শুধু স্ত্রী নয়, স্বামীকেও সামলাতে হবে ঘরের কাজ -মুম্বাই হাইকোর্ট
এডমিন, ৩০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) বিদেশের খবর

আল ইহসান ডেস্ক:
কথিত আধুনিক সমাজে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই ঘরের কাজ ভাগাভাগি করে সামলাতে হবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের উচ্চ আদালত মুম্বাই হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারক নিতিন সামব্রে ও বিচারক শর্মিলা দেশমুখ একটি মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে এই পর্যবেক্ষণ দেয়।
এদিন দাম্পত্য বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলা খারিজ করে দেয় এই দুই বিচারকর বেঞ্চ।
যে পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে মুম্বাই আদালত, সেটির বাদি ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ-স্ত্রী সারাক্ষণ নিজের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপে ব্যস্ত থাকেন এবং ঘরের কোনো কাজ করতে চায় না।
অন্যদিকে তার স্ত্রী আদালতের শুনানিতে জানিয়েছে, তাদের বিয়ে হয়েছে ২০১০ সালে। স্বামী ও সে উভয়েই চাকরিজীবী এবং প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে বাসায় ফেরে। কিন্তু অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর প্রতিদিনই তার স্বামী তাকে ঘরের কাজকর্ম করার জন্য চাপ দেন এবং সে যখন নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে, তখন স্বামী দুর্ব্যবহার করে।
ওই নারী আরও অভিযোগ করে, স্বামী তার কাছ থেকে শারীরিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকেন এবং কোনো অজুহাত পেলেই গায়ে হাত তোলেন।
এর আগে পারিবারিক আদালতে নিজের অভিযোগ জানিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলো ওই ব্যক্তি। কিন্তু ওই আদালত তার আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় মুম্বাই হাইকোর্টে পিটিশন করে।
বৃহস্পতিবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলে, “বাদি যে অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং ভিত্তিহীন। আধুনিক সমাজে ঘরের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই। স্ত্রী একা সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম নিজের কাঁধে তুলে নেবে- এমন চিন্তাভাবনা কেবল আদিম নয় বরং নেতিবাচক এবং আধুনিক সমাজের সঙ্গে সঙ্গতিহীন।”
‘আর এটাও সত্য যে, বিবাহিত যুগলের একজন যদি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায়, সেক্ষেত্রে অপরজনের তাতে মানসিক যন্ত্রণায় ভোগার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। বরং আমাদের মতে, যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বাধা দেয়, সেক্ষেত্রে সে আসলে তার স্ত্রীকে একপ্রকার মানসিক নির্যাতনের মধ্যে রাখছে।’ সূত্র: এনডিটিভি