মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর আপনি তাদেরকে আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক সম্পর্র্কে স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এই দিন মুবারকসমূহ উনাদের মধ্যে প্রত্যেক ধৈর্য্যশীল ও শুকুরগুজার বান্দা-বান্দী-উম্মতদের জন্য সম্মানিত আয়াত তথা নিদর্শন মুবারক রয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক।
তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
, ০৯ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছহিবায়ে নিয়ামত, রহমতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর আপনি তাদেরকে সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক সম্পর্র্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয়ই এই বিশেষ দিন মুবারকসমূহ উনাদের মধ্যে প্রত্যেক ধৈর্য্যশীল ও শুকুরগুজার বান্দা-বান্দী-উম্মত উনাদের জন্য সম্মানিত আয়াত তথা নিদর্শন মুবারক রয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আইয়্যামুল্লাহ্ তথা উনার পবিত্র বিশেষ দিনসমূহ’ বলে মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশেষ বিশেষ দিনসমূহ উনাদেরকে উনার সাথে নিসবত করে, উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত করে পবিত্র বিশেষ বিশেষ দিনসমূহ উনাদের ইজ্জত-সম্মান, শান-মান, মর্যাদা-মর্তবার বিষয়টি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের নিকট স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন, পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে ‘বাইতুল্লাহ’ তথা ‘মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ঘর মুবারক’ বলে, কা’বা শরীফ উনার ইজ্জত-সম্মান, শান-মান, মর্যাদা-মর্তবার বিষয়টি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের নিকট স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আবার পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ‘কালামুল্লাহ’ তথা ‘মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম মুবারক’ বলে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ইজ্জত-সম্মান, শান-মান, মর্যাদা-মর্তবার বিষয়টি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের নিকট স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র বিশেষ শি‘য়ার বা নির্দশন মুবারক, অত্যন্ত সম্মানিত বিষয় এবং পালনীয় বিষয়, যেমন পবিত্র কা’বা শরীফ এবং পবিত্র কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ শি‘য়ার বা নিদর্শন মুবারক, অত্যন্ত সম্মানিত বিষয় এবং উনাদের মধ্যে পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে তাওয়াফ করতে হয়, উনার দিকে মুখ করে নামায পড়তে হয় আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে তিলাওয়াত করতে হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই পবিত্র কা’বা শরীফ এবং কুরআন শরীফ উনাদেরকে যেমন ইজ্জত-সম্মান মুবারক করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা ফরয, তেমনিভাবে পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদেরকেও ইজ্জত-সম্মান করা, তা’যীম-তাকরীম করা, পালন করা ফরয। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত শি‘য়ার মুবারকসমূহ উনাদের, পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের মানহানী করো না অর্থাৎ সম্মান-ইজ্জত করো, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত ‘আইয়্যাশ ইবনে আবী রবী‘আহ মাখ্যূমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এই উম্মত ততদিন পর্যন্ত খায়ের-বরকত, কল্যাণের উপর থাকবে, যতদিন পর্যন্ত তারা এই সম্মানিত বিষয় মুবারকসমূহ উনাদের, পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের যথাযথ ইজ্জত-সম্মান করবে, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর যখন তারা পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের ইহানত করবে, মানহানী করবে, অবমাননা করবে, তখন তারা হালাক হয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! একদিকে ধ্বংস থেকে বাঁচা যেমন ফরয, অন্যদিকে মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী মা’রিফাত-মুহব্বত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করাটাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক। তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবাশশিরাও ওয়া নাযীরা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “অবশ্যই হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে – সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীক্বীভাবে পালন করা হলো সন্তুষ্টিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ!
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তিই তার আমলের কারণে পাকড়াও হয়ে যাবে। তার জন্য মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত কোনো ওলী বা অভিভাবক এবং সুপারিশকারী থাকবে না। যদি সে তার আমলের বদলাস্বরূপ সব ধরনের বিনিময় প্রদান করে তবুও তার থেকে সেই বিনিময় গ্রহণ করা হবে না। আর যারা তাদের আমলের কারণে পাকড়াও হবে তাদের জন্য থাকবে গরম পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। যেহেতু তারা কুফরী করতো। ” কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যকে মুসলমান পুরুষ-মহলিা, জ্বীন-ইনসান সকলরে জন্যই ইখলাছ র্অজন করা এবং ইখলাছরে সাথে প্রতটিি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কনেনা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নকিট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করা যাবে। যে ঘরে পবিত্র ছলাত শরীফ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ-পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা হবেনা সেই ঘর অন্ধকার কবরের মত হয়ে যাবে অর্থাৎ বিরান হয়ে যাবে।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত।
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)