নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবে আসন পেতে বসে থাকে। যখন সে যিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয়, তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়। ” মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির সমস্ত কামিয়াবীর সোপান।
তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- ইলমে তাছাউফের তারতীব অনুযায়ী গাইরুল্লাহ হতে বিমুখ হয়ে একাগ্রতার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করা বা উনার যিকির করা এবং মহান আল্লাহ পাক উনার দিকেই খালিছভাবে রুজু হওয়া।
, ১৯ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৩ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১২ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনার রব উনার নাম মুবারক স্মরণ করুন বা যিকির করুন এবং উনার দিকে মনোনিবেশ করুন। তিনি পশ্চিম-পূর্ব তথা সমস্ত কয়িনাতের রব, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। উনাকে কার্য সম্পাদনকারী হিসেবে গ্রহণ করুন। ” সুবহানাল্লাহ। পবিত্র আয়াত শরীফে বলা হয়েছে, বান্দা যেন মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে বা যিকির করে এবং উনার দিকে মনোনিবেশ করে অর্থাৎ একাগ্রতার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে তাহলে তিনি তাকে স্মরণ করবেন অর্থাৎ রহমত নাযিল করবেন এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন। কেননা, রহমত-বরকত, সাকীনা সমস্ত কিছুই একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনিই দান করেন। তাই উনাকে স্মরণ করতে হবে বা উনার যিকির করতে হবে, গাইরুল্লাহর দিকে রুজু না হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকেই রুজু হতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যিকির কীভাবে করতে হবে সেই বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “আপনি আপনার রব উনার যিকির করুন স্বীয় অন্তরে বিনয়ের সাথে, বিনীতভাবে, চুপে চুপে বা হালকা আওয়াজে, উচ্চস্বরে নয়; সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে। এবং আপনার উম্মত যেন গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত না হয়। ” শুধু তাই নয়, বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করলে তিনি বান্দাকে স্মরণ করেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা বাক্বারা শরীফ-এর ১৫২ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা আমার যিকির করো বা আমাকে স্মরণ করো। আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন। মহান আল্লাহ পাক বলেন, নিশ্চয়ই আমি বান্দার ধারণা অনুযায়ী। যখন সে আমাকে স্মরণ করে বা আমার যিকির করে তখন আমি তার সাথেই থাকি। যখন সে আমাকে একা স্মরণ করে বা আমার যিকির করে তখন আমিও তাকে একা স্মরণ করি। আর সে যদি আমাকে মজলিসে স্মরণ করে বা আমার যিকির করে আমি তাকে এর চেয়েও উত্তম মজলিসে স্মরণ করি। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি (মহান আল্লাহ পাক তিনি) মানুষের (ঘাড়ের) প্রাণ রগ অপেক্ষা অধিক নিকটে। ” আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের সাথেই রয়েছেন। ” মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দার সাথেই সবসময় রয়েছেন, কিন্তু বান্দা উপলব্ধি করতে পারে না। যখন বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করার দ্বারা উনার নৈকট্য লাভ করবে তখন তার পক্ষে মহান আল্লাহ পাক উনার বিষয়টি অনুধাবন করা সম্ভব হবে। আর তখনই তার সমস্ত বিষয় কুদরতীভাবে ফায়সালা হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যিকিরকারীদের অনেক ফযীলত মুবারক দান করেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার অধিক যিকিরকারী পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহা প্রতিদান। ” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে সমস্ত লোক মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে বসেন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদেরকে (যিকিরকারীদেরকে) পরিবেষ্টন করে নেন, রহমত মুবারক উনাদেরকে আচ্ছাদিত করেন, উনাদের উপর সাকীনা বা শান্তি বর্ষিত হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নিকটস্থ ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট যিকিরকারী উনাদের সম্পর্কে আলোচনা করতে থাকেন। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে জানতে চাওয়া হলো, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কোন বান্দা শ্রেষ্ঠ এবং অধিক উচ্চ মর্যাদাশীল? মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার অধিক যিকিরকারী পুরুষ-মহিলা (উনারাই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং উচ্চ মর্যাদাবান)। জানতে আরজি পেশ করা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে জিহাদ করে গাজী হয়েছেন উনাদের থেকেও (শ্রেষ্ঠ এবং উচ্চ মর্যাদাবান)? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদিও সেই গাজী স্বীয় তরবারী দ্বারা কাফির, মুশরিকদের আঘাত করার ফলে তার তরবারী ভেঙ্গে যায় এবং নিজেও রক্তে রঞ্জিত হন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী, (সেই গাজী) উনার থেকেও মর্যাদার দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলত, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ দ্বারা যিকিরকারীর বেমেছাল সম্মান-মর্যাদার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। যদি বান্দা-বান্দী সবসময় যিকিরে মশগুল থাকে তবেই তাদের পক্ষে উপরোক্ত ফযীলত লাভ করা সম্ভব হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা বেশি বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করো, অবশ্যই তোমরা সফলতা লাভ করবে। ” আর পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, সাবধান! নিশ্চয়ই দুনিয়া লা’নত প্রাপ্ত, লা’নত প্রাপ্ত যা কিছু তাতে (দুনিয়াতে) রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির, যিকিরকারী, আলিম, ত্বালিবে ইলম ব্যতীত।