সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯৩% মামলাই মিথ্যা
, ২২ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৯ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৫ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) দেশের খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সাত বছরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া ৯৩ শতাংশ মামলাই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামিরা খালাস পেয়েছে। এই সাত বছরে ৭৯৪টি মামলার মধ্যে মাত্র ৫২টিতে আসামিদের সাজা হয়েছে।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০২১ সালে হিন্দুত্ববাদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে এই আইনে মামলার সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায়। চার বছরে মামলার সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে একই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। মামলার স্থান ও আসামি ভিন্ন হলেও হুবুহু একই চার্জশিট প্রদানের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন মামলা ঝুলিয়ে রাখায় আসামিরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্র্বতী প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের কাছে ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ : আ স্ট্রাকচারাল ডায়াগনসিস অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনটিকে দমন-পীড়নের একটি হাতিয়ারে পরিণত করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এই আইনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
মামলা বিচারপ্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভুক্তভোগীদের দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। প্রকৃত ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলাগুলোতে দন্ডাদেশের হার অত্যন্ত কম। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিষ্পত্তিকৃত ৭৯৪টি মামলার মধ্যে মাত্র ৫২টিতে সাজা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, সাজার হার মাত্র ৭ শতাংশ। আর অভিযুক্তদের ৯৩ শতাংশ খালাস পেয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী বছরে হঠাৎ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা হয়। আবার ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরে মামলার নিষ্পত্তির সংখ্যা ২০-২৫টি কররে। ২০২২ সালে প্রায় আড়াইশ মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। তবে বিপুলসংখ্যক আসামি খালাস পাওয়ায় এসব মামলার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
তথ্য অনুযায়ী, মাত্র চার বছরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৭ সালে যেখানে এটি ছিল ৬০০-এর নিচে, ২০২১ সালের মধ্যে তা বেড়ে ১ হাজার ২০০-এর বেশি হয়ে যায়। যখনই রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে, তার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী মামলার সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি মামলা দেওয়া হয়। জাতীয় নির্বাচনের এই সময়কালে বিরোধী দলগুলোর কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা হয়। একইভাবে, ২০২১ সালে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে হওয়া গণবিক্ষোভ দমন অভিযানের সম্পর্ক রয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্বাভাবিকভাবেই পড়ছে শীত মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশ সীমিত
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদ- বাড়িয়ে মৃত্যুদ- চেয়ে আপিল
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আইজিপির বিরুদ্ধে রিট আবেদন খারিজ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নৌবাহিনীতে অনারারী কমিশন প্রদান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘দেড় বছরে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘বাংলার মাটিতে আ’লীগের রাজনীতি আর চলবে না’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে বিভাগীয় কমিশনার-জেলা প্রশাসকদের ইসির চিঠি
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘২০২৪-কে ১৯৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করি’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সন্তোষজনক’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে প্রস্তুতি নিন’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












