সরকার কী শুধু সরকারী চাকুরীজীবীদের? অথচ সরকারী চাকুরী দেশের মোট জনসংখ্যার ১% লোকও করে না
৯৯ ভাগ বেসরকারী জনগনকে সুবিধা বঞ্চিত করে সরকার চরম বৈষম্য করে সংবিধান লঙ্ঘন করছে এর অবসান একান্ত জরুরী
, ১৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৭ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ২২ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৬০% (প্রায়) মানুষ সরকারি চাকরি করেন বা সরকারি চাকরি করার সুযোগ পান। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার ১% মানুষও সরকারি চাকরি করতে পারে না বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় এবং মোট জনসংখ্যার ১%-ও সরকারি চাকরির সুযোগ পাবে না।
কিন্তু তারপরও সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীর সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য আকাশ-পাতাল।
বেসরকারি চাকরিজীবীরা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত ও বঞ্চিত। অন্যদিকে দফায় দফায় বেড়েছে সরকারি চাকরিজীবীদের সুবিধা। গত নয় বছরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।
২০০৯ সালে সরকারি চাকরির ন্যূনতম বেতন ছিল বেসিক ২৪০০ টাকা। বর্তমানে তা হয়েছে ৮২০০ টাকা। আগে সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি ছিল একদিন। এখন তা দুই দিন।
গাড়ি কেনার জন্য আগে বরাদ্দ থাকত না। এখন বরাদ্দ রয়েছে ৩০ লাখ টাকা। বাড়ি কেনার জন্য আগে ঋণের ব্যবস্থা ছিল না। এখন রয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। পেনশন আগে ছিল ৮০ পার্সেন্ট। এখন ৯০ পার্সেন্ট। আগে বৈশাখী ভাতা ছিল না। এখন রয়েছে মূল বেতনের ২০ শতাংশ। আগে সামান্যই পদোন্নতি হতো। এখন ব্যাপকভাবে হচ্ছে।
মোবাইল কেনার জন্য ২০০৯ সালে বরাদ্দ ছিল ১৫,০০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৫,০০০ টাকা (১ম গ্রেডের জন্য)। এছাড়া এখন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে সরকারের অনুমতির দরকার হয়, আগে যা লাগত না। আরও অনেক সুবিধা বাড়ানোর কাজ চলমান আছে।
অন্যদিকে যারা বেসরকারি চাকরি করছেন, তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। যুগোপযোগী সুবিধা তো দূরের কথা, অধিকাংশ কোম্পানিতে এইচআর নীতিমালা নেই। যে যেমন ইচ্ছা বেতন দেয়।
এরপরও বর্তমান বাজারের বেসামাল অবস্থা সামাল দিতে সরকারি চাকরিজীবীদের মূল বেতন দশ শতাংশ বাড়াচ্ছে জুলাই থেকে। কিন্তু সরকারের এই উদ্যোগ সমুদ্রের মধ্যে এক ফোঁটা শিশির বিন্দু পড়ার মতো অবস্থা।
দেশের লোকসংখ্যা ২৫ কোটি ধরা হলে সরকারি চাকরিজীবীদের সংখ্যা সব মিলিয়ে ২০ লাখও নয়। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশও নয়। স্বভাবত প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে বাদ পড়া বিশাল জনগোষ্ঠীর আয় বাড়াবে কে?
কিংবা সাধারণ মানুষের আয় বাড়ানোর জন্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? এমন সব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঈদের আগে ও পরে বাজারে আসা ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ‘আমরা যারা সরকারি চাকরি করি না, আমাদের আয় বাড়াবে কে?’ প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, সরকারী চাকুরীদের বেতন বাড়ানোর আগে দরকার নিয়ন্ত্রণহীন বাজার সিন্ডিকেটকে নির্মূল করার পাশাপাশি মূল্যায়ন ব্যাপক কাজ।
মূল্যস্ফীতির চাপে সবাই পিষ্ট। সরকারি কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়ায় তাদের একটু হলেও স্বস্তি হবে। কিন্তু বাকি জনগণের কী হবে? কারণ, বাজারে সবাই যায়। তাই সরকারের উচিত হবে, দেশের সব মানুষের জন্য মূল্যস্ফীতি কমানোর ব্যবস্থা করা।
দ্রব্যমূল্য সস্তায় আনার ব্যবস্থা করা। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বেশি করে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে। দীর্ঘকাল ধরে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে একশ্রেণির অসাধু সিন্ডিকেট চক্র। তাদের কারসাজিতে কিছু পণ্যের দাম সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
সরকারের যেসব সংস্থা জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে কাজ করছে, তারাও একরকম নিশ্চুপ। এছাড়া আগে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে দাবি করা হলেও তা মেনে নেওয়া হয়েছে।
আবার বাণিজ্যমন্ত্রী সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দায় নিতে নারাজ। কিছু পণ্যের দায় অন্য মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে বলে বলছেন। ফলে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে সরকারের মধ্যে একধরনের সমন্বয়হীনতাও স্পষ্ট হচ্ছে।
এদিকে রোজার ঈদে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছিল, কুরবানির ঈদ ঘিরে সেসব পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে এসব পণ্যের কোনো সংকট নেই। অথচ দাম বেশি।
এতে নিম্নবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্তদেরও নাভিশ্বাস বেড়েছে। আর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অনেকে এখন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মাছ-গোশত পর্যন্ত কিনতে পারছেন না।
গরিবের জন্য বাজার করা এখন সবচেয়ে কষ্ট আর হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বাজারে গিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকছেন। যারা ভেবেছিলেন কুরবানি ঈদের পর পণ্যের দাম কিছুটা কমবে, তাদের সেই আশাও পূরণ হয়নি। এ আশায় গতকাল যারা বাজারে গিয়েছেন, তাদের চরমভাবে হতাশ করেছেন বিক্রেতারা।
সরকারী চাকুরে সংখ্যা মাত্র ২০ লাখ। তারা নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম কিছুটা হলেও সামাল দিতে পারবেন। কিন্তু বাকী ২৪ কোটি ৮০ লাখ জনসাধারণের জন্য কোনো সুখবর নেই। বাজারে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে এই অবস্থা থেকে তাদের বের করে আনতে হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। কৃষক ও কৃষিতে ভর্তূকি বাড়াতে হবে। গুদাম, সাইলো ইত্যাদি পর্যাপ্ত করতে হবে। বাজার ব্যাবস্থাপনা সহজ করতে হবে। পণ্য পরিবহন খরচ কমাতে হবে। চাঁদাবাজি, মুনাফাখোরী বন্ধ করতে হবে। এক কথায় সর্বসাধারণের জন্য পণ্যদ্রব্যের সুলভ করার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