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির সমস্ত কামিয়াবীর সোপান। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- ইলমে তাছাউফের তারতীব অনুযায়ী গাইরুল্লাহ হতে বিমুখ হয়ে একাগ্রতার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করা বা উনার যিকির করা এবং মহান আল্লাহ পাক উনার দিকেই খালিছভাবে রুজু হওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যে ঘরে পবিত্র ছলাত শরীফ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ-পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা হবেনা সেই ঘর অন্ধকার কবরের মত হয়ে যাবে অর্থাৎ বিরান হয়ে যাবে। সুতরাং প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বেশি বেশি ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ- পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা।
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীক্বীভাবে পালন করতে হলে নিজেকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে হবে। তাই, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- প্রতিদিন ইশার নামাযের পর ১০০ বার এবং পবিত্র ফজর নামাযের পর ১০০ বার ত্বরীক্বা অনুযায়ী পবিত্র দরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে খেয়ালের দ্বারা দায়েমীভাবে পবিত্র পাছ আনফাছ যিকির এবং ত্বরীক্বা অনুযায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘন্টা ক্বলবী যিকির করা।
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উত্তম কথা উত্তম গাছের ন্যায় ফলদায়ক। উত্তম কথা ব্যতীত অতিরিক্ত কথা বলার দ্বারা মানুষের অন্তর কঠিন হয়ে যায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে দূরে সরে যায়। তাই কথা বললে উত্তম কথা বলতে হবে, যে কথায় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক রয়েছে; অন্যথায় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল থাকতে হবে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অন্তর থেকে বদ খাছলতসমূহ দূর করে দিয়ে পবিত্র নেক খাছলতসমূহ পয়দা করার মাধ্যমেই হাক্বীক্বী ইছলাহ বা পরিশুদ্ধতা লাভ সম্ভব। মুহলিকাতের (বদ খাছলত) কারণে ক্বলব বিনষ্ট হয়। আর মুনজিয়াতের (নেক খাছলত) কারণে ক্বলব পরিশুদ্ধ হয়।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দুনিয়া একটি মৃত প্রাণী থেকেও অতি নিকৃষ্ট। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়ার পিছনে না ঘুরে পরকালের দিকে মনোনিবেশ করা। এ জন্য তাক্বওয়া বা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা। আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারকের ইত্তেবা বা অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ পবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক জীবন পরিচালনা করতে হবে।
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের অফুরন্ত ফযীলত মুবারক। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম, পূঙ্খানু-পুঙ্খ দায়িমীভাবে অনুসরন-অনুকরন করা। অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়া, আচার-আচরণ, উঠা-বসা, চলা-ফেরা, ঘুমসহ সর্বক্ষেত্রে পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী আমল করা।
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পরকালের তুলনায় দুনিয়াবী সম্পদ অতি সামান্য। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়ার পিছনে না ঘুরে পরকালের দিকে মনোনিবেশ করা। এ জন্য তাক্বওয়া বা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা। আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারকের ইত্তেবা বা অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ পবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক জীবন পরিচালনা করতে হবে।
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি যার অন্তরকে প্রসারিত করেন তাকেই হিদায়েত দান করেন। কিভাবে হিদায়েত লাভ করা যাবে আর কি কারণে হিদায়েত থেকে মাহরূম হয়ে যাবে সে বিষয়ে হাক্বীক্বী ইলম হাছিল করতে হলে কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার ব্যতীত কারো জন্য কোন বিকল্প নেই।
০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে গুনাহর কাজ করা থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত নিয়ামতসমূহের যথাযথ হক্ব আদায় করা অর্থাৎ হায়াতকে নিয়ামত মনে করে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা।
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুসারে- ‘যে পুরুষ ও মহিলা নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ।’ নাউযুবিল্লাহ!
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- হামদ্ শরীফ, না’ত শরীফ, ক্বাছীদাহ শরীফ ইত্যাদি লেখা বা রচনা করা, পাঠ বা আবৃত্তি করা এবং শ্রবণ করা সবই খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- বেশি বেশি হামদ্ শরীফ, না’ত শরীফ, ক্বাছীদাহ শরীফ ইত্যাদি লেখা বা রচনা করা, পাঠ বা আবৃত্তি করা এবং নিয়মিত শ্রবণ করা।
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা, পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা, পবিত্র না’ত শরীফ পাঠ করা এবং উনার আলোচনা মুবারক করা ফযীলত, বরকত ও মর্যাদা হাছিলের কারণ।
৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












