সম্পদ বিক্রি করতে গোপনে দেশে আসে মিঠু

, ০৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দেশের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্পদ গোপনে বিক্রি করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বহুল আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। সম্প্রতি তার প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এরপরই দেশে নড়েচড়ে বসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গঠন করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম। এর আগেও দফায় দফায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধানে নামে দুদক। কিন্তু মাঝপথে এসে তদন্ত থেমে যায় রহস্যজনকভাবে। পাশাপাশি মিঠু উচ্চ আদালতে রিট করেও বহু তদন্ত থামিয়ে দিয়েছেন। এবার মিঠুর বিদেশেযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে গত ১৮ অক্টোবর চিঠি দিয়েছে দুদক। তবে তার বর্তমান সঠিক অবস্থানের তথ্য নেই দুদকের কাছে।

মিঠুর ৭৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭১ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করার জন্য দুদকের আবেদনের পর আদালতের আদেশে ক্রোক করা হয়েছে। গত সোমবার তার বেশকিছু সম্পদের তথ্য চেয়ে ৬টি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রংপুরে ফসির উদ্দিন মেডিকেল কলেজের জমিসহ আটতলা ভবন বিক্রি এবং রংপুর ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি বিক্রির চেষ্টার তথ্য পেয়েছে কমিশন। সেগুলোর বেচাবিক্রি ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছেন কমিশন। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি আমরা খবর পেয়েছি মিঠু দেশে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে যেহেতু বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে পাচার-সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে; তাই আদালতের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ রহিত করা হয়েছে। আদালতের আদেশে তার অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ট্যাগসমূহঃ