্বাচন সামনে রেখে টকশোতে শালীনতা বজায় রাখার নির্দেশ ইসির
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ভাতার দাবিতে আন্দোলন : সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী বরখাস্ত
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছেঁড়া ও নষ্ট নোটে অর্থ ফেরতের নতুন নীতিমালা
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












