সাড়ে পাঁচ’শ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক গোয়ালদি মসজিদ
, ২৪ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১১ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পাঁচ মিশালী
সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে মোল্লা হিজাবর খান ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মাণ করেছেন। এই মসজিদকে গোয়ালদি মসজিদ ছাড়াও শাহী মসজিদ, হুসেন শাহের মসজিদ ও গায়েবী মসজিদ নামেও ডাকা হয়। মুসলিম প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে এই মসজিদ অন্যতম এক স্থাপনা।
প্রায় সাড়ে ৫’শ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসে।
নির্মাণ শৈলী:
বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনায় সুলতানি রীতিতে তৈরি গোল আকৃতির চারটি উঁচু পিলার রয়েছে। পিলারের গায়ে শৈল্পিক অলংকরণ লক্ষণীয়। গোয়ালদি মসজিদের আয়তন প্রায় ৮ মিটার। এবং চারদিকে থাকা দেয়াল দেড় মিটারের বেশি প্রস্ত। মসজিদটির সামনে তিনটি এবং দুটি পাশে একটি করে মোট পাঁচটি দরজা রয়েছে। আর প্রধান প্রবেশ পথের সোজাসুজি কালো পাথরের তৈরি কেন্দ্রীয় মেহরাব অবস্থিত। তিনটি মেহরাবের বাকি দুটি মেহরাব ইটের তৈরি। চারপাশের দেয়ালে থাকা আরব্য কারুকার্য এটির সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই মসজিদের ভেতর ও বাহিরে দেয়ালে পাথর ও ইটের উপর মুসলিম ইতিহাস ও আরবি অলংকরণ পরিলক্ষিত হয়। ইট-পাথরের মূল অলংকারের কিছু নির্দেশনা মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে বিশেষত লক্ষ্য করা যায়। এটির কেন্দ্রীয় মেহরাবটি আকারে কিছুটা বড় ও চমৎকার।
প্রাক মুগল যুগের ছোট্ট সুন্দর গোয়ালদি মসজিদটি এ গোয়ালদি গ্রামের সর্বপ্রাচীন নিদর্শন। সরকারের প্রতœতত্ত্ব বিভাগ যখন এটিকে ‘সংরক্ষিত’ ইমারত হিসেবে চিহ্নিত করে তখন এটি রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। পরে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
জানা গেছে, এই মসজিদে এক সময় মানুষ নামাজ-কালাম, ইবাদত-বন্দেগী করতেন। এছাড়া মক্তব পড়ানো হতো। তবে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে মসজিদটিতে নামাজ আদায় হয় না। বর্তমানে এটি মুসলিমের স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন মানুষ এসে ছবি তুলেন এবং মসজিদটি সম্পর্কে জেনে যান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইন্দোনেশিয়ার গ্রিন ইসলাম বিপ্লব: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভিভিআইপি ও ভিআইপি কারা, কি ধরনের অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন তারা?
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সিসিইউ আর আইসিইউ উভয়ই জরুরি, কোনটার কাজ কি?
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আফ্রিকা ভেঙে সৃষ্টি হচ্ছে এক নতুন মহাসাগর
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মৌমাছির বিষে এক ঘণ্টায় ধ্বংস স্তন ক্যানসার কোষ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১৩ বছরের অপেক্ষার পর দেখা মিললো বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ফুলের
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সন্তানের উচ্চতা স্বাভাবিকভাবে বাড়বে যে ৩ ফলের রসে
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শুক্র গ্রহে একদিন পৃথিবীর এক বছরের চেয়েও দীর্ঘ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে নিজেকে পরিষ্কার করতে শুরু করে মস্তিষ্ক -গবেষণা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাম দিয়েই জমির মালিকানা যাচাই করবেন যেভাবে?
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হারিয়ে যাওয়া সুপারনোভার সন্ধান, পথ দেখালো ইসলামের স্বর্ণযুগের আরবি কবিতা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কোন বাদামের কেমন পুষ্টিগুণ, খাবেনই-বা কতটুকু?
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












