সাপুড়ের রক্তে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিভেনম
, ১২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ মে, ২০২৫ খ্রি:, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পাঁচ মিশালী
এক মার্কিন সাপুড়ে ১৮ বছর ধরে নিজ শরীরে কোবরা, মাম্বা, রেটলস্ন্যাকসহ ১৬ প্রজাতির প্রাণঘাতী সাপের বিষ প্রয়োগ করে এক ব্যতিক্রমী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলেছে। ফলে বিজ্ঞানীরা ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত ও কার্যকর অ্যান্টিভেনম তৈরি করতে পেরেছে। এটি ভবিষ্যতে সাপের কামড়ের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
সেই সাপুড়ে প্রায় ১৮ বছর ধরে নিজের শরীরে সাপের বিষ প্রয়োগ করে চলেছে, যেগুলো সাধারণত একটি ঘোড়াকেও মেরে ফেলতে পারে। এটা এক কথায় বিস্ময়কর!’
গবেষণা অনুযায়ী, সেই সাপুড়ের রক্ত থেকে সংগৃহীত দুটি সুরক্ষা অ্যান্টিবডি এবং একটি ক্ষুদ্র আণবিক বিষ প্রতিরোধক একত্র করে তৈরি করা হয়েছে নতুন এই অ্যান্টিভেনম ককটেল। এটি ১৯টি মারাত্মক প্রজাতির মধ্যে ১৩টির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুরক্ষা এবং বাকিগুলোর ক্ষেত্রে আংশিক সুরক্ষা দিতে সক্ষম। বর্তমানে প্রচলিত অ্যান্টিভেনম সাধারণত নির্দিষ্ট একটি প্রজাতির বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর। আর সাধারণত ঘোড়া বা ভেড়াকে বিষ দিয়ে এই অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। এর ফলে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও আশঙ্কা থাকে।
২০০০ সালে সাপুড়ে ফ্রিড যখন তার সাপ সংগ্রহের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হয়, তখন থেকে নিজেই নিজেকে প্রতিষেধক হিসেবে বিষ প্রয়োগ করতে শুরু করে। ২০০১ সালে একটি মিশরীয় কোবরা কামড়ানোর পর সে চার দিন কোমায় ছিলো, তবুও থেমে যায়নি। পরে সে তার হাতের ওপর সাপের ছোবল নিতেও রাজি হয়।
এই কর্মকা-ের খবর একটি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে গবেষকদের নজরে এসেছিলো। তখনই তারা ফ্রিডের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
এই গবেষণা মূলত অ্যালাপিড শ্রেণির বিষধর সাপকে কেন্দ্র করে হলেও ভবিষ্যতে ভাইপার শ্রেণির বিরুদ্ধেও অনুরূপ প্রতিষেধক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে এই অ্যান্টিভেনম অস্ট্রেলিয়ায় সাপের কামড় খাওয়া কুকুরদের ওপর প্রয়োগ করে কার্যকারিতা যাচাই করা হবে, এরপর শুরু হবে মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
গবেষকদের অনেকেই বলেছে, ‘এই গবেষণা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। কমসংখ্যক অ্যান্টিবডি একত্র করে এমন বিস্তৃত সুরক্ষা পাওয়া যাবে-এই ধারণা ভবিষ্যতের চিকিৎসায় বিপ্লব আনতে পারে।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত গবেষণা ‘সেল’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যে দেশগুলোতে কোনো বিমানবন্দর নেই
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পৃথিবীর উচ্চতম দেশ কোনটি?
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাঁড়িয়ে পানি পানের পরিণতি কি?
১৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নষ্ট ডিম চেনার সহজ উপায়
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উপকারী বাদাম আখরোট
১৪ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ধানের তুষ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ
১৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!
১৩ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিজ্ঞানীদের দাবি: পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি বাড়বে, দিনে কমবে সময়!
১২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্ষাকালে চোখে যেসব রোগ হয়
১২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মধু কখনও নষ্ট হয় না কেন?
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফ্যাটি লিভার কমাতে যে ১০টি প্রাকৃতিক পানীয়
১১ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অজগরের পেটে মিললো নিখোঁজ কৃষকের মরদেহ
১০ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)