ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা বেমেছাল মর্যাদার অধিকারী (২৪)
, ১৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১২ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
প্রয়োজনে আপনি আপনার পিতা-মাতা উনাদের সাথে আলোচনা মুবারক করে জবাব দিবেন। তিনি বললেন ঠিক আছে, কি বিষয়। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক তিলাওয়াত করে শুনালেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি শুনে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলেছেন, আমি যেন আমার পিতা-মাতা উনাদেরকে জিজ্ঞেস করে জবাব দেই। আপনি আমাকে মহব্বত মুবারক করেন। আসলে আমার পিতা-মাতা উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে হবে না। আমরা আপনার কাছে কেন এসেছি? একমাত্র আপনার রেজামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্যে। দুনিয়ার জন্য আমরা আসি নাই। সুবহানাল্লাহ!
আপনি যেমন বলে থাকেন, যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র হাদীছে ক্বুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَا حَبِيْبُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا وَاَنْتَ وَمَا سِوَاكَ خَلَقْتُ لِاَجْلِكَ
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا رَبِّ اَنْتَ وَمَا اَنَا وَمَا سِوَاكَ تَرَكْتُ لِاَجْلِكَ
অর্থ: আয় আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এবং আপনি, আর আপনি ছাড়া যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে তা আপনার রেজামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারকের জন্য সৃষ্টি করেছি। সুবহানাল্লাহ! এর জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আয় আমার মহান রব তায়ালা শুধু আপনিই, আমিও না । আর আপনি ছাড়া যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু তরক করেছি আপনার জন্য, আপনার রেজামন্দী, সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার লক্ষ্যে। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ আমি ফানা এবং বাক্বা একমাত্র আপনার জন্য। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমরা একমাত্র আপনার জন্য এসেছি, অন্য কোন উদ্দেশ্যে আসিনি। সুবহানাল্লাহ! আপনি যেমন যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার মধ্যে ফানা এবং বাক্বা। তদ্রুপ আমরা আপনার মধ্যে ফানা এবং বাক্বা। সুবহানাল্লাহ! যারা অন্যান্য হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকেও জিজ্ঞাসা করা হলে, উনারাও একই জবাব দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এখানে কিন্তু জবাব দিয়ে দেয়া হয়েছে। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِن كُنتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا.
অর্থ : আর যদি আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে চান, উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চান, পরকাল চান তাহলে জেনে রাখুন, যিনি খ¦লিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের মতো যারা মুহসিনাহ তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের জন্য অনেক বড় প্রতিদান মুবারক তৈরী করে রেখেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব : আয়াত শরীফ ২৯)
এখানে জাওয়াব দিয়ে দেয়া হয়েছে, জাওয়াব বাকি থাকলো না। উনারা সেই জাওয়াব মুবারকটাই দিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœর পবিত্র আয়াত শরীফ নিয়েও কাফির, মুশরিক, মুনাফিক, মুরতাদরা চু-চেরা কীল-কাল করে তাকে। নাউযুবিল্লাহ!
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا نِسَاء النَّبِيِّ مَن يَأْتِ مِنكُنَّ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ يُضَاعَفْ لَهَا الْعَذَابُ ضِعْفَيْنِ وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا. وَمَن يَقْنُتْ مِنكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَتَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَا أَجْرَهَا مَرَّتَيْنِ وَأَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا كَرِيمًا.
অর্থ : হে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনাদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যতম ফাহিশাহ কাজ করবেন। নাউযুবিল্লাহ! (অর্থাৎ মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কষ্টদায়ক কোন কাজ করবেন, আমল করবেন। নাউযুবিল্লাহ! বিষয়টা চিন্তাও করা যায় না। যে এরূপ চিন্তা করবে যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ফাহিশাহ কাজ করেছেন, সাথে সাথে সে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!) উনাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে। নাউযুবিল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এটা অত্যন্ত সহজ বিষয়। নাউযুবিল্লাহ! আপনার মধ্যে যারা যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুগত হবেন এবং নেককাজ করবেন, উনাদের সমস্ত আমলের বদলাগুলি দ্বিগুণ, বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! এবং উনাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত রিযিক তৈরী করে রাখা হয়েছে। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব : আয়াত শরীফ- ৩০-৩১)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত আব্বাদ ইবনে বিশর ইবনে ওয়াকাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা কবীরা গুনাহ ও অসন্তুষ্টির কারণ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে নেয়াই ঈমানদারের পরিচয়
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কদমবুছী করা খাছ সুন্নত মুবারক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হযরত আব্বাদ ইবনে বিশর ইবনে ওয়াকাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর (২)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বেপর্দা সর্বপ্রকার অনিষ্ট ও ফিতনা-ফাসাদের মূল
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে মুসলমান যে বিজাতীয় সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, তাদের সাথেই তার হাশর নশর হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার অপরিসীম ফযীলত
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












