নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সত্য মানুষকে জীবন দান করে; আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। ’
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কঠিন পরিস্থিতিতেও সত্য কথা বলেছেন এবং দায়িমীভাবে হক্বের উপর ইস্তিকামত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক থেকে ইবরত-নছীহত হাছিল করে
সদা সত্য কথা বলা এবং সত্যের উপর ইস্তিকামত থাকা আর মিথ্যা পরিহার করা ও মিথ্যা থেকে দূরে থাকা। যা সকলের জন্যই ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভের কারণ হবে।
, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রবীউছ ছানী শরীফ মাস সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের মাস। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন সেই যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ও মহান মুজাদ্দিদ। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস থেকে মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ পর্যন্ত পুরো হায়াত মুবারকেই মুসলমানদের জন্য রয়েছে অনেক ইবরত ও নছীহত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হলেন- হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ ওয়ারিছ, নায়িব, আওলাদ। উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ীই উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৬শ’ হিজরী শতাব্দীতে পাঠিয়েছেন ‘মুজাদ্দিদ’ হিসেবে তাজদীদ মুবারক করার জন্য। অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে যে সমস্ত কুফর, শিরক, বিদয়াত প্রবেশ করেছিলো সেগুলো বের করে দেয়ার জন্য অর্থাৎ মিথ্যাকে মিটিয়ে দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শিশুবেলায়ই মহাসম্মানিতা মাতা উনার কাছ থেকে সত্য বলার শিক্ষা পান এবং সে সময় থেকেই মহা সঙ্কটময় অবস্থার মধ্যেও তিনি এই শিক্ষার উপর অবিচল বা ইস্তিকামত ছিলেন। যার কারণে উনার উসীলায় ভয়ানক দুর্ধর্ষ ডাকাতরাও হিদায়েত লাভ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ইলম অর্জন করার লক্ষ্যে কাফিলার সাথে বাগদাদ শরীফ রওয়ানা হলেন। যাওয়ার সময় উনার সম্মানিতা ও বুযূর্গ মাতা উনার কোর্তার ভিতরে ৪০টি স¦র্ণমুদ্রা সেলাই করে দেন এবং নছীহত মুবারক করেন যে, হে হযরত আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি! যতই বিপদে পড়–ন না কেন, তথাপিও কখনো মিথ্যা বলবেন না, বরং সর্বদাই সত্যের উপর ইস্তিকামত থাকবেন। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সত্য মানুষকে জীবন দান করে; আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। ”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উক্ত কাফিলা রওয়ানা হয়ে বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর রাত ঘনিয়ে আসলো, কাফিলা বিশ্রাম নেয়ার জন্য এক স্থানে তাঁবু টানালো। এদিকে রাতে হঠাৎ করে কাফিলায় ডাকাত আক্রমণ করলো। অনেকের সর্বস¦ লুন্ঠন করে নিলো, অনেককে আহত-নিহত করলো। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজ চোখ মুবারকে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অবলোকন করেন। এক পর্যায়ে ডাকাতরা গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞেস করলো, হে বালক! আপনার কাছে কিছু রয়েছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ রয়েছে। কি রয়েছে? চল্লিশটি স¦র্ণমুদ্রা। এটা তো সোজা কথা নয়। চল্লিশটি স¦র্ণমুদ্রা তো অনেক। বর্তমান যামানায় লক্ষ লক্ষ টাকা। তিনি কিন্তু কোনো পরওয়াই করলেন না। ডাকাতরা যে এত যুলুম করে যাচ্ছে, পয়সার জন্য তারা মারধর করতেছে। তিনি কোনো পরওয়া করলেন না। ডাকাত সর্দারকে বলা হলো। সে আসলো। জিজ্ঞেস করলো, হে বালক! আপনার কাছে কি কিছু রয়েছে? তিনি বললেন- হ্যাঁ, চল্লিশটি স¦র্ণমুদ্রা রয়েছে। কোথায় রয়েছে? তিনি জামাটা উল্টিয়ে দেখালেন ভিতরে কাপড় দিয়ে সেলাই করা।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ডাকাত সর্দার তো তায়াজ্জুব হয়ে গেলো। আপনি বলেন কি? আপনার চোখের সামনে এভাবে ডাকাতি করা হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে, ধন-সম্পদ নেয়া হচ্ছে। আপনি তো এটা না বললেও পারতেন, চুপ করে থাকলেও পারতেন। এটা তো কেউ তালাশ করে বের করতে পারতো না। তিনি বললেন, দেখ ডাকাত সর্দার! যখন আমি পবিত্র ইলম শিক্ষা করার জন্য ঘর থেকে বের হই, তখন আমার যিনি সম্মানিতা মাতা তিনি আমাকে বলেছিলেন, বাবা! কোনো অবস্থাতেই কখনো মিথ্যা কথা বলবেন না। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মিথ্যাবাদীদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ” নাউযুবিল্লাহ! আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সত্য মানুষকে জীবন দান করে; আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। ” কাজেই মাত্র চল্লিশটি স¦র্ণমুদ্রার কারণে আমি আমার সম্মানিতা মাতা উনার কথা মুবারক অমান্য করতে পারি না। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার ফয়েযপূর্ণ এ নছীহত মুবারক শুনে ডাকাত সর্দারসহ সকলেই তায়াজ্জুব হলো, আশ্চর্য হলো। তারা উনার ক্বদম মুবারকে পড়ে ইস্তিগফার-তওবা করলো। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কঠিন পরিস্থিতিতেও সত্য কথা বলেছেন এবং দায়িমীভাবে হক্বের উপর ইস্তিকামত ছিলেন। যা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের সাথে বেমেছাল নিছবতেরই বহিঃপ্রকাশ। অতএব, এ ঘটনা থেকে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ইবরত-নছীহত মুবারক হাছিল করতে হবে। প্রথমতঃ সদা সত্য কথা বলতে হবে, সত্যের উপর ইস্তিকামত থাকতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই মিথ্যা বলা যাবে না। দ্বিতীয়তঃ সব অবস্থায় পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক উনাদের উপর ইস্তিকামত থাকতে হবে। যা সকলের জন্যই ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভের কারণ হবে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফাসিক, ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংখ্য অগণিত পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ বিদ্যমান রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কালিমা শরীফ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে- পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামসহ অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে কাফিরদের প্রণীত গণতন্ত্র ও ভোট-নির্বাচন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ! অতএব, মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- কাফিরদের প্রণীত গণতন্ত্র ও ভোট-নির্বাচনসহ সর্বপ্রকার মতবাদ বাদ দিয়ে হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সম্পর্কে ইলম অর্জন করে সে অনুযায়ী আমল করা।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












