সুন্নত পালন ও প্রচার মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফের অন্যতম বৈশিষ্ট্য
, ২৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, যদি তোমরা প্রকৃতই মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত চাও, তবে আমাকে অনুসরণ করো, তবেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান শরীফ: আয়াত শরীফ ৩১)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত, ক্ষমা ও দয়া পেতে হলে আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করার কোনই বিকল্প নেই। সেই চিন্তাধারা থেকেই মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ সর্বদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক আকড়ে ধরে এবং অপরকে পালন করতে উৎসাহিত করে। কোন ব্যক্তি যদি একবার মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফে আসে, তবে সে অবশ্যই বিস্মিত হবে এবং বলতে বাধ্য হবে, পৃথিবীর কোন স্থানে আখেরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এত বেশি অনুসরণ-অনুকরণ করা হয় না।
পৃথিবীর সর্বাধিক সুন্নত পালনের স্থান নিঃসন্দেহে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ। আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কেমন পোশাক পরিধান করতেন, কেমন ইযার বা লুঙ্গি পরিধান করতেন, কেমন পাগড়ি পরিধান করতেন, কেমন না’লাইন শরীফ ব্যবহার করতেন, কেমন মোজা পরতেন, কেমন রুমাল ব্যবহার করতেন, কেমন পাত্রে খাওয়া দাওয়া করতেন, কোন কোন খাবার খেতেন, কোন শরবত খেতেন, কোন ফল খেতেন, কেমন বিছানা বালিশ ব্যবহার করতেন, সব কিছুর বিস্তারিত পাওয়া যায় মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফে। যা স্বচক্ষে না দেখলে তা বিশ্বাস করা কঠিন। পৃথিবীর অনেক স্থানে অনেক মসজিদ মাদরাসা আছে, কিন্তু কোথাও সবাই একসাথে এভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতগুলোকে আকড়ে ধরেছে, তা কেউ দেখাতে পারবে না। যা সত্যিই আশ্চর্যজনক ও বিষ্ময়কর।
নিজে সুন্নতের আমলের পর মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ সকলকে সুন্নতসমূহ সম্পর্কে জানাতে দেশজুড়ে ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা করে।
জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুন্নতের প্রদর্শনী, ভ্রাম্যমান গাড়ির সাহায্যে ক্যাম্পেইন করে তারা শহর থেকে গ্রামে সকল স্তরের মানুষের মাঝে সুন্নতি আমল করার সুযোগ করে দেয়। পৃথিবীতে অনেক কোম্পানি আছে, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, সবাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন করে, কিন্তু আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ অনুসরণ করে তৈরীকৃত পণ্যের প্রচার করে একমাত্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ।
অনেক চ্যারিটি সংগঠন আছে, যারা দান, ছদকাহ্ বা যাকাতের টাকা দিয়ে দরিদ্র ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। কাউকে রিকশা কিনে দেয়, কাউকে দোকান দিয়ে দেয়। কিন্তু মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ কাউকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে সর্বদা সূরা মায়িদার ২ নং আয়াতকে অনুসরণ করে- “তোমরা নেকী ও পরহেযগারীতে একে অপরকে সহযোগিতা করো”। এ চিন্তাধারা থেকে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ অসংখ্য বেকার ও পঙ্গু ব্যক্তিকে কর্মসংস্থান করে দিয়েছে, কিন্তু সেটা সুন্নত প্রচারের কাজে। অর্থাৎ ঐ লোকটি কর্মও করবে আবার তার কর্মের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক আমলেরও প্রচার হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ইহকালীন-পরকালীন উপকৃত হবে।
বাস্তবতা হচ্ছে, মুসলমানরা এখন জানেই না নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতসমূহ কি কি? ফলে তারা সবাই কাফির-মুশরিক, খেলোয়াড়, নায়ক, নায়িকা বা কথিত সেলিব্রেটিকে অনুসরণে ব্যস্ত। এ পরিস্থিতি মুসলিম উম্মাহের জন্য এক ভয়ঙ্কর সংকট। কাফির-ফাসিককে অনুসরণের কারণে বর্তমানে মুসলিমদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস হচ্ছে, মুসলমানদের স্বতন্ত্র অবস্থান নেই বললেই চলে। এ সংকট উত্তরণে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফের সুন্নতি আমল নিজে করা ও তার প্রচার কার্যক্রম সত্যিই মুসলিম উম্মাহের জন্য এক আলোর দিশা।
-উম্মু আমিম
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী বিছানা মুবারক উনার বর্ণনা
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












