মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করে না; অর্থাৎ পবিত্র যাকাত আদায় করে না, তাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ প্রদান করুন।’
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র যাকাত ফরয হওয়ার পরও শরয়ী তারতীব অনুযায়ী যারা পবিত্র যাকাত আদায় করবে না- তাদের খাদ্য হালাল হবে না, ইবাদত কবুল হবে না, ধন-সম্পদ ধ্বংস হবে এবং পরকালে তারা অত্যন্ত কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
পবিত্র যাকাত মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার তৃতীয় বা মধ্যবর্তী ভিত্তি এবং ফরয ইবাদত। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং যাবতীয় সাংসারিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত মজুদ সম্পদ হতে চল্লিশ ভাগের একভাগ অর্থাৎ শতকরা মাত্র আড়াই টাকা পবিত্র যাকাত হিসেবে অবশ্যই দিতে হবে।
, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অতিরিক্ত যদি কোনো মাল বা অর্থ-সম্পদ নিছাব পরিমাণ তথা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য অথবা এ সমপরিমাণ সম্পদ বা অর্থ কারো অধীনে পূর্ণ এক বছর থাকে, তাহলে তা থেকে চল্লিশ ভাগের একভাগ মাল বা অর্থ-সম্পদ পবিত্র যাকাত হিসেবে দিতে হবে। মহাসম্মানিত শরীয়ত উনার কর্তৃক নির্ধারিত খাতে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে বিনা স্বার্থে ও বিনা শর্তে প্রদান করতে হবে। এই সামান্য একটি অংশ মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক পালন করে পবিত্র যাকাত দিতে যে কুন্ঠিত ও চু-চেরা করে, নিঃসন্দেহে সে ঈমানদার নয়। পবিত্র যাকাত আদায় না করার পরিণতি ও শাস্তি অত্যন্ত কঠিন। অর্থাৎ পবিত্র যাকাত ফরয হওয়ার পরও শরয়ী তারতীব অনুযায়ী যারা পবিত্র যাকাত আদায় করবে না- তাদের খাদ্য হালাল হবে না, ইবাদত কবুল হবে না, ধন-সম্পদ ধ্বংস হবে এবং পরকালে তারা অত্যন্ত কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাকাত আদায় না করার পরিণতি ও শাস্তি সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ব্যয় করে না; অর্থাৎ পবিত্র যাকাত আদায় করে না, তাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ প্রদান করুন। ক্বিয়ামতের দিন তাদের এই সঞ্চিত সম্পদ দোযখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের চেহারা, পাঁজরে ও পিঠে দাগা দেয়া হবে আর বলা হবে, এগুলো তোমাদের ধন-সম্পদ, যা তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে ব্যয় না করে অর্থাৎ যাকাত না দিয়ে নিজের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে। আজ সেই সঞ্চিত সম্পদের স্বাদ উপভোগ করো।’ নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশুদ্ধ কিতাব ‘বুখারী শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ধন-সম্পদের অধিকারী করেছেন, সে যদি ঐ সম্পদের পবিত্র যাকাত না দেয়, তাহলে তার ঐ সমস্ত সম্পদ ক্বিয়ামতের দিন এমন একটি সাপে পরিণত হবে যার বিরাট মস্তক থাকবে কিন্তু মস্তকে কেশ থাকবে না। আর তার চোখের উপর দুটি তিলক থাকবে। (যা অত্যন্ত বিষাক্ত ও হিংস্র হওয়ার চিহ্ন) সাপটি ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় জড়িয়ে ধরবে আর বলবে, আমিই তোমার অর্থ-সম্পদ এবং আমিই তোমার সঞ্চিত ধন-ভান্ডার। আর সাথে সাথে সাপটি কামড়াতে থাকবে।” নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাদের প্রতি পবিত্র যাকাত ফরয তাদের পক্ষে যাকাত আদায় করে মালের হক্ব আদায় করা অপরিহার্য্য ফরয। এ হক্ব আদায়ে ত্রুটি বা অবহেলা করলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ থেকে কোনোভাবেই সে রেহাই পাবে না। কারণ এটা স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে ফরয করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ১৫ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদু শা’বাবী আহলিল জান্নাহ, সিবতু রসূল আর রবি’, ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে আদায় করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ। এ ফতওয়ার উপরই ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রমাদ্বান শরীফ। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান পবিত্রতম বরকতময় ১১ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ ও হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র তারাবীহ নামাযে বা অন্য যে কোনো সময় পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে বা করিয়ে উজরত বা পারিশ্রমিক নেয়া ও দেয়া উভয়টাই হালাল এবং জায়িয। সুবহানাল্লাহ!
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাপবিত্র ও মহাবরকতময় ৯ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যা কুল-কায়িনাত সকলের জন্যই মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
২০ রাকায়াত তারাবীহ নামায উনার উপর সকলেরই ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। তাই পবিত্র তারাবীহ নামায বিশ রাকায়াতই আদায় করতে হবে। এক রাকায়াতও যদি কেউ কম আদায় করে তাহলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- রোযা অবস্থায় যেকোনো ধরণের ইনজেকশন, স্যালাইন, টিকা, ইনসুলিন ও ইনহেলার নেয়া হোক না কেন, তাতে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এর বিপরীত ফতওয়া সম্পূর্ণরূপেই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ ও হারামকে হালাল বলার কারণে কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র রোযা উনার মূলই হচ্ছে তাক্বওয়া হাছিল করা। অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয বা ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’ উনার তা’যীমার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলা প্রকাশ্য পানাহার থেকে বিরত থাকা, দিনের বেলা সর্বপ্রকার পানাহার-রেস্তোরা বন্ধ রাখা এবং সর্বাবস্থায় গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার আয়োজন করা।
০৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)