মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা নেকী ও পরহেযগারীর মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। পাপ ও শত্রুতার মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না।’
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া হলো ইহুদী-মুশরিক অর্থাৎ বিধর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা করা কাট্টা হারাম ও কুফরী। প্রত্যেক মুসলমান ও মুসলমান সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, সমস্ত বিধর্মীদের বিশেষ করে ভারত ও ইসরাইলের সর্বপ্রকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা। এদের সর্বপ্রকার পণ্যদ্রব্যগুলো বর্জন করা, বয়কট করা।
কেননা এদের পণ্যদ্রব্যগুলো ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার করার অর্থ হলো, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতিসাধনে সাহায্য করা। নাউযুবিল্লাহ! বিধর্মীরা তাদের পণ্যদ্রব্যগুলো মুসলমান দেশে বিক্রি করে তার লভ্যাংশ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করে। নাউযুবিল্লাহ!
, ০১ লা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শত্রু হওয়ার কারণেই তারা চব্বিশ ঘণ্টা অর্থাৎ দায়িমীভাবে কোশেশ করে থাকে যে, কি করে মুসলমান ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাদের ক্ষতি করা যায়। আর একারণেই তারা নতুন নতুন ও ভয়ানক ভয়ানক অস্ত্র তৈরি করে সেগুলো মুসলমানদের উপর প্রয়োগ করছে মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে। নাউযুবিল্লাহ! যার বাস্তব প্রমাণ সন্ত্রাসী ইহুদীবাদী ইসরাইলের ফিলিস্তিনি মুসলমানদের প্রতি চরম যুলুম-নির্যাতন। সন্ত্রাসী আমেরিকা থেকে শুরু করে সারা পৃথিবীর সমস্ত বিধর্মী রাষ্ট্রগুলি একাত্মতা পোষণ করে মুসলমানদেরকে শহীদ করার জন্য দখলদার ইহুদীবাদী ইসরাইলকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পাশাপাশি মুসলমানদেরকে কাফির বানিয়ে জাহান্নামী করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রসার বেপর্দা-বেহায়াপনা ঘটাচ্ছে ডিশ এন্টেনা, টিভি চ্যানেল, ভিসিআর, ভিডিও, গান-বাজনা, সিনেমা, নাটক, নোবেল, পর্নোগ্রাফীসহ হাজারো হারাম ও কুফরী কাজের। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আহলে কিতাব বা কাফিররা চায়- তোমরা (মুসলমানরা) ঈমান আনার পর কি করে তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দেয়া যায়।” নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আর এজন্য তাদের যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা তারা সংগ্রহ করে মুসলমান দেশে তাদের পণ্যদ্রব্যগুলো বিক্রি করে। অর্থাৎ মুসলমান দেশে পণ্য বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে সেই টাকা মুসলমান ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে ব্যয় করে। যার সাক্ষাত প্রমাণ হচ্ছে- পরগাছা ইহুদীবাদী ইসরাইলের বর্তমান কর্মকান্ড। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাজেই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, কাফির-মুশরিকদের পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার অর্থ হলো মুসলমান ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাদের ক্ষতিসাধনে সাহায্য করা। নাঊযুবিল্লাহ! যা সম্পূর্ণরূপেই হারাম ও কুফরী। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা নেককাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদকাজে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না।”
তাই প্রত্যেক মুসলমান ও মুসলমান সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সমস্ত বিধর্মীদের বিশেষ করে ইসরাইলের সর্বপ্রকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা। এদের সর্বপ্রকার পণ্যদ্রব্যগুলো বর্জন করা, বয়কট করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশে ১৪৪৭ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে মুহররমুল হারাম শরীফ ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৬শে ছানী ১৩৯৩ শামসী সন, ২৫শে জুলাই ২০২৫ খৃঃ. ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা (জুমুয়াবার) দিবাগত সন্ধ্যায়।
২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছেন ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ এর জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ ঐতিহাসিক মহাসম্মানিত ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ যে দিবসটি ইয়াওমুল ফীল বা হস্তিবাহিনী ধ্বংসের দিবস। সুবহানাল্লাহ! যা মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযাহ শরীফ ও সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ বদদোয়া মুবারক উনার খাছ প্রতিফলন। সুবহানাল্লাহ!
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ ঐতিহাসিক মহাসম্মানিত ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ যে দিবসটি ইয়াওমুল ফীল বা হস্তিবাহিনী ধ্বংসের দিবস। সুবহানাল্লাহ! যা মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযাহ শরীফ ও সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ বদদোয়া মুবারক উনার খাছ প্রতিফলন। সুবহানাল্লাহ!
১৮ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করা, উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক চলে শতভাগ সুন্নতী জিন্দেগী বাস্তবায়ন করার সাথে সাথে পবিত্র সুন্নতী পোশাক পরিধান করে হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়ার কোশেশে মশগুল থাকা।
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করবে উনারা কামিয়াব। আর যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে তারা কাফির ও লা’নতগ্রস্ত।
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তিরস্কার করা, গালমন্দ করা হারাম, কুফরী এবং কঠিন লা’নতের কারণ।
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের জীবনী মুবারকসহ ছহীহ আক্বীদা ও ছহীহ দ্বীনী শিক্ষা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচীতে আবশ্যিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা। আর সমস্ত কুফরী আক্বীদা ও শরীয়তবিরোধী আমল ও ভুল তথ্যসহ কাফির-মুশরিকদের আলোচনা পাঠ্যসূচি থেকে অবশ্যই বাদ দেয়া।
১৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই মুহররমুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যথাযথ তা’যীম-তাকরীমের সাথে বরকতময় এ দিবস মুবারক উদযাপন করা ও উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করে ইবরত-নছীহত মুবারক হাছিল করা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য।
১২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একজন জলীলুল ক্বদর, কাতিবে ওহী ও গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা সম্মানিত ছাহাবী এবং ন্যায়পরায়ণ খলীফা ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত উনাদের ফতওয়া অনুযায়ী- কাট্টা কাফির মালউন ইয়াযীদের কুফরী কর্মকান্ডের জন্য বিশিষ্ট ছাহাবী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা বা উনার সমালোচনা করা সম্পূর্ণরূপে কুফরী।
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ পবিত্র ১৪ই মুহররম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী খাজায়ে খাজেগাঁ, হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ বুখারী আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেদিন যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন, সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন উনার মুবারক নামকরণ করা হয়েছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! যা আসতে আর মাত্র ৫৮ দিন বাকি।
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)