সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ
এডমিন, ১০ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাওয়ানেহ উমরী মুবারক

একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তিনি বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন মুরীদের সাথে আমরা সফরে যেতে ইচ্ছুক ছিলাম। রওয়ানা হওয়ার পূর্বে আমরা বিদায় নেয়ার জন্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ হাযির হলাম। তিনি বললেন, আজ বাইরে যেও না। আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর। বাইরে আসার পর আমার সাথী বললো- ‘আমি যাচ্ছি। কারণ, আমার বন্ধু রওয়ানা হয়ে গেছে।’ একথা শুনে আমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। আর সে চলে গেলো। পরে জানতে পারলাম- তারা রাতে যে উপত্যকায় অবস্থান করছিল, সেখানে ভয়াবহ বন্যা আসায় তারা ডুবে মারা গিয়েছে। (শাওয়াহিদুন নুবুওওয়াত)
অপর একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তিনি বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আমি উপস্থিত হয়ে বললাম, ‘অমুক বুযুর্গ ব্যক্তি আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি আপনার কাছে কাফনের কাপড় প্রার্থনা করেছেন।’ তিনি বললেন, ‘তিনি এখন এসব বিষয়ের ঊর্ধ্বে চলে গেছেন।’ একথা শুনে আমি বের হয়ে এলাম; কিন্তু উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উক্তি মুবারক) উনার মর্ম বুঝতে পারলাম না। অনেক চিন্তা-ফিকির করে ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ উনার মর্ম উৎঘাটন করার কোশেশে লিপ্ত হলাম। অবশেষে জানতে পারলাম যে, তিনি এর তের-চৌদ্দ দিন পূর্বেই ইন্তেকাল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।