মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র ‘সূরা মুমতাহিনাহ শরীফ’ উনার ১ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদাররা! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না।”
সমস্ত কাফির-মুশরিকরাই মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রু এবং মুসলমানদেরও শত্রু। তন্মধ্যে ইহুদী ও মুশরিকরা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বা ঘোরতর শত্রু। নাঊযুবিল্লাহ! তাই ইহুদী, মুশরিক তথা সমস্ত বিধর্মী ও নাস্তিকগুলি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশে ও পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ পোড়ানো ও অবমাননার ব্যাপারে এতো তৎপর। নাউযুবিল্লাহ!
অতএব, সমস্ত মুসলমানদের স্মরণ রাখতে হবে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফির-মুশরিকদেরকে মুসলমানদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে জানিয়ে দেয়ার পর এবং তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করার পর কোনো মুসলমান তাদেরকে মুহব্বত করতে পারে না, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে না, তাদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বাও গ্রহণ করতে পারে না। তাই পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- ইহুদী, মুশরিক, নাছারা তথা বিধর্মী ও নাস্তিকদের সর্বপ্রকার নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা।
, ০৩ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১০ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মু’মিন-মুসলমানরা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতকারী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদের ঈমান-আমল, মাল ও জানের শত্রু কারা, তাদের সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন। যেমন, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদাররা! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। স্মরণ রেখো, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করো, অথচ তারা সত্য (দ্বীন ইসলাম) তোমাদের নিকট যা এসেছেন তা মেনে নিতে অস্বীকার করে।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শিরক ও কুফর দুটি আচরণই মহান আল্লাহ পাক উনার অপছন্দনীয় ও নাফরমানীর অন্তর্ভুক্ত। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফির ও মুশরিকদেরকে পছন্দ করেন না। অতএব, যারা মুসলমান হবে উনারাও কাফির-মুশরিকদের পছন্দ করতে পারে না। যারা পছন্দ করবে, তারা মুসলমান থাকতে পারবে না।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ছহীহ মুসনাদে আহমদ’ ও ‘ছহীহ আবূ দাউদ শরীফ’ কিতাবদ্বয়ে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল বা সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে অর্থাৎ তাদের সাথেই তার হাশর-নশর হবে।” ‘ছহীহ বুখারী শরীফ’ ও ‘ছহীহ মুসলিম শরীফ’ উনাদের মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, “যে যাকে মুহব্বত করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, মুসলমান হয়ে যে ব্যক্তি কাফির-মুশরিকদের সাথে মুহব্বত করবে, তাদেরকে অনুসরণ করবে, তাদের সাথে সম্পর্ক রাখবে, উক্ত কাফির-মুশরিকদের যে হুকুম; তারও সেই একই হুকুম হবে। অর্থাৎ সে ব্যক্তি সম্মানিত ঈমান ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মৃত্যুবরণ করবে এবং কাফির-মুশরিকদের সাথে তার হাশর-নশর হবে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, সমস্ত মুসলমানদের স্মরণ রাখতে হবে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফির-মুশরিকদেরকে মুসলমানদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে জানিয়ে দেয়ার পর এবং তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করার পর কোনো মুসলমান তাদেরকে মুহব্বত করতে পারে না, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে না, তাদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বাও গ্রহণ করতে পারে না। তাই পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- ইহুদী, মুশরিক, নাছারা তথা বিধর্মী ও নাস্তিকদের সর্বপ্রকার নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা। ঈমানদার বান্দা-বান্দী ও উম্মতের উচিত, কাফির-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন না করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফাসিক, ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংখ্য অগণিত পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ বিদ্যমান রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কালিমা শরীফ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে- পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামসহ অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে কাফিরদের প্রণীত গণতন্ত্র ও ভোট-নির্বাচন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ! অতএব, মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- কাফিরদের প্রণীত গণতন্ত্র ও ভোট-নির্বাচনসহ সর্বপ্রকার মতবাদ বাদ দিয়ে হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সম্পর্কে ইলম অর্জন করে সে অনুযায়ী আমল করা।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












