শুধু ডেঙ্গুই নয় গ্রামীণ জনপদে অনেকেই সাপের কামড়েও প্রাণ হারাচ্ছেন। বর্ষায় এ সংখ্যা আরো বাড়ছে।
সাপের কামড়ের চিকিৎসার প্রতিও নজর দিন।
, ০৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ ভাদ্র শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
বিষধর সাপের কামড়ে পৃথিবীতে প্রতিবছর কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। এর বাইরে চার লাখ লোক প্রতিবন্ধিত্ব বরণ করেন সাপের কামড়ে।
আমাদের দেশেরও অন্যতম একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে সাপের কামড়। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর ৪ লাখ ৩ হাজার মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়। এর মধ্যে বছরে গড়ে ৭ হাজার ৫১১ জন মারা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত এনটিডিভুক্ত রোগের সংখ্যা ২০টি। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যে কয়েকটি রোগ প্রধান এনটিডি হিসেবে বিদ্যমান তার মধ্যে সাপের কামড়জনিত রোগ অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্প দংশন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এখনো উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন তো করেইনি এমনকি আজও পর্যন্ত সরকার কোন পরিকল্পনা গ্রহন করেনি ।
সাপে কামড়ালেই যে মানুষ মারা যায় তা নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, সাপের কামড়ের যত ঘটনা ঘটে তার মধ্যে এক-চতুর্থাংশ বিষাক্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষধর সাপও যদি কাউকে কামড়ায় তাহলে সেই মানুষকে বাঁচানো সম্ভব। তাছাড়া বিষধর সাপ যখন কামড়ায় তখন প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সেই সাপ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এমন পরিমাণ বিষ ঢেলে দিতে পারে না যাতে সেই ব্যক্তি মারা যায়।
সমস্যা হচ্ছে, সাপের কামড়ে আক্রান্ত মানুষ সাধারণত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না বা চিকিৎসা কেন্দ্রে যান না। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাপের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ চিকিৎসকের কাছে যান। বেশিরভাগ সাপে কাটা মানষকে ওঝা বা বেদের মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক করানো হয়। অথচ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সাপে কামড়ের ওষুধ পাওয়া যায়। অপচিকিৎসা ও অজ্ঞতার কারণে সাপের কামড়ের শিকার মানুষ নানা জটিলতায় ভোগেন। কখনো কখনো গুরুতর অবস্থায় কাউকে হাসপাতালে নেয়া হলেও দেরি করা হয়। যে কারণে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয় না।
মানুষকে সচেতন করা গেলে সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে। কাজেই এ বিষয়ে সরকারকে যথেষ্ট প্রচার চালাতে হবে। অঞ্চল ভেদে এ প্রচার জোরদার করতে হবে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেকে বিষধর সাপের কামড় খেয়ে মারা যান শুধুমাত্র সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়া বিশেষ করে হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকার কারণে।
সরকারি নিয়মে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনদের তাদের চাহিদার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানোর কথা। সেই চাহিদার ভিত্তিতে জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখান থেকে উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোয় প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুযায়ী অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করার কথা।
এসব হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীদের বিনামূল্যে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দেয়ার কথা।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশে চাহিদার তুলনায় সরকারিভাবে অ্যান্টিভেনমের যথেষ্ট সরবরাহ নেই। যেগুলো আছে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। আবার মেয়াদ সম্পন্ন অ্যান্টিভেনম থাকা সত্ত্বেও অনেক চিকিৎসক দিতে সাহস পান না।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, সাপের বিষের প্রতিষেধক প্রতিটি উপজেলায় নেই। সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় আইসিউ প্রয়োজন। তাও নেই। প্রতিটি উপজেলায় সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় প্রশিক্ষপ্রাপ্ত একজন হলেও চিকিৎসক থাকা দরকার।
মানুষকে সচেতন করা গেলে সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে। কাজেই এ বিষয়ে সরকারকে যথেষ্ট প্রচারণা চালাতে হবে। অঞ্চল ভেদে এ তথ্য প্রচার জোরদার করতে হবে। বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত বর্তমান বর্ষা মৌসুমে সাপের কামড় দেয়ার ঘটনা বেড়েই চলছে। কাজেই শুধু ডেঙ্গু নিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। সাপের কামরে অবহেলিত মানুষদের মৃত্যুর বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। ইনশাল্লাহ!
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম নিশ্চিত করতে হবে। সাপে কামড় দেয়া রোগীদের বিষয়ে চিকিৎসকদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদেরকে এ বিষয়ে সাহসী ও সক্রিয় করে তুলতে হবে। ইনশাল্লাহ।
সাপের কামড় প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতার পাশাপাশি সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ যুগপতভাবে কাম্য। ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












